ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ আসামিদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক জানান, চেয়ারম্যান শ্রমিকদের মারধর শুরু করে ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে যান। পরে তিনি প্রশাসনকে নিয়ে আবার উদ্ধার অভিযানেও থাকেন।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৮টায় মধুখালীর সামগ্রিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামে সাত নির্মাণশ্রমিককে নির্যাতন করার ঘটনা ঘটে। পরে এলাকাবাসীকে জানানো হয় মন্দিরে আগুন দিয়েছেন শ্রমিকেরা। মারধরে আরশাদুল ও আশরাফুল নামে দুই সহোদরের মৃত্যু হয়। পরে নির্যাতনের সময় ধারণ করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন ও ১ নং ইউপি সদস্য অজিত কুমার সরকার শ্রমিকদের মারধর করেন। পরে কয়েকজন তরুণ নির্মমভাবে পেটাতে থাকে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গা ঢাকা দিয়েছেন ওই চেয়ারম্যান ও সদস্য।
ডুমাইন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপনের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে জানিয়ে চেয়ারম্যানকে ‘অভ্যাসগত অপরাধী’ উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান শ্রমিকদের মারধর শুরু করে ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে যান। পরে তিনি প্রশাসনকে নিয়ে আবার উদ্ধার অভিযানেও থাকেন। তাঁর এই দ্বৈত ভূমিকার জন্য প্রথমে অপরাধটি নজরে আসেনি। তাঁকে গ্রেপ্তারের খুব কাছাকাছি প্রশাসন চলে গিয়েছিল। মাগুরা ও যশোর থেকে তাঁকে শনাক্ত করা হয়েছিল। তিনি মোবাইল ব্যবহার না করার কারণে এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করায় প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। তিনি একজন অভ্যাসগত অপরাধী হওয়ায় লুকিয়ে থাকার বিষয় ভালো রপ্ত করেছেন। আমরা চেষ্টা করছি তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য।’
ব্রিফিংয়ে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য কেউ যদি তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ দেওয়া হবে। তবে তিনি অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করেননি।
একই সঙ্গে আসামিরা যাতে দেশ ত্যাগ না করতে পারে সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থা বিমানবন্দর ও বর্ডার এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেন, আসামিদের কাছে পাসপোর্ট না থাকায় কেউ বৈধপথে দেশ ত্যাগ করতে পারবে না। তারা অবৈধপথেও যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সে জন্য সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেও অনুরোধ করা হয়েছে।
চেয়ারম্যানের অতীত অপরাধের ফিরিস্তি তুলে ধরে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চেয়ারম্যানকে এর আগে ইউএনওর ওপর হামলা ও টিসিবির কার্ড আত্মসাতের কারণে দুইবার বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু বরখাস্তের পরে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা এনে কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। প্রশাসনিক কার্যক্রমে তাঁকে নিবৃত্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। যার কারণে তাঁর ভেতর বেপরোয়া ভাব তৈরি হয়েছে। পুনরায় আমরা তাঁকে ও ইউপি সদস্য বরখাস্ত করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেকগুলো নাম পেয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এ সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রেপ্তারের অংশ দেখানো হবে।’
এদিকে মন্দিরে আগুন ও শ্রমিকদের নির্যাতন করে দুজনকে হত্যার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে জেলা পুলিশের একজন প্রতিনিধি এবং জেলা আনসার ও ভিডিপির কমান্ড্যান্টকে এ তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এ তদন্ত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এ সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি কমিটি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, এলাকাটি পুরুষশূন্য থাকায় তদন্ত কার্যক্রম বিলম্ব হচ্ছে। এ ছাড়া ভিকটিমেরা ঢাকায় এবং গাজীপুরে হাসপাতালে থাকায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলার কারণেও বিলম্ব হচ্ছে। তদন্ত কমিটি আরও সাত দিন সময় চেয়েছে। আমরা তাদের তদন্ত কার্যক্রম যথাযথভাবে শেষ করার জন্য সাত দিন সময় দিয়েছি। আশা করা যায়, এক সপ্তাহের ভেতর তাঁরা একটি প্রতিবেদন জমা দেবেন।
ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ আসামিদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক জানান, চেয়ারম্যান শ্রমিকদের মারধর শুরু করে ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে যান। পরে তিনি প্রশাসনকে নিয়ে আবার উদ্ধার অভিযানেও থাকেন।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৮টায় মধুখালীর সামগ্রিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামে সাত নির্মাণশ্রমিককে নির্যাতন করার ঘটনা ঘটে। পরে এলাকাবাসীকে জানানো হয় মন্দিরে আগুন দিয়েছেন শ্রমিকেরা। মারধরে আরশাদুল ও আশরাফুল নামে দুই সহোদরের মৃত্যু হয়। পরে নির্যাতনের সময় ধারণ করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন ও ১ নং ইউপি সদস্য অজিত কুমার সরকার শ্রমিকদের মারধর করেন। পরে কয়েকজন তরুণ নির্মমভাবে পেটাতে থাকে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গা ঢাকা দিয়েছেন ওই চেয়ারম্যান ও সদস্য।
ডুমাইন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপনের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে জানিয়ে চেয়ারম্যানকে ‘অভ্যাসগত অপরাধী’ উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান শ্রমিকদের মারধর শুরু করে ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে যান। পরে তিনি প্রশাসনকে নিয়ে আবার উদ্ধার অভিযানেও থাকেন। তাঁর এই দ্বৈত ভূমিকার জন্য প্রথমে অপরাধটি নজরে আসেনি। তাঁকে গ্রেপ্তারের খুব কাছাকাছি প্রশাসন চলে গিয়েছিল। মাগুরা ও যশোর থেকে তাঁকে শনাক্ত করা হয়েছিল। তিনি মোবাইল ব্যবহার না করার কারণে এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করায় প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। তিনি একজন অভ্যাসগত অপরাধী হওয়ায় লুকিয়ে থাকার বিষয় ভালো রপ্ত করেছেন। আমরা চেষ্টা করছি তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য।’
ব্রিফিংয়ে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য কেউ যদি তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ দেওয়া হবে। তবে তিনি অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করেননি।
একই সঙ্গে আসামিরা যাতে দেশ ত্যাগ না করতে পারে সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থা বিমানবন্দর ও বর্ডার এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেন, আসামিদের কাছে পাসপোর্ট না থাকায় কেউ বৈধপথে দেশ ত্যাগ করতে পারবে না। তারা অবৈধপথেও যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সে জন্য সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেও অনুরোধ করা হয়েছে।
চেয়ারম্যানের অতীত অপরাধের ফিরিস্তি তুলে ধরে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চেয়ারম্যানকে এর আগে ইউএনওর ওপর হামলা ও টিসিবির কার্ড আত্মসাতের কারণে দুইবার বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু বরখাস্তের পরে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা এনে কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। প্রশাসনিক কার্যক্রমে তাঁকে নিবৃত্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। যার কারণে তাঁর ভেতর বেপরোয়া ভাব তৈরি হয়েছে। পুনরায় আমরা তাঁকে ও ইউপি সদস্য বরখাস্ত করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেকগুলো নাম পেয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এ সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রেপ্তারের অংশ দেখানো হবে।’
এদিকে মন্দিরে আগুন ও শ্রমিকদের নির্যাতন করে দুজনকে হত্যার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে জেলা পুলিশের একজন প্রতিনিধি এবং জেলা আনসার ও ভিডিপির কমান্ড্যান্টকে এ তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এ তদন্ত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এ সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি কমিটি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, এলাকাটি পুরুষশূন্য থাকায় তদন্ত কার্যক্রম বিলম্ব হচ্ছে। এ ছাড়া ভিকটিমেরা ঢাকায় এবং গাজীপুরে হাসপাতালে থাকায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলার কারণেও বিলম্ব হচ্ছে। তদন্ত কমিটি আরও সাত দিন সময় চেয়েছে। আমরা তাদের তদন্ত কার্যক্রম যথাযথভাবে শেষ করার জন্য সাত দিন সময় দিয়েছি। আশা করা যায়, এক সপ্তাহের ভেতর তাঁরা একটি প্রতিবেদন জমা দেবেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৬ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৭ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৮ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৮ ঘণ্টা আগে