নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সমাধানের আশ্বাসের পরও বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে অষ্টম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকেরা। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় তাঁদের অবস্থান ও উভয় দিকের রাস্তা অবরোধের ফলে দুপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল সোমবার লাগাতার অবস্থানের একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাউশির মাধ্যমিক ও কলেজ শাখা পরিচালক, একজন উপপরিচালক ও পুলিশের কয়েকজন সদস্য।
টানা আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে শিক্ষক প্রতিনিধিদের দাবির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা এবং আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন মাউশি মহাপরিচালক। এ সময় তিনি চলমান আন্দোলন স্থগিতের জন্য শিক্ষক নেতাদের অনুরোধ করেন।
জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষকদের দাবি উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করব। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আন্দোলন প্রত্যাহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে শিক্ষকদের অনুরোধ করেছি।’
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার রাত ৮টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, ‘চলমান আন্দোলন স্থগিতের বিষয়ে সব জেলা, অঞ্চল ও মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের অবস্থান হলো আলোচনা ও আন্দোলন দুটোই একসঙ্গে চলবে। আমরা চাই বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা।’
গতকাল সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মাউশিতে আন্দোলনকারী শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে। মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। শিক্ষক নেতাদের মধ্যে বিটিএর সভাপতি বজলুর রহমান, সম্পাদক শেখ কাওছার আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষক সংগঠন বিটিএর সভাপতি বজলুর রহমান মিয়া বলেন, ‘মাউশি ডিজিসহ অন্যরা আমাদের জানিয়েছেন, বর্তমানে শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিব অসুস্থ। তবে মাউশির পক্ষ থেকে আমাদের দাবির বিষয়টি মন্ত্রীকে জানানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু আমরা সুস্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি, তাই আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দাবির সুস্পষ্ট সমাধান না পেলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ গতকাল বৈঠক শেষে বলেন, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ডেকে তাঁদের দাবির বিষয়টি শুনেছি। এই দাবির বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করব। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আন্দোলন প্রত্যাহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে শিক্ষকদের অনুরোধ করেছি আমি।’
এর আগে ১১ জুলাই থেকে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষকেরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত রোববার সারা দেশে ক্লাস বন্ধ রেখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ সকাল থেকেই শিক্ষকেরা প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন। সকাল ১০টার মধ্যে প্রেসক্লাবের সামনের পল্টন মোড় থেকে হাইকোর্ট মোড়গামী রাস্তা অবরোধ করে রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা। তাঁদের মুহুর্মুহু স্লোগান শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনের উভয় রাস্তাই বন্ধ করে দেন শিক্ষকেরা। এতে রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এই সড়ক বন্ধ হওয়ায় আশপাশের কয়েক এলাকায় যানজট শুরু হয়, শুরু হয় যানবাহনের দীর্ঘ সারি, ভোগান্তি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সমাধানের আশ্বাসের পরও বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে অষ্টম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকেরা। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় তাঁদের অবস্থান ও উভয় দিকের রাস্তা অবরোধের ফলে দুপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল সোমবার লাগাতার অবস্থানের একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাউশির মাধ্যমিক ও কলেজ শাখা পরিচালক, একজন উপপরিচালক ও পুলিশের কয়েকজন সদস্য।
টানা আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে শিক্ষক প্রতিনিধিদের দাবির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা এবং আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন মাউশি মহাপরিচালক। এ সময় তিনি চলমান আন্দোলন স্থগিতের জন্য শিক্ষক নেতাদের অনুরোধ করেন।
জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষকদের দাবি উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করব। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আন্দোলন প্রত্যাহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে শিক্ষকদের অনুরোধ করেছি।’
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার রাত ৮টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, ‘চলমান আন্দোলন স্থগিতের বিষয়ে সব জেলা, অঞ্চল ও মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের অবস্থান হলো আলোচনা ও আন্দোলন দুটোই একসঙ্গে চলবে। আমরা চাই বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা।’
গতকাল সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মাউশিতে আন্দোলনকারী শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে। মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। শিক্ষক নেতাদের মধ্যে বিটিএর সভাপতি বজলুর রহমান, সম্পাদক শেখ কাওছার আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষক সংগঠন বিটিএর সভাপতি বজলুর রহমান মিয়া বলেন, ‘মাউশি ডিজিসহ অন্যরা আমাদের জানিয়েছেন, বর্তমানে শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিব অসুস্থ। তবে মাউশির পক্ষ থেকে আমাদের দাবির বিষয়টি মন্ত্রীকে জানানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু আমরা সুস্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি, তাই আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দাবির সুস্পষ্ট সমাধান না পেলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ গতকাল বৈঠক শেষে বলেন, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ডেকে তাঁদের দাবির বিষয়টি শুনেছি। এই দাবির বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করব। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আন্দোলন প্রত্যাহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে শিক্ষকদের অনুরোধ করেছি আমি।’
এর আগে ১১ জুলাই থেকে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষকেরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত রোববার সারা দেশে ক্লাস বন্ধ রেখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ সকাল থেকেই শিক্ষকেরা প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন। সকাল ১০টার মধ্যে প্রেসক্লাবের সামনের পল্টন মোড় থেকে হাইকোর্ট মোড়গামী রাস্তা অবরোধ করে রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা। তাঁদের মুহুর্মুহু স্লোগান শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনের উভয় রাস্তাই বন্ধ করে দেন শিক্ষকেরা। এতে রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এই সড়ক বন্ধ হওয়ায় আশপাশের কয়েক এলাকায় যানজট শুরু হয়, শুরু হয় যানবাহনের দীর্ঘ সারি, ভোগান্তি।
মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৩৪ মিনিট আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৭ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৮ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৯ ঘণ্টা আগে