ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর সরকারি অফিস খোলার প্রথম দিনে (মঙ্গলবার) প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগে মন্ত্রী ছিলেন না। কয়েকজন সচিব অফিস করলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব বা জনপ্রশাসন সচিব আসেননি। সচিবালয়ের ভেতর-বাইরে কোথাও দেখা যায়নি পুলিশও। মন্ত্রী-সচিবদের কয়েকজন গানম্যানকে দেখা মিললেও তাঁরা ছিলেন সাদা পোশাকে।
‘নিরাপত্তা নেই, হামলা হতে পারে’ এমন অজুহাতে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী সচিবালয় ছেড়েছেন দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যেই। তার আগেই সব মন্ত্রীর নামফলক সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
তবে সচিবালয়ের মূল ফটকে পাহারায় ছিলেন কয়েকজন সেনাসদস্য।
সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অফিসে আগুন লেগেছে, এমন খবর শুনে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই সচিবালয় ছাড়তে শুরু করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দুই-একজন কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে থাকার আহ্বান জানালেও বেশির ভাগই বেরিয়ে যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন যুগ্ম সচিব আজকের পত্রিকাকে জানান, সচিবালয়ে সাধারণত নিরাপত্তা দেয় পুলিশ বাহিনী, কিন্তু আজ কোনো পুলিশ দায়িত্বে নেই। সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য আছেন তাও অনেক কম। এ কারণেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সচিবালয়ে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। কোনো জায়গা থেকে আতঙ্ক বা গুজব ছড়ানো হয়েছে, তাই তাঁরা চলে যাচ্ছেন।
দুপুর সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ের মূল ফটকে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (নিরাপত্তা) শাহে এলিদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই অজানা কারণে চলে যাচ্ছেন। তাঁদের কে ছুটি দিয়েছেন? দলে দলে লোকজন চলে যাচ্ছেন! কেন যাচ্ছেন কিছুই বলতে পারছি না।’
মঙ্গলবার সরেজমিনে সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, মন্ত্রিসভা ভেঙে যাওয়ার পর সচিবালয় ছিল মন্ত্রীশূন্য। কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা এলেও, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন সচিবসহ বেশির ভাগ সচিবকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সচিবালয়ে দেখা যায়নি। যাঁরা এসেছেন তাঁরাও কোনো পর্যায় থেকে নির্দেশনা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।
কেউ কেউ একে অন্যের রুমে কথা বলে সময় কাটাচ্ছেন, উদ্বেগও আছে তাঁদের মধ্যে। সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের সচিবদের পিএস এবং গুরুত্বপূর্ণ উইংয়ের কর্মকর্তারা সচিবালয়ে এলেও নিজ নিজ কক্ষে অবস্থান না করে, অন্য রুমে সময় কাটাচ্ছেন। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, সরকার বদল হওয়ায় সদ্য সাবেক সরকারের সময় বঞ্চিত কর্মকর্তাদের কেউ কেউ অপ্রীতিকর ব্যবহার করতে পারেন।
সচিবদের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, পানি সম্পদ এবং বাণিজ্যসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব সচিবালয়ে উপস্থিত হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে। তবে দপ্তরে গিয়ে অনেককে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, সচিবালয়ে বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে টাঙানো বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ছবি, ব্যানার নামিয়ে ফেলা হয়েছে।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর সরকারি অফিস খোলার প্রথম দিনে (মঙ্গলবার) প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগে মন্ত্রী ছিলেন না। কয়েকজন সচিব অফিস করলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব বা জনপ্রশাসন সচিব আসেননি। সচিবালয়ের ভেতর-বাইরে কোথাও দেখা যায়নি পুলিশও। মন্ত্রী-সচিবদের কয়েকজন গানম্যানকে দেখা মিললেও তাঁরা ছিলেন সাদা পোশাকে।
‘নিরাপত্তা নেই, হামলা হতে পারে’ এমন অজুহাতে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী সচিবালয় ছেড়েছেন দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যেই। তার আগেই সব মন্ত্রীর নামফলক সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
তবে সচিবালয়ের মূল ফটকে পাহারায় ছিলেন কয়েকজন সেনাসদস্য।
সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অফিসে আগুন লেগেছে, এমন খবর শুনে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই সচিবালয় ছাড়তে শুরু করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দুই-একজন কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে থাকার আহ্বান জানালেও বেশির ভাগই বেরিয়ে যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন যুগ্ম সচিব আজকের পত্রিকাকে জানান, সচিবালয়ে সাধারণত নিরাপত্তা দেয় পুলিশ বাহিনী, কিন্তু আজ কোনো পুলিশ দায়িত্বে নেই। সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য আছেন তাও অনেক কম। এ কারণেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সচিবালয়ে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। কোনো জায়গা থেকে আতঙ্ক বা গুজব ছড়ানো হয়েছে, তাই তাঁরা চলে যাচ্ছেন।
দুপুর সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ের মূল ফটকে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (নিরাপত্তা) শাহে এলিদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই অজানা কারণে চলে যাচ্ছেন। তাঁদের কে ছুটি দিয়েছেন? দলে দলে লোকজন চলে যাচ্ছেন! কেন যাচ্ছেন কিছুই বলতে পারছি না।’
মঙ্গলবার সরেজমিনে সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, মন্ত্রিসভা ভেঙে যাওয়ার পর সচিবালয় ছিল মন্ত্রীশূন্য। কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা এলেও, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন সচিবসহ বেশির ভাগ সচিবকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সচিবালয়ে দেখা যায়নি। যাঁরা এসেছেন তাঁরাও কোনো পর্যায় থেকে নির্দেশনা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।
কেউ কেউ একে অন্যের রুমে কথা বলে সময় কাটাচ্ছেন, উদ্বেগও আছে তাঁদের মধ্যে। সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের সচিবদের পিএস এবং গুরুত্বপূর্ণ উইংয়ের কর্মকর্তারা সচিবালয়ে এলেও নিজ নিজ কক্ষে অবস্থান না করে, অন্য রুমে সময় কাটাচ্ছেন। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, সরকার বদল হওয়ায় সদ্য সাবেক সরকারের সময় বঞ্চিত কর্মকর্তাদের কেউ কেউ অপ্রীতিকর ব্যবহার করতে পারেন।
সচিবদের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, পানি সম্পদ এবং বাণিজ্যসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব সচিবালয়ে উপস্থিত হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে। তবে দপ্তরে গিয়ে অনেককে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, সচিবালয়ে বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে টাঙানো বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ছবি, ব্যানার নামিয়ে ফেলা হয়েছে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় লবণের মাঠ দখল ও পূর্বশত্রুতার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার সরল ইউনিয়নের উত্তর সরল নতুন বাজার এলাকায় স্থানীয় জাফর ও কবির গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ
১৩ মিনিট আগেখুলনার প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এম মজিবর রহমানকে (৭০) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ময়লাপোতা মোড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৭ মিনিট আগেকুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের নিজ বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২১ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জে অটোরিকশা ছিনতাইকালে যুবদলের এক নেতা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফিরোজ কবির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। আটক সম্রাট ওরফে বাবু মিজি (৩৬) সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
৪১ মিনিট আগে