Ajker Patrika

ঈদে এমন সুনসান ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক কখনো দেখেনি কেউ

আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
ঈদে এমন সুনসান ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক কখনো দেখেনি কেউ

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। এমন সময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে নেই গাড়ি, নেই যাত্রীর চাপ। যানজটমুক্ত মহাসড়কের এ রকম ভিন্ন চিত্র আগে দেখেনি কেউ।

নাড়ির টানে সবাই ছুটছে বাড়িতে। স্বভাবতই দেশের সব সড়ক-মহাসড়কে, টার্মিনাল, নৌঘাট এলাকায় থাকবে উপচেপড়া ভিড়। দেশের অন্যতম ব্যস্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষই পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েই বাড়ি যাচ্ছেন। পদ্মা সেতু দিয়ে বাড়ি—তাঁদের কাছে এ যেন এক স্বপ্নের মতো বিষয়। তাই স্বপ্ন পূরণ করতেই উৎসাহী মানুষের অভিমুখ ছিল মাওয়া রুটের পদ্মা সেতুর দিকেই। ফলে অনেকটাই ফাঁকা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক।

ঈদের আগে আগে যানজটমুক্ত এ মহাসড়কের এ রকম চিত্র আগে দেখেনি কেউ। গত ঈদের এই সময়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে কমপক্ষে সাত দিন ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ সঙ্গী করে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেছিল মানুষ। কিন্তু মাত্র দু মাসের ব্যবধানে চিত্রটা একদম বদলে গেছে। যাত্রীর চাপ না থাকায় অনেকটাই গাড়ি-শূন্য আলোচিত এই মহাসড়ক। তবে কিছুক্ষণ পরপর কোরবানির পশু বহনের ট্রাক ও মিনি ট্রাক চলাচল করছে এই রুটে।

মহাসড়কের বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ডের দোকানদার মো. ইদ্রীস আলী বলেন, অল্প যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে কিছু বাস ও প্রাইভেটকার। সড়কে লেগুনা-অটোরিকশাসহ অন্য স্থানীয় পরিবহনের চাপও নেই বললেই চলে। সব মিলিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক এখন ফাঁকা।

কিছু কোরবানির পশুবাহী ট্রাক, পিকআপ, আর হিউম্যান হলার দেখা যাচ্ছে। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের আব্দুস সালাম নামে এক যাত্রী বলেন, ‘সাভার থেকে মানিকগঞ্জ আসতে সময় লেগেছে আধা ঘণ্টা। পরিবার নিয়ে খুব স্বচ্ছন্দে এলাম। রাস্তা ফাঁকা, কোথাও যানজট নেই। এমন দৃশ্য আমার জীবনেও দেখিনি।

শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মহাসড়কের বানিয়াজুরী, মানিকগঞ্জ, বরংগাইল স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, অল্প দূরত্বের যাত্রীরা অটোরিকশা-লেগুনা এবং বেশি দূরত্বের যাত্রীরা নিজেদের প্রয়োজনমতো প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাসে যাতায়াত করছেন। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরেও ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ দেখা যায়নি।

যাত্রীর চাপ না থাকায় অনেকটাই গাড়ি-শূন্য আলোচিত এই মহাসড়ক। তবে গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত এই মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়িয়েছে কিছু ভিন্ন রুটের বাস। স্বাভাবিক ছিল দূরপাল্লার যানবাহনের চলাচলও। তখন ঢাকা ছেড়েছে অসংখ্য মানুষ। এ ছাড়া শিল্প-কারখানাগুলো ঈদের তিন দিন আগে ছুটি ঘোষণা করায় শ্রমিকেরাও যার যার মতো গাড়ি ভাড়া করে চলে গেছেন নিজেদের গন্তব্যে।

বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ সড়কের পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। কোথাও কোনো যানজট নেই। মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সদস্যরা রয়েছেন। তাঁরা সড়কের পরিস্থিতি মনিটরিং করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত