হারুনূর রশিদ, (রায়পুরা) নরসিংদী
‘ইতিকাফ আল্লাহ কবুল করবেন কি না জানি না। কয়দিন আর বাচমু, ঋণ পরিশোধ না করলে তো আল্লাহ মাফ করবে না। ৪০ বছর আগের মহাজনের দেনা পরিশোধ করতে পেরেছি। এখন মরেও শান্তি পাব।’ কথাগুলো বলছিলেন ৪০ বছর আগের ঋণ পরিশোধ করে মসজিদে ইতিকাফে বসা নব্বই-ঊর্ধ্ব প্রবীণ মো. ফুল মিয়া।
তিনি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরসুবুদ্দি ইউনিয়নের বাটখোলা উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। বাড়ির মহল্লার মসজিদে ইতিকাফে বসার আগে ফুল মিয়া পরিশোধ করেছেন ৪০ বছর আগে মহাজনের কাছ থেকে নেওয়া ৩ হাজার টাকা।
গতকাল শনিবার বিকেলে এ নিয়ে কথা হয় ফুল মিয়ার সঙ্গে। তিনি হাসিমুখে বলেন, ‘প্রায় ৪০ বছর আগে ডৌকারচরের মো. লোকমান চেয়ারম্যানের (সাবেক) কাছ থেকে আমিসহ এই এলাকার অনেকেই বাকিতে মাল (সুতা) বাড়িতে এনে তাঁত বুইনতাম। তাঁত বুনে তা বিক্রি করে কোনোমতে চলতো সংসার। হঠাৎ তাঁত ব্যবসায় সবার লস হয়ে যায় (নব্বইয়ের দশকে হ্যান্ডলুমের বিপর্যয়ে অনেক তাঁতি নিঃস্ব হয়ে যায়), আমিসহ অনেকের টাকাও আটকে যায়। সংসারেও অভাব, খাওয়া-পরার বেহাল অবস্থায় দিন গেছে। ভয়ে তাঁর সঙ্গে আর দেখা করিনি। এমনে কেটে যায় বহু বছর। ঋণের টাকা পরিশোধ করা হয়ে ওঠেনি।’
ফুল মিয়া আরও বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই ভাবি টাকাটা (ঋণ) পরিশোধ কইরা দেম। কেউ জানে না আমার কাছে লোকমান চেয়ারম্যান টাকা পাইব, কেউ আমার কাছে চায়ও না। আমি তো জানি, আমার কাছে টাকা পাইব। টাকা পরিশোধ করে দিতাম চাইলেও টাকাটা আর জমাইতাম পারি না, জমাইলেও খরচ হইয়া যায়। মহাজন মারা যায়, কার কাছে দিমু, কীভাবে দিমু, অনেক চিন্তাভাবনায় আর দেওয়া হয় নাই।’
টাকা ফেরত দেওয়ার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ফুল মিয়া বলেন, ‘এইবার ঠিক করছি, যে করেই হোক টাকাটা জমায়ে ঋণটা পরিশোধ করুম। আগে থেকেই ভাইব্বা রাখছি রমজান আইলে এত্তেকাফে বমু, তার আগে যে করেই হোক টাকাটা নিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যামু। টাকাটা ভাও-জোগাড় করে এত্তেকাফে বসার আগে পাশের গ্রাম ডৌকারচরের চেয়ারম্যানের বাড়িতে গেলাম। বাড়িতে গিয়ে পাইলাম চেয়ারম্যানের ভাই আব্দুল হাইকে, ওনারে আমি আগে থেকেই চিনতাম। লোকমান সাবের একজন ছেলে আছে, নাম হুনছি সোহেল, আমি চিনি না। তার কাছে জানতে চাইলাম সোহেল কোথায়? আব্দুল হাইয়ের পরিবার (স্ত্রী) সেখানে ছিল। উনারা জানালেন তাঁরা বাড়িতে থাকে না, ঢাহা (ঢাকা) থাকেন। উনাদের কাছে সব ঘটনা খোলাসা করে বলে টাকাটা আব্দুল হাইয়ের হাতে দিলাম।’
ফুল মিয়া আরও বলেন, ‘হেরপর তাঁরা বলল, ‘‘আমরা টাকা পাইছি। কত মানুষ কত টাকা মেরে দিছে, আপনি ৩ হাজার টাকা নিয়া আসছেন? টাকাটা আপনি রেখে দেন।’’— বলে জোর করে দিয়ে দিল। তহন আমিও জোর করে উনার হাতে ৫০০ টাকা দিয়ে বললাম, রাখলে আমি খুশি হইমু, এ রকম বলে কোনো রকমে দিয়া আসছি।’
অশীতিপর এই বৃদ্ধ এরপর কিছুটা আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘উনারা টাকাটা না নিয়ে ফেরত দিয়া উল্টো যথেষ্ট আদর-ইজ্জত করলেন। ঘরে নিয়ে সোফায় বসায়ছে। রোজা না থাকলে মনে হয় না খাওয়ায়ে ছাড়তেন না। তাঁদের ব্যবহারে আমি অনেক খুশি। আমি টাকাটা নিয়ে গেছি এতেই তারাঁ খুশি।’ ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার পর তাঁর চোখেমুখে এক যুবকের হাসি ফুটে ওঠে।
স্ত্রী ও চার ছেলে নিয়ে ফুল মিয়ার সংসার। সারা জীবন অভাব-অনটন ও বয়সের ছাপ দেহজুড়ে স্পষ্ট। বয়সের ভারে ন্যুব্জ পড়েছে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। শরীরের বাসা বেঁধেছে নানাবিধ রোগ। এরপরও তিনি কারও করুণা নিয়ে চলেন না। এখনো যুবকের মতোই দৃঢ় মনোবল তাঁর। কাজ-কর্মের পাশাপাশি ইবাদত করেই কাটান ফুল মিয়া। কষ্ট হলেও নিজের উপার্জনেই চলতে চান শেষনিশ্বাস পর্যন্ত।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ, ফারুক মোল্লা, শামসুল হক বলেন, ‘এই যুগে এমন মানুষ পাওয়া খুবই বিরল ব্যাপার। তিনি পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করেন। এরপরও এত বছর পরে ঋণ পরিশোধ করেছেন। এতে সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন—সততা ও দায়িত্ববোধ কাকে বলে। তাঁর এমন কাজে এলাকাবাসী গর্বিত।’
মসজিদের ইমাম নূর মোহাম্মদ বলেন, ঋণ পরিশোধের ব্যাপারে পবিত্র কোরআন শরিফে অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনকি আল্লাহতায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন, যেন মৃত ব্যক্তির সম্পদ বণ্টন ও ওসিয়ত পালনের পূর্বেই তাঁর ঋণ পরিশোধ করা হয়। হাদিসে আছে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাহাবিদের জানাজা পড়াতেন না, যদি তাঁর ঋণ অপরিশোধিত থাকত। তাই ফুল মিয়ার কাজে এলাকার সবাই অভিভূত।’
মহাজন লোকমান হোসেনের ছেলে মো. সোহেল পারভেজ বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করেন। তিনি বাংলাদেশ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘লোকটি ইতিকাফে বসার আগে নিজের ঋণের কথা ভেবেছেন। এই সমাজে অনেকেই লোকদেখানো অনেক কিছু করে, বহুবার হজ করে, কিন্তু তাঁরা দেনা-পাওনার কথা ভাবেন না। কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে এসে ওই চাচা বলেন, ‘‘প্রায় ৪০ বছর আগে আমি সোহেল পারভেজের বাবা লোকমান হোসেনের কাছ থেকে সুতা কিনেছিলাম। টাকাটা পরিশোধ করতে পারিনি। আমি এই রমজানে ইতিকাফে বসব। তাই আমি আমার ঋণ পরিশোধ করতে চাই। অনেক কষ্ট করে তিন হাজার টাকা জোগাড় করে মহাজনের ঋণের টাকাটা দিতে এসেছি, না নিলে আমি কষ্ট পাব।’’’
সোহেল পারভেজ আরও বলেন, ‘আমি বললাম, ‘‘আপনি এসেছেন এতেই অনেক খুশি। এই টাকার প্রতি আমাদের কোনো দাবি নেই। তারপরও তিনি জোর করে ৫০০ টাকা দিয়ে গেছেন। এলাকায় গেলে আমি চাচাকে দেখতে যাব। আল্লাহ চাচাকে নেক হায়াত দান করুক। চাচার জন্য দোয়া করি। আল্লাহ চাচার সকল গুনাহ মাফ করুক। আমার তিন বোন ও বাবার একমাত্র ছেলে আমি। আমি আমার পরিবারের পক্ষে চাচাসহ সকল তাঁতিদের পাওনা মাফ করে দিয়েছি।’”
‘ইতিকাফ আল্লাহ কবুল করবেন কি না জানি না। কয়দিন আর বাচমু, ঋণ পরিশোধ না করলে তো আল্লাহ মাফ করবে না। ৪০ বছর আগের মহাজনের দেনা পরিশোধ করতে পেরেছি। এখন মরেও শান্তি পাব।’ কথাগুলো বলছিলেন ৪০ বছর আগের ঋণ পরিশোধ করে মসজিদে ইতিকাফে বসা নব্বই-ঊর্ধ্ব প্রবীণ মো. ফুল মিয়া।
তিনি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরসুবুদ্দি ইউনিয়নের বাটখোলা উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। বাড়ির মহল্লার মসজিদে ইতিকাফে বসার আগে ফুল মিয়া পরিশোধ করেছেন ৪০ বছর আগে মহাজনের কাছ থেকে নেওয়া ৩ হাজার টাকা।
গতকাল শনিবার বিকেলে এ নিয়ে কথা হয় ফুল মিয়ার সঙ্গে। তিনি হাসিমুখে বলেন, ‘প্রায় ৪০ বছর আগে ডৌকারচরের মো. লোকমান চেয়ারম্যানের (সাবেক) কাছ থেকে আমিসহ এই এলাকার অনেকেই বাকিতে মাল (সুতা) বাড়িতে এনে তাঁত বুইনতাম। তাঁত বুনে তা বিক্রি করে কোনোমতে চলতো সংসার। হঠাৎ তাঁত ব্যবসায় সবার লস হয়ে যায় (নব্বইয়ের দশকে হ্যান্ডলুমের বিপর্যয়ে অনেক তাঁতি নিঃস্ব হয়ে যায়), আমিসহ অনেকের টাকাও আটকে যায়। সংসারেও অভাব, খাওয়া-পরার বেহাল অবস্থায় দিন গেছে। ভয়ে তাঁর সঙ্গে আর দেখা করিনি। এমনে কেটে যায় বহু বছর। ঋণের টাকা পরিশোধ করা হয়ে ওঠেনি।’
ফুল মিয়া আরও বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই ভাবি টাকাটা (ঋণ) পরিশোধ কইরা দেম। কেউ জানে না আমার কাছে লোকমান চেয়ারম্যান টাকা পাইব, কেউ আমার কাছে চায়ও না। আমি তো জানি, আমার কাছে টাকা পাইব। টাকা পরিশোধ করে দিতাম চাইলেও টাকাটা আর জমাইতাম পারি না, জমাইলেও খরচ হইয়া যায়। মহাজন মারা যায়, কার কাছে দিমু, কীভাবে দিমু, অনেক চিন্তাভাবনায় আর দেওয়া হয় নাই।’
টাকা ফেরত দেওয়ার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ফুল মিয়া বলেন, ‘এইবার ঠিক করছি, যে করেই হোক টাকাটা জমায়ে ঋণটা পরিশোধ করুম। আগে থেকেই ভাইব্বা রাখছি রমজান আইলে এত্তেকাফে বমু, তার আগে যে করেই হোক টাকাটা নিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যামু। টাকাটা ভাও-জোগাড় করে এত্তেকাফে বসার আগে পাশের গ্রাম ডৌকারচরের চেয়ারম্যানের বাড়িতে গেলাম। বাড়িতে গিয়ে পাইলাম চেয়ারম্যানের ভাই আব্দুল হাইকে, ওনারে আমি আগে থেকেই চিনতাম। লোকমান সাবের একজন ছেলে আছে, নাম হুনছি সোহেল, আমি চিনি না। তার কাছে জানতে চাইলাম সোহেল কোথায়? আব্দুল হাইয়ের পরিবার (স্ত্রী) সেখানে ছিল। উনারা জানালেন তাঁরা বাড়িতে থাকে না, ঢাহা (ঢাকা) থাকেন। উনাদের কাছে সব ঘটনা খোলাসা করে বলে টাকাটা আব্দুল হাইয়ের হাতে দিলাম।’
ফুল মিয়া আরও বলেন, ‘হেরপর তাঁরা বলল, ‘‘আমরা টাকা পাইছি। কত মানুষ কত টাকা মেরে দিছে, আপনি ৩ হাজার টাকা নিয়া আসছেন? টাকাটা আপনি রেখে দেন।’’— বলে জোর করে দিয়ে দিল। তহন আমিও জোর করে উনার হাতে ৫০০ টাকা দিয়ে বললাম, রাখলে আমি খুশি হইমু, এ রকম বলে কোনো রকমে দিয়া আসছি।’
অশীতিপর এই বৃদ্ধ এরপর কিছুটা আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘উনারা টাকাটা না নিয়ে ফেরত দিয়া উল্টো যথেষ্ট আদর-ইজ্জত করলেন। ঘরে নিয়ে সোফায় বসায়ছে। রোজা না থাকলে মনে হয় না খাওয়ায়ে ছাড়তেন না। তাঁদের ব্যবহারে আমি অনেক খুশি। আমি টাকাটা নিয়ে গেছি এতেই তারাঁ খুশি।’ ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার পর তাঁর চোখেমুখে এক যুবকের হাসি ফুটে ওঠে।
স্ত্রী ও চার ছেলে নিয়ে ফুল মিয়ার সংসার। সারা জীবন অভাব-অনটন ও বয়সের ছাপ দেহজুড়ে স্পষ্ট। বয়সের ভারে ন্যুব্জ পড়েছে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। শরীরের বাসা বেঁধেছে নানাবিধ রোগ। এরপরও তিনি কারও করুণা নিয়ে চলেন না। এখনো যুবকের মতোই দৃঢ় মনোবল তাঁর। কাজ-কর্মের পাশাপাশি ইবাদত করেই কাটান ফুল মিয়া। কষ্ট হলেও নিজের উপার্জনেই চলতে চান শেষনিশ্বাস পর্যন্ত।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ, ফারুক মোল্লা, শামসুল হক বলেন, ‘এই যুগে এমন মানুষ পাওয়া খুবই বিরল ব্যাপার। তিনি পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করেন। এরপরও এত বছর পরে ঋণ পরিশোধ করেছেন। এতে সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন—সততা ও দায়িত্ববোধ কাকে বলে। তাঁর এমন কাজে এলাকাবাসী গর্বিত।’
মসজিদের ইমাম নূর মোহাম্মদ বলেন, ঋণ পরিশোধের ব্যাপারে পবিত্র কোরআন শরিফে অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনকি আল্লাহতায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন, যেন মৃত ব্যক্তির সম্পদ বণ্টন ও ওসিয়ত পালনের পূর্বেই তাঁর ঋণ পরিশোধ করা হয়। হাদিসে আছে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাহাবিদের জানাজা পড়াতেন না, যদি তাঁর ঋণ অপরিশোধিত থাকত। তাই ফুল মিয়ার কাজে এলাকার সবাই অভিভূত।’
মহাজন লোকমান হোসেনের ছেলে মো. সোহেল পারভেজ বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করেন। তিনি বাংলাদেশ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘লোকটি ইতিকাফে বসার আগে নিজের ঋণের কথা ভেবেছেন। এই সমাজে অনেকেই লোকদেখানো অনেক কিছু করে, বহুবার হজ করে, কিন্তু তাঁরা দেনা-পাওনার কথা ভাবেন না। কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে এসে ওই চাচা বলেন, ‘‘প্রায় ৪০ বছর আগে আমি সোহেল পারভেজের বাবা লোকমান হোসেনের কাছ থেকে সুতা কিনেছিলাম। টাকাটা পরিশোধ করতে পারিনি। আমি এই রমজানে ইতিকাফে বসব। তাই আমি আমার ঋণ পরিশোধ করতে চাই। অনেক কষ্ট করে তিন হাজার টাকা জোগাড় করে মহাজনের ঋণের টাকাটা দিতে এসেছি, না নিলে আমি কষ্ট পাব।’’’
সোহেল পারভেজ আরও বলেন, ‘আমি বললাম, ‘‘আপনি এসেছেন এতেই অনেক খুশি। এই টাকার প্রতি আমাদের কোনো দাবি নেই। তারপরও তিনি জোর করে ৫০০ টাকা দিয়ে গেছেন। এলাকায় গেলে আমি চাচাকে দেখতে যাব। আল্লাহ চাচাকে নেক হায়াত দান করুক। চাচার জন্য দোয়া করি। আল্লাহ চাচার সকল গুনাহ মাফ করুক। আমার তিন বোন ও বাবার একমাত্র ছেলে আমি। আমি আমার পরিবারের পক্ষে চাচাসহ সকল তাঁতিদের পাওনা মাফ করে দিয়েছি।’”
মাদারীপুরের ডাসারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আজিজুল হাওলাদার (৬০) নামের এক চায়ের দোকানির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ধামুসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
৫ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
৩১ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
৩২ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে