Ajker Patrika

টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু

টাঙ্গাইলের বাসাইলে জিজান হাসান দীপ্ত (১৮) নামে এক শিক্ষার্থী কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বাসাইল থানার উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত জিজান হাসান দীপ্ত সখীপুর উপজেলার চাকদহ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম মল্লিকের ছেলে। দীপ্ত ঢাকায় পিলখানায় অবস্থিত বীর শ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ থেকে ২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। দীপ্ত মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

বাসাইল পৌরসভার কাউন্সিলর প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয়ে কলেজছাত্র জিজান হাসান দীপ্ত গত ২৪ জানুয়ারি থেকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। ৯দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁর মৃত্যু হয়।’

এদিকে কিশোর গ্যাংয়ের মূলহোতা শাকিল আহাম্মেদ ওরফে টিকটক শাকিলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জিজান হাসান দীপ্ত গত ২৩ জানুয়ারি বাসাইল দক্ষিণপাড়ায় তার নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরে ২৪ জানুয়ারি দুপুরে বাসাইল উত্তরপাড়ার নাঈম ও সজল খানের সঙ্গে জিজান হাসান দীপ্ত বাসাইল বাজারে ঘুরতে যায়। সেখানে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান শাকিলের সঙ্গে নাঈমের দ্বন্দ্ব থাকায় বাসাইল বাজারের একটি ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নাঈমকে ভয়ভীতি দেখায়। ওই দিনই সন্ধ্যায় বাসাইল মনি ক্লিনিকের কাছে নাঈম, সজল ও দীপ্তকে দেখে শাকিলের নেতৃত্বে কিশোররা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় নাঈম ও সজল দৌড়ে পালালেও জিজান হাসান দীপ্ত ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়। পরে জিজান হাসান দীপ্তকে আহত অবস্থায় বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় জিজান হাসান দীপ্তর মা সোহেলী সুলতানা দিপা বাদী হয়ে ২৭ জানুয়ারি বাসাইল থানায় ৮জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।

থানার উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার পর পুলিশ ঘটনায় জড়িত শাকিল, অনিক এবং আসাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা করে। বর্তমানে তারা তিনজন কারাগারে রয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত