Ajker Patrika

সাটুরিয়ায় পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের ঝুলন্ত লাশ

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
Thumbnail image

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার ঘিওর এলাকার মো. বাদশা মিয়ার পরিত্যক্ত ভবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। 

নিহতের বাবার দাবি তাঁর ছেলেকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সাটুরিয়া পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। 

নিহত ব্যক্তির নাম ছানোয়ার হোসেন (৩৫)। তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মো. আফজাল হোসেনের ছেলে। তিনি কৃষিকাজের পাশাপাশি মাহেন্দ্র গাড়ি চালাতেন। 

তিনি একই উপজেলার সাটুরিয়া ইউনিয়নের ঘিওর এলাকার মো. লুৎফর রহমানের মেয়েকে বিয়ে করেছেন। এই দম্পতির দুই ছেলে সন্তান আছে। বড় ছেলে ইসরাফিল প্রথম শ্রেণির ছাত্র আর ছোট ছেলে ইয়ামিন হোসেন মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। ছানোয়ারের স্ত্রী ধামরাইয়ের একটি তুলা কারখানায় কাজ করেন। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকজন লোক আজ শুক্রবার খেতে কাজ করতে এসে ওই পরিত্যক্ত ভবনের পিলারের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানায়। পরে তিনি থানায় খবর দেন। 

শ্বশুর মো. লুৎফর রহামান জানান, ‘আমার দুই মেয়ে। সংসারে ছেলে না থাকায় বড় মেয়ের জামাই ছানোয়ার আমার বাড়িতে থাকে। ১০ দিন আগে সে তার বাড়িতে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে সে আমার বাড়ির উদ্দ্যেশ বের হয়ে আর আসেনি। আজ শুক্রবার সকালে জানতে পারি জামাই ফাঁসিতে ঝুলছে।’ শ্বশুরের দাবি তার মেয়ের জামাইকে কে বা কারা হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে। 

নিহত ছানোয়ারের বাবা আফজাল হোসেনের দাবি, তাঁর ছেলের মৃত্যু অস্বাভাবিক। কেউ তাঁর ছেলেকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়ে নাটক সাজিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।’ 

সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম বলেন, লাশের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে হত্যা না অপমৃত্যু। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত