গাজীপুর প্রতিনিধি
ঈদ বোনাসসহ দুই মাসের বকেয়া না দিয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের ঘোষণায় গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকা-জয়দেবপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। দুই ঘণ্টা পর জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
এ ঘটনায় কাল (বৃহস্পতিবার) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বকেয়া বেতন প্রদানের বিষয়ে মালিক–শ্রমিক পক্ষকে নিয়ে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়।
জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর তিন সড়ক এলাকায় স্টাইলক্রাফট নামে তৈরি পোশাক কারখানাটিতে প্রায় তিন হাজারের মতো শ্রমিক কাজ করে। কারখানাটিতে জুন ও জুলাই মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পাওনা রয়েছে শ্রমিকেরা।
শ্রমিকেরা জানান, মালিকপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে স্টাইল ক্র্যাফট পোশাক কারখানাটির কয়েক মাস পরপরই বেতন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। কারখানাটিতে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। মালিক পক্ষের কাছে জুন, জুলাই মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পাওনা রয়েছে। বকেয়া বেতন-ভাতা নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
এর প্রেক্ষিতে গত ২৬ জুলাই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মালিক পক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১ আগস্ট তাদের বেতন পরিশোধ করার কথা। কিন্তু মালিক পক্ষ ১ তারিখে বেতন পরিশোধ না করে কারখানা থেকে চলে যায়। পাওনা বুঝে না পেয়ে গতকাল শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরে যায়।
তারা জানান, আজ বুধবার সকালে ৮টার দিকে কারখানায় কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকেরা গেটে কারখানায় বন্ধের নোটিশ দেখতে পান। বকেয়া পরিশোধ না করে কোন কিছু না জানিয়ে এভাবে হঠাৎ কারখানা বন্ধের নোটিশ দেওয়ায় শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামেন। উত্তেজিত শ্রমিকেরা ঢাকা-জয়দেবপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ কারণে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তি পড়েছেন যাত্রী ও পথচারীরা।
কারখানার শ্রমিক লতা সাবিনা ও মল্লিকা বলেন, ‘চলতি মাসসহ তিন মাসের বেতন বকেয়া থাকায় বাড়ি ভাড়া, দোকানের বাকি টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।’ তাই অবিলম্বে বেতন ভাতা পরিশোধে সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা চান তারা।
শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মো. রেজাউল করিম জানান, বেতন ভাতা পরিশোধের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানার মালিকের সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১ আগস্ট জুন মাসের বেতন ও ৮ আগস্ট শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেওয়ার কথা।
কিন্তু মালিক পক্ষ বেতনাদি পরিশোধ না করেই কারখানা ছয় দিনের বন্ধ ঘোষণা করেন। বুধবার সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগদান করতে এসে বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়ে আন্দোলনে নামেন। তারা বিক্ষোভ মিছিল করে জয়দেবপুর ঢাকা সড়ক অবরোধ করে রাখে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের দাবি পূরণের জন্য মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। বিষয়টি পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। তবে মালিক পক্ষ জানিয়েছে, বেতনের টাকা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় কারখানা ছয় দিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শোয়েব শাত ইল ইভান জানান, ‘শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়টি গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের নজরে আসলে তিনি মালিক এবং শ্রমিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, পরে আন্দোলনরত শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক কারখানার মালিক পক্ষের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার মালিক ও শ্রমিক পক্ষকে নিয়ে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করেন। আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা তা মেনে নিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে।’
জিএমপির সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া ইসলাম জানান, ‘জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের আলোচনা বৃহস্পতিবার আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। পরে ১০টার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
ঈদ বোনাসসহ দুই মাসের বকেয়া না দিয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের ঘোষণায় গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকা-জয়দেবপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। দুই ঘণ্টা পর জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
এ ঘটনায় কাল (বৃহস্পতিবার) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বকেয়া বেতন প্রদানের বিষয়ে মালিক–শ্রমিক পক্ষকে নিয়ে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়।
জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর তিন সড়ক এলাকায় স্টাইলক্রাফট নামে তৈরি পোশাক কারখানাটিতে প্রায় তিন হাজারের মতো শ্রমিক কাজ করে। কারখানাটিতে জুন ও জুলাই মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পাওনা রয়েছে শ্রমিকেরা।
শ্রমিকেরা জানান, মালিকপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে স্টাইল ক্র্যাফট পোশাক কারখানাটির কয়েক মাস পরপরই বেতন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। কারখানাটিতে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। মালিক পক্ষের কাছে জুন, জুলাই মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পাওনা রয়েছে। বকেয়া বেতন-ভাতা নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
এর প্রেক্ষিতে গত ২৬ জুলাই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মালিক পক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১ আগস্ট তাদের বেতন পরিশোধ করার কথা। কিন্তু মালিক পক্ষ ১ তারিখে বেতন পরিশোধ না করে কারখানা থেকে চলে যায়। পাওনা বুঝে না পেয়ে গতকাল শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরে যায়।
তারা জানান, আজ বুধবার সকালে ৮টার দিকে কারখানায় কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকেরা গেটে কারখানায় বন্ধের নোটিশ দেখতে পান। বকেয়া পরিশোধ না করে কোন কিছু না জানিয়ে এভাবে হঠাৎ কারখানা বন্ধের নোটিশ দেওয়ায় শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামেন। উত্তেজিত শ্রমিকেরা ঢাকা-জয়দেবপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ কারণে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তি পড়েছেন যাত্রী ও পথচারীরা।
কারখানার শ্রমিক লতা সাবিনা ও মল্লিকা বলেন, ‘চলতি মাসসহ তিন মাসের বেতন বকেয়া থাকায় বাড়ি ভাড়া, দোকানের বাকি টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।’ তাই অবিলম্বে বেতন ভাতা পরিশোধে সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা চান তারা।
শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মো. রেজাউল করিম জানান, বেতন ভাতা পরিশোধের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানার মালিকের সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১ আগস্ট জুন মাসের বেতন ও ৮ আগস্ট শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেওয়ার কথা।
কিন্তু মালিক পক্ষ বেতনাদি পরিশোধ না করেই কারখানা ছয় দিনের বন্ধ ঘোষণা করেন। বুধবার সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগদান করতে এসে বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়ে আন্দোলনে নামেন। তারা বিক্ষোভ মিছিল করে জয়দেবপুর ঢাকা সড়ক অবরোধ করে রাখে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের দাবি পূরণের জন্য মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। বিষয়টি পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। তবে মালিক পক্ষ জানিয়েছে, বেতনের টাকা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় কারখানা ছয় দিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শোয়েব শাত ইল ইভান জানান, ‘শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়টি গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের নজরে আসলে তিনি মালিক এবং শ্রমিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, পরে আন্দোলনরত শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক কারখানার মালিক পক্ষের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার মালিক ও শ্রমিক পক্ষকে নিয়ে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করেন। আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা তা মেনে নিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে।’
জিএমপির সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া ইসলাম জানান, ‘জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের আলোচনা বৃহস্পতিবার আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। পরে ১০টার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
রাজধানীর গুলশানে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
২৪ মিনিট আগেআজ রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনা বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কারখানার কয়েক শ শ্রমিক। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩৬ মিনিট আগেভুল ট্রেনে উঠে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামি টাঙ্গাইলের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে পৃথকভাবে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুজন বিচারকের কাছে তাঁরা জবানবন্দি দেন। রাত ৯টার দিকে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক মিনহাজ উদ্দিন ফরাজী এবং রুমেলিয়া
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, আপনাদের এই জমায়েত আমাদের বিশ্বাস করায়, যারা এখন মামলা বাণিজ্য করছেন, যারা চাঁদাবাজি করছেন, তাঁদের দিন ফুরিয়ে আসছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, আমাদের এই তরুণ প্রজন্ম যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে
২ ঘণ্টা আগে