নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘আইনজীবী সমিতিতে আগে এ রকম সরাসরি দলাদলি খুব একটা ছিল না। আমার মনে হচ্ছে ধীরে ধীরে সমিতির যে ঐতিহ্য, তা ক্ষয়িষ্ণু করে ফেলছি। বিচার বিভাগকে ছোট করে কখনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা সম্ভব না। এটি আমাদের প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে। আগে দ্বিমত থাকলেও বারের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সবাইকে নিয়ে চলা, সবার প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ছিল।’
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি এম ওজায়ের ফারুকের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট বারের শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে ওজায়ের ফারুকের ছেলে ব্যারিস্টার এম ইমতিয়াজ ফারুক এবং তাঁর চেম্বারের জুনিয়র আইনজীবীরা এই আয়োজন করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বারের সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘বারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা আইনজীবীদের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরতাম। এখন মনে হয় ওপর দিক থেকে কেউ চাপিয়ে দিচ্ছে, আর আমরা ভোট করতেছি। ওপর থেকে চাপিয়ে দিলাম আর নেতা হলাম–এই নেতৃত্ব দিয়ে বার কখনো শক্তিশালী হবে না। আশা করব, আগামী দিনে আইনজীবীরাই তাঁদের নেতা তৈরি করুক।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ওজায়ের ফারুক অনুপ্রেরণার আরেক নাম। বারের সভাপতির কাছে আবেদন জানাব, যারা কৃতী আইনজীবী আছেন—তাঁদের স্মরণে প্রত্যেক মাসে এ রকম স্মরণসভা করা। যাতে জুনিয়ররা জানতে পারে কেন তিনি প্রথিতযশা।’
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘সবার সঙ্গে ওজায়ের ফারুকের সম্পর্ক ছিল। তিনি মানুষকে প্রচণ্ড খাওয়াতে পছন্দ করতেন। মানুষকে ভালোবাসা তাঁর অন্তরজুড়ে ছিল। আসুন আমরা সবাই মানুষকে ভালোবাসার চেষ্টা করি।’
সাবেক প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের সমাজব্যবস্থায় প্রচণ্ড অবক্ষয়ের স্রোত নেমেছে। যেখানে নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ, সমাজ সেবক ও গুনী মানুষের সংখ্যা প্রায় কমে আসছে। এমন সময়ে ওজায়ের ফারুককে স্মরণ করার মধ্য দিয়ে উপলব্ধি করতে চাই–তাঁরা যে বৈশিষ্ট্যের ছিলেন, আমাদের জীবনে যদি লালন করতে পারি—তাহলে তাঁকে স্মরণ করা যথার্থ হবে।’
সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমাজ অনেক কষ্টে আছি। আমাদের নেতা আছে অনেক, নেতৃত্বের অভাব। সবকিছু হারিয়ে ফেলছি আমরা। আইনজীবী হিসেবে যেভাবে কথা বলা উচিত, যেভাবে ভূমিকা রাখা উচিত—সেটা ভুলে যাচ্ছি। বার চালানোর বিষয়ে যে ভূমিকা রাখা উচিত মনে হয়, সেটা পারছি না। আজকে দৈন্যদশা আমাদের। এই অবস্থায় ওয়াজের ফারুকের মতো একজন নেতৃত্ব দরকার ছিল।’
স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মাসুদ হোসেন দোলন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস কে মোরশেদ প্রমুখ।
সাবেক রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘আইনজীবী সমিতিতে আগে এ রকম সরাসরি দলাদলি খুব একটা ছিল না। আমার মনে হচ্ছে ধীরে ধীরে সমিতির যে ঐতিহ্য, তা ক্ষয়িষ্ণু করে ফেলছি। বিচার বিভাগকে ছোট করে কখনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা সম্ভব না। এটি আমাদের প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে। আগে দ্বিমত থাকলেও বারের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সবাইকে নিয়ে চলা, সবার প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ছিল।’
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি এম ওজায়ের ফারুকের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট বারের শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে ওজায়ের ফারুকের ছেলে ব্যারিস্টার এম ইমতিয়াজ ফারুক এবং তাঁর চেম্বারের জুনিয়র আইনজীবীরা এই আয়োজন করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বারের সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘বারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা আইনজীবীদের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরতাম। এখন মনে হয় ওপর দিক থেকে কেউ চাপিয়ে দিচ্ছে, আর আমরা ভোট করতেছি। ওপর থেকে চাপিয়ে দিলাম আর নেতা হলাম–এই নেতৃত্ব দিয়ে বার কখনো শক্তিশালী হবে না। আশা করব, আগামী দিনে আইনজীবীরাই তাঁদের নেতা তৈরি করুক।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ওজায়ের ফারুক অনুপ্রেরণার আরেক নাম। বারের সভাপতির কাছে আবেদন জানাব, যারা কৃতী আইনজীবী আছেন—তাঁদের স্মরণে প্রত্যেক মাসে এ রকম স্মরণসভা করা। যাতে জুনিয়ররা জানতে পারে কেন তিনি প্রথিতযশা।’
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘সবার সঙ্গে ওজায়ের ফারুকের সম্পর্ক ছিল। তিনি মানুষকে প্রচণ্ড খাওয়াতে পছন্দ করতেন। মানুষকে ভালোবাসা তাঁর অন্তরজুড়ে ছিল। আসুন আমরা সবাই মানুষকে ভালোবাসার চেষ্টা করি।’
সাবেক প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের সমাজব্যবস্থায় প্রচণ্ড অবক্ষয়ের স্রোত নেমেছে। যেখানে নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ, সমাজ সেবক ও গুনী মানুষের সংখ্যা প্রায় কমে আসছে। এমন সময়ে ওজায়ের ফারুককে স্মরণ করার মধ্য দিয়ে উপলব্ধি করতে চাই–তাঁরা যে বৈশিষ্ট্যের ছিলেন, আমাদের জীবনে যদি লালন করতে পারি—তাহলে তাঁকে স্মরণ করা যথার্থ হবে।’
সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমাজ অনেক কষ্টে আছি। আমাদের নেতা আছে অনেক, নেতৃত্বের অভাব। সবকিছু হারিয়ে ফেলছি আমরা। আইনজীবী হিসেবে যেভাবে কথা বলা উচিত, যেভাবে ভূমিকা রাখা উচিত—সেটা ভুলে যাচ্ছি। বার চালানোর বিষয়ে যে ভূমিকা রাখা উচিত মনে হয়, সেটা পারছি না। আজকে দৈন্যদশা আমাদের। এই অবস্থায় ওয়াজের ফারুকের মতো একজন নেতৃত্ব দরকার ছিল।’
স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মাসুদ হোসেন দোলন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস কে মোরশেদ প্রমুখ।
ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল বলেন, সমাবেশ সফল করতে ময়মনসিংহ থেকে ট্রেনে করে ৫ হাজার নেতাকর্মী ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছি। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের সঠিক বার্তা আসবে সমাবেশ থেকে।
৯ মিনিট আগেপালিয়ে যাওয়া ৮২৬ বন্দীর মধ্যে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন প্রচারণায় সাড়া দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ৬৪৬ বন্দী। পলাতক থাকা বাকী ১৮০ জন বন্দীর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় ৫৮ জনকে। এখনও পলাতক রয়েছেন আরও ১২২ জন। লুট হওয়া ৮৫টি অস্ত্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫১টি অস্ত্র উদ্ধার হলেও হদিস মেলেনি ৩৪টি অস্ত্রের।
১ ঘণ্টা আগেছারছীনা দরবার শরীফে ঘুরে গেলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল ওয়াহাব আস সায়দানি। শুক্রবার (১৮ জুলাই) তিনি দরবারে এসে ছারছীনার পীর আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন (মা.জি.আ.)-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
২ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির আয়োজনে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে কোচ সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী বিহু উৎসব উদ্যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে একাডেমির হলরুমে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
২ ঘণ্টা আগে