Ajker Patrika

দুই স্কুলের একই শ্রেণিতে নিয়মিত হাজির হচ্ছে সে!

আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২২, ১০: ০৪
দুই স্কুলের একই শ্রেণিতে নিয়মিত হাজির হচ্ছে সে!

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর দুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। এ নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাজিরা খাতাসহ দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে তলব করলে এ ঘটনার সত্যতাও মেলে। স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হওয়ার কারণে একটি স্কুলে অধ্যয়নরত থাকলেও আরেকটিতে ভর্তি করেছেন মেয়ের বাবা। এই অভিযোগ উপজেলার পাচঁপীর দরগাহ এলাকার বাসিন্দা আক্তার মামুন শিপার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আক্তার মামুন শিপারের মেয়ে মোগরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী। প্রথম শ্রেণি থেকেই সে ওই স্কুলে পড়ছে। চলতি বছরের জুন মাসে তিনি প্রত্যয়নপত্র ছাড়া মেয়েকে পাচঁপীর দরগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করেন। দুটি বিদ্যালয়েরই হাজিরা খাতায় তাঁর মেয়ের উপস্থিতি নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। নিয়মিত উপস্থিত না হলেও পাচঁপীর দরগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহারের নির্দেশে একজন শ্রেণিশিক্ষক সঞ্জয় কুমার দাস নিয়মিত তাঁর মেয়ের হাজিরা দিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাজিরা খাতাসহ দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে তলব করেন।  

এ নিয়ে মোগরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিতাই চন্দ্র বর্মণ জানান, আক্তার মামুন শিপারের মেয়ে  আমার প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণির নিয়মিত ছাত্রী। সে অন্য কোনো স্কুলে ভর্তি হয়েছে কি না, আমার জানা নেই। 

পাঁচপীর দরগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শ্রেণিশিক্ষক সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, ‘আক্তার মামুন শিপারের মেয়ে মাঝেমধ্যে স্কুলে আসে। তবে সে প্রতিদিনই একবার এসে হাজিরা দিয়ে যায়।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আক্তার মামুন শিপার বলেন, ‘আমার মেয়ে মোগরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। পরে তাকে জুন মাসে পাঁচপীর দরগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করেছি। সে এখন দুটি স্কুলেই লেখাপড়া করে।’

পাচঁপীর দরগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নার জানান, ‘চলতি বছরের জুন মাসে ওই মেয়ে এই স্কুলে ভর্তি হয়। সে সপ্তাহে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে আসে। প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার জন্য তার অভিভাবককে বলেছি। তবে হাজিরা খাতায় প্রতিদিন কী কারণে উপস্থিতি দেখানো হয়েছে এ বিষয়ে শ্রেণিশিক্ষকই বলতে পারবেন।’

এ নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দৌলতর রহমান বলেন, ‘দুটি স্কুলে একই সময়ে উপস্থিত থাকতে পারে বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি কীভাবে ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত