মাদারীপুর প্রতিনিধি
ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদারীপুরের একই পরিবারের চার জনসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। ঢাকা থেকে একসঙ্গে তিন বোন মাইক্রোবাস ভাড়া করে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসছিলেন। পথে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল তাঁদের। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালকও নিহত হয়েছেন।
আজ বুধবার সকালে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ডোমরাকান্দি এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এ প্রাণহানি ঘটে। এ সময় সড়কের দুইপাড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
নিহতরা হলেন— মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর এলাকার কাজী আব্দুল হামিদের মেয়ে নাসিমা বেগম (৬২), সালাম বেগম (৫৮) ও আসমা বেগম (৫৬)। এ ছাড়া নিহত হয়েছেন তিন বোনের ভাবি কমল বানু (৭৫)। কমল বানু একই এলাকার কাজী হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী। নিহত মাইক্রোবাস চালকের পরিচয় জানা যায়নি।
এ দুর্ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন— মাইক্রোবাসের যাত্রী, নিহত তিন বোনের আত্মীয় কাজী হুমায়ুন কবির, খায়রুল আলম কাজী ও নাজমা বেগম। বাকি একজন বাসের যাত্রীর পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ, স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সকালে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে গ্লোবাল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ডোমরাকান্দি এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের চালক ও একই পরিবারের চারজন নিহত হন। আহত চারজনকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্বজনেরা জানান, ঢাকার ধানমন্ডি থেকে ভাবি ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে মাদারীপুরের কালকিনির গোপালপুরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসছিলেন তিন বোন নাসিমা, সালমা ও আসমা বেগম। তিন বোন ঈদ করতে বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন।
বাসের যাত্রী ও পোশাক শ্রমিক নদী আক্তার রুবি, বরিশালের যাত্রী সোহাগ হাসানসহ একাধিক যাত্রী জানান, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসার পর থেকেই অনেক গতি ছিল বাসটির। চালককে নিষেধ করা হলেও শোনেননি। পথে কালকিনির ভুরঘাটায় এক ভ্যানচালকেও ধাক্কা দেয়। পরে এই ঘটনা ঘটায়।
নিহতদের স্বজন কাজী কাজল বলেন, ‘এভাবে তিন ফুফু ও এক চাচি মারা যাবে কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। এত বড় শোক মানা খুব কঠিন। ঘাতক বাসের চালককে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি। চালক বাস বেশি জোরে চালানোর জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
তিন বোনের ভাইয়ের ছেলে কাজী আসাদ বলেন, ‘আমার চাচা হুমায়ন কবিরের পরিবারের চারজনসহ মোট পাঁচজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। এমন মৃত্যু কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।’
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা, মাদারীপুর রাজৈরের তাঁতিকান্দা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নিই। এই দুর্ঘটনায় পাঁচজন মারা গেছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার থানা এলাকার একই পরিবারের চারজনসহ মোট পাঁচজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।
ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদারীপুরের একই পরিবারের চার জনসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। ঢাকা থেকে একসঙ্গে তিন বোন মাইক্রোবাস ভাড়া করে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসছিলেন। পথে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল তাঁদের। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালকও নিহত হয়েছেন।
আজ বুধবার সকালে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ডোমরাকান্দি এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এ প্রাণহানি ঘটে। এ সময় সড়কের দুইপাড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
নিহতরা হলেন— মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর এলাকার কাজী আব্দুল হামিদের মেয়ে নাসিমা বেগম (৬২), সালাম বেগম (৫৮) ও আসমা বেগম (৫৬)। এ ছাড়া নিহত হয়েছেন তিন বোনের ভাবি কমল বানু (৭৫)। কমল বানু একই এলাকার কাজী হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী। নিহত মাইক্রোবাস চালকের পরিচয় জানা যায়নি।
এ দুর্ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন— মাইক্রোবাসের যাত্রী, নিহত তিন বোনের আত্মীয় কাজী হুমায়ুন কবির, খায়রুল আলম কাজী ও নাজমা বেগম। বাকি একজন বাসের যাত্রীর পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ, স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সকালে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে গ্লোবাল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ডোমরাকান্দি এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের চালক ও একই পরিবারের চারজন নিহত হন। আহত চারজনকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্বজনেরা জানান, ঢাকার ধানমন্ডি থেকে ভাবি ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে মাদারীপুরের কালকিনির গোপালপুরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসছিলেন তিন বোন নাসিমা, সালমা ও আসমা বেগম। তিন বোন ঈদ করতে বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন।
বাসের যাত্রী ও পোশাক শ্রমিক নদী আক্তার রুবি, বরিশালের যাত্রী সোহাগ হাসানসহ একাধিক যাত্রী জানান, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসার পর থেকেই অনেক গতি ছিল বাসটির। চালককে নিষেধ করা হলেও শোনেননি। পথে কালকিনির ভুরঘাটায় এক ভ্যানচালকেও ধাক্কা দেয়। পরে এই ঘটনা ঘটায়।
নিহতদের স্বজন কাজী কাজল বলেন, ‘এভাবে তিন ফুফু ও এক চাচি মারা যাবে কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। এত বড় শোক মানা খুব কঠিন। ঘাতক বাসের চালককে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি। চালক বাস বেশি জোরে চালানোর জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
তিন বোনের ভাইয়ের ছেলে কাজী আসাদ বলেন, ‘আমার চাচা হুমায়ন কবিরের পরিবারের চারজনসহ মোট পাঁচজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। এমন মৃত্যু কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।’
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা, মাদারীপুর রাজৈরের তাঁতিকান্দা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নিই। এই দুর্ঘটনায় পাঁচজন মারা গেছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার থানা এলাকার একই পরিবারের চারজনসহ মোট পাঁচজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।
‘মায়ের রক্তচাপ বেড়ে হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। উপায় না পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকাতে নিয়ে যাই। কারণ মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে আসি। কিন্তু এই চিকিৎসা এখানেই...
২ ঘণ্টা আগেকেউ একা এসেছেন, কেউ পরিবার নিয়ে। কারও হাতে হালিমের বাটি, আবার কারও হাতে ছোলা ভুনা, পিঁয়াজু, বেগুনির প্যাকেট। সবাই ইফতারি কিনতে ভিড় জমিয়েছেন রাজধানীর বেইলি রোডে। পুরান ঢাকার চকবাজারের পর রকমারি ইফতার বাজার হিসেবে রাজধানীবাসীর অন্যতম পছন্দের জায়গা বেইলি রোড। প্রতিবছরের মতো এবার রমজানেও সুস্বাদু...
২ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে একটি কথিত মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা তোরণ ভাঙচুরসহ ওরস পণ্ড করে দেয়। গত সোমবার রাতে মাসকা বাজারসংলগ্ন ‘হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজারে’ স্থানীয় তৌহিদি জনতা লাঠি মিছিল নিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত...
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর দক্ষিণখানে ওভারটাইমের টাকা কম দেওয়ায় ‘নিপা ফ্যাশন ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড’ নামের একটি গার্মেন্টস ভাঙচুর করেছেন শ্রমিকেরা। এ সময় গার্মেন্টসটির ভেতরে থাকা ৫-৬টি প্রাইভেটকার ও দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে