Ajker Patrika

বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২২, ১৪: ৪৬
বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব 

অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও তামাক ও বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, গুলের মতো তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘২০২২-২৩ অর্থবছরে তামাক পণ্যে কর বিষয়ে প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি।

প্রস্তাবে ফিল্টারবিহীন বিড়ি (২৫ শলাকার প্যাকেট) ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা, ফিল্টারযুক্ত বিড়ির (২০ শলাকার প্যাকেট) ১৯ টাকা থেকে ২০ টাকা, নিম্ন স্তরের সিগারেট ৩৯ টাকা থেকে ৪০ টাকা, মধ্যম স্তরের সিগারেট ৬৩ টাকা থেকে ৭৫ টাকা, উচ্চস্তরের সিগারেট ১০২ টাকা থেকে ১২০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটে ১৩৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যে জর্দা প্রতি ১০ গ্রাম ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা এবং গুল ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 

উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আতিউর রহমান বলেন, এ বছর বাজেট তৈরি করতে বাজেট প্রণেতারা খুব হিমশিম খাবেন। কোভিড-পরবর্তীতে অর্থনীতি খুব দ্রুত পুনরুদ্ধার হচ্ছে। সে জন্য চাহিদা ও জোগানের ওপর খুব চাপ পড়ছে, যার ফলে বিভিন্ন খাতের ব্যয় দ্রুত বেড়ে গেছে। যেমন—জাহাজের খরচ সাত গুণ বেড়ে গেছে, যার জন্য আমদানি করা পণ্যের দাম অনেক বেশি বেড়ে গেছে। ফলে আমাদের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন আরও বেশি বাড়াতে হবে। তামাকপণ্যে কর বাড়ানোর ফল হিসেবে ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা উদ্ধৃত আয় হবে। এই খাতে কর বাড়ালে কোভিড সময়ে ভর্তুকি দেওয়া খাতগুলো আগের পর্যায়ে আনা সম্ভব। 

আতিউর রহমান বলেন, সবচেয়ে দরিদ্র ২০ শতাংশ পরিবার তার বার্ষিক গড় আয়ের এক-পঞ্চমাংশের বেশি ব্যয় করছে তামাকপণ্যের পেছনে। তামাকের ওপর কার্যকর করারোপ নিয়ে অ্যাডভোকেসি পরিচালনার সময় বিভিন্ন অংশীজনের পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের ওপর তামাক ব্যবহারের আর্থিক ও অন্যান্য প্রভাব আলাদা করে দেখানোর পরামর্শ এসেছে। 

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক অরুপ রতন চক্রবর্তী বলেন, সম্প্রতি যে করোনা আমাদের ছারখার করে দিয়েছে, করোনার সঙ্গে তামাকের সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। ধূমপানের কারণে ফুসফুস আক্রান্ত হয়, ফলে একজন ধূমপায়ীর কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর মৃত্যু অন্য রোগীর চাইতে দ্রুত ঘটবে। 

তিনি বলেন, তামাক যে শুধু গ্রহণকারীর ক্ষতি করে তা না, পরোক্ষভাবে যে ধূমপান করে তারাও ক্ষতি করে থাকে। ল্যানসেটের এক গবেষণায় দেখা যায়, নারীদের যে স্তন ক্যানসার হয়, তার বড় একটা কারণ পরোক্ষ ধূমপান। পরোক্ষ ধূমপান, অর্থাৎ আশপাশে ধূমপান করার কারণে নারীরা সেই ধোঁয়া গ্রহণ করে, যার ফলে তাঁরা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। যতই সিগারেটের ওপর করারোপ করা যাবে, ততই ধূমপায়ী কমে আসবে এবং এটা প্রমাণিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত