Ajker Patrika

আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলার আরেক আসামির কারাগারে মৃত্যু

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪: ৩৭
আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলার আরেক আসামির কারাগারে মৃত্যু

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আরও এক আসামি মো. সমীর (৪২) কারাগারে মারা গেছেন। আজ শনিবার সকালে টাঙ্গাইলের জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে মারা যান তিনি।

মৃত সমীর শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার মৃত তফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ফারুক হত্যা মামলায় ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর থেকে টাঙ্গাইল কারাগারে ছিলেন। 

জেল সুপার বলেন, ‘গতকাল রাত পৌনে ৯টার দিকে সমীর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কারা চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে তিনি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে একাধিকবার চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। আজ সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ যথানিয়মে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’ 

এর আগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা (৪২) কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে। দুই দফা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর আনিসুল ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। রাজার স্বীকারোক্তিতেই হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সাংসদ আমানুর রহমান খান ওরফে রানাসহ তাঁর ভাইদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এরপর থেকে তিনি টাঙ্গাইল কারাগারে ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তাঁর কলেজপাড়া বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে আনিসুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

আদালতে দেওয়া ওই দুজনের স্বীকারোক্তিতে হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান, তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খানের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর তাঁরা আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। পরে সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন। তিন বছরের বেশি সময় হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হন তিনি। তাঁদের অপর দুই ভাই জাহিদুর ও সানিয়াত এখনো পলাতক রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বীর্যে বিরল অ্যালার্জি, নারীর বন্ধ্যত্ব নিয়ে চিকিৎসকদের নতুন সতর্কতা

কক্সবাজারে যাওয়ার পথে ২৩ মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

আওয়ামী লীগ নেতাকে ধরতে গিয়ে ছেলের বঁটির আঘাতে এসআই আহত, আটক ২

নিহত ১১, আহত ৫০, ভারতের সেই মাঠ থেকে সরে যেতে পারে বিশ্বকাপ

এক টন কয়লাও ইসরায়েলে যাবে না, নির্দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত