ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
হাসপাতালে স্বামীর মরদেহ রেখে স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মৃতের নাম স্বপন মিয়া (৩০)। তিনি উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপীর মঞ্জুনগর এলাকার এমাদ মিয়ার ছেলে। স্বপন মিয়া পেশায় একজন জেলে।
স্বপন মিয়ার স্ত্রীর সুইটি বেগম (২৬)। তিনি উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মঞ্জুনগর গ্রামের হাদিস মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, প্রায় ছয়-সাত বছর আগে স্বপন মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী সুইটির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে দুজনের সংসার বেশ ভালোই চলছিল। তবে, স্বপন মিয়া তাঁর মা-বাবার অবাধ্য হয়ে শ্বশুরের আনুগত্যে চলে যান। ফলে স্বপনকে তাঁরা তাঁদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে আসছেন। এ ছাড়া স্বপন মিয়ার বাবা দরিদ্র হওয়ায় হাদিস মিয়াকে কিছু বলার সাহস পেতেন না। এ কারণে স্বপন তাঁদের কাছ অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েন এবং মানসিক যন্ত্রণায় ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্বপন মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করলে তাঁরা পালিয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোয়েব রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত একজন রোগীকে তাঁর স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করি। এরপরেই নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনেরা হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে যান। পরে পুলিশে জানানো হয়।’
নিহতের মামা মানিক মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লোকমুখে শুনেছি সকালে নাকি আমার ভাগনে বিষপান করছে। পরে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও তাঁর বউ নাকি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসছে। খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে এসে দেখি ভাগনের মরদেহ রেখে তাঁর বউসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। কীভাবে বা কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা এখনো জানতে পারিনি।’
মানিক মিয়া আরও বলেন, ‘মরদেহ রেখে তারা পালিয়ে যাওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।’
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওসমান গনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গুরুতর আহত অবস্থায় স্বপন মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে এসে তাঁকে ভর্তি করা হয়। পরে মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বপনের স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাৎক্ষণিক হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়।’
ওসমান গনি আরও বলেন, ‘এ মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে কোনো রহস্য আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ ছাড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
হাসপাতালে স্বামীর মরদেহ রেখে স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মৃতের নাম স্বপন মিয়া (৩০)। তিনি উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপীর মঞ্জুনগর এলাকার এমাদ মিয়ার ছেলে। স্বপন মিয়া পেশায় একজন জেলে।
স্বপন মিয়ার স্ত্রীর সুইটি বেগম (২৬)। তিনি উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মঞ্জুনগর গ্রামের হাদিস মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, প্রায় ছয়-সাত বছর আগে স্বপন মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী সুইটির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে দুজনের সংসার বেশ ভালোই চলছিল। তবে, স্বপন মিয়া তাঁর মা-বাবার অবাধ্য হয়ে শ্বশুরের আনুগত্যে চলে যান। ফলে স্বপনকে তাঁরা তাঁদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে আসছেন। এ ছাড়া স্বপন মিয়ার বাবা দরিদ্র হওয়ায় হাদিস মিয়াকে কিছু বলার সাহস পেতেন না। এ কারণে স্বপন তাঁদের কাছ অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েন এবং মানসিক যন্ত্রণায় ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্বপন মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করলে তাঁরা পালিয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোয়েব রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত একজন রোগীকে তাঁর স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করি। এরপরেই নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনেরা হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে যান। পরে পুলিশে জানানো হয়।’
নিহতের মামা মানিক মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লোকমুখে শুনেছি সকালে নাকি আমার ভাগনে বিষপান করছে। পরে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও তাঁর বউ নাকি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসছে। খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে এসে দেখি ভাগনের মরদেহ রেখে তাঁর বউসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। কীভাবে বা কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা এখনো জানতে পারিনি।’
মানিক মিয়া আরও বলেন, ‘মরদেহ রেখে তারা পালিয়ে যাওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।’
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওসমান গনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গুরুতর আহত অবস্থায় স্বপন মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে এসে তাঁকে ভর্তি করা হয়। পরে মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বপনের স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাৎক্ষণিক হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়।’
ওসমান গনি আরও বলেন, ‘এ মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে কোনো রহস্য আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ ছাড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
বরিশালের হিজলায় প্রায় দেড় কোটি টাকার হাট-বাজার ইজারা কার্যক্রম প্রস্তুত করতে গিয়ে শিডিউল জমাই দিতে পারেনি ঠিকাদারেরা। স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ উপজেলার ২০টি হাট-বাজারের শিডিউল প্রস্তুত প্রক্রিয়ায় নামে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি তারা।
৪ ঘণ্টা আগেবিভাগীয় শহর রংপুরে গত দেড় দশকে মানুষের পাশাপাশি বেড়েছে যানবাহনের চাপ। কিন্তু ট্রাফিক ব্যবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। এতে তীব্র যানজটে দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তিন বছর আগে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হলেও তা কাজে আসছে না।
৪ ঘণ্টা আগেএককালে ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি। বিএনপির সমর্থন নিয়ে হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানও। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভিড়তে শুরু করেন শামীম ওসমানের সঙ্গে। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
৪ ঘণ্টা আগেবিশাল সমুদ্রসৈকত। তারই এক পাশের মাটি কেটে বানানো হচ্ছে বাড়ি। কেউ আবার বাড়ির আদলে পুকুর কেটে রেখেছে। অনেকে মাটি কেটে নিজেদের সীমানা তৈরি করেছে। গত ৫ আগস্ট রাজনীতির পটপরিবর্তনের পর পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ সৈকতের চিত্র এটি। সেখানে চলছে সৈকতের জায়গা দখলের
৪ ঘণ্টা আগে