Ajker Patrika

আজকের মধ্যে ইশরাককে শপথ পড়াতে আইনি নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়াতে স্থানীয় সরকার সচিবকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজকের মধ্যে শপথ পড়াতে ইশরাক হোসেনের পক্ষে তাঁর আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, রায় অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ২৭ মে গেজেট জারি করেছে। আইন অনুসারে গেজেট জারির ৩০ দিনের মধ্যে শপথ নিতে হবে। ২৯ দিন পার হয়ে গেছে।

এদিকে ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুসা। তিনি বলেন, ‘আমরা লিভ টু আপিল করেছি। এটি এখন চেম্বার আদালতে শুনানি হবে।’

এর আগে রিটকারীর আইনগত অধিকার নেই, এই রিট গ্রহণযোগ্য নয়–বলে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ তা সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন। পরে বিকেলে সাত পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হয়।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। ইশরাক হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। যদিও তাঁরা নিজেদের অফিসার অব দ্য কোর্ট হিসেবে দাবি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন ও খান জিয়াউর রহমান।

বৃহস্পতিবার আদেশের পর ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন–এ মামলাটা এসেছে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল থেকে। কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন (ট্রাইব্যুনালে মামলার বিবাদী হিসেবে), তিনি অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে যেতে পারেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে কেউ আপিলে যায়নি। আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গেজেট করেছে। গেজেট অনুসারে এখন শপথ হবে। শপথ না পড়ালে সেটা আদালত অবমাননা হবে।

ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করতে আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ নামে দুই ব্যক্তি। নোটিশে গেজেট প্রকাশ এবং ইশরাককে শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। তবে নোটিশের পর রাতেই গেজেট প্রকাশ করা হয়। নোটিশের বিষয়ে ওই সময় আইনজীবী বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে দ্রুত রায়টি দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল এমন কোনো আদেশ দিতে পারেন না যে আদেশের কোনো কার্যকারিতা নেই। এখানে মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এ ছাড়া অধ্যাদেশের মাধ্যমে মেয়র পদশূন্য করে দেওয়া হয়েছে। পরে মামুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ২৭ এপ্রিলের গেজেট কেন বেআইনি হবে না এবং ইশরাক হোসেনের শপথ পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়। এ ছাড়া রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় রায় ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত