রাজিব মল্লিক, গোসাইরহাট (শরীয়তপুর)
পিতার ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া সম্পত্তি হারিয়ে ১৭ বছর ধরে মানুষের বাড়িতে থাকেন ৭০ বছর বয়সী শিফারুন্নেছা বেগম। পিতা-মাতা-স্বামী-সন্তান হারিয়ে ভবঘুরের মত জীবন চলছে তার। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় পাচ্ছেন না সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা। মানুষের দ্বারে ঘুরে জোটে দুবেলা আহার।
শিফারুন্নেছার স্বামীর বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ভদ্রচাপ গ্রামে। তিনি মৃত কালু ব্যাপারীর স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের মলংচরা গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ সরদারের মেয়ে।
বৃদ্ধা শিফারুন্নেছা বেগম নিজের দুঃখের কথা এই প্রতিবেদকের নিকট বলতে গিয়ে উচ্চ স্বরে কেঁদে ওঠেন। তিনি বলেন, ‘ভাইগো, ‘আমার বাপের ৩ কানি সম্পত্তি আছিল, স্বামী-সন্তান লইয়া আমি বাপের বাড়ি থাকতাম। আমার স্বামী মইরা যাওনের পর একদিন আমার মুহের ভেতর কাপড় ঢুকাইয়া জোর কইরা আমার টিপসই নিয়া সব সম্পত্তি লইয়া গেছে। আর হেইয়ার পর আমার পোলাডারেও রাইতে ডর দেহাইছে, কয়েক দিন ভুইগ্গা পোলাডাও মইরা গেছে। আডারো বছর পর্যন্ত মামলা চালাইছি কিন্তু হ্যাগো জোরের লগে পারি নাই।
বৃদ্ধা আরও বলেন, আইজ এই বাড়ি, কাইল ঐ বাড়ি, এই কইরা ১৭ বছর ধইরা মাইনষের বাড়ি থাহি। কিন্তু মাইনষের বাড়িতেও থাকতে পারি না। আমারে হেগো জাগা ছাড়ার লাইগ্গা কাইছা দিয়া পিঠাইছে, কপালডা ফুডাইয়া হালাইছে, গায়ের ভেতরে কাইছার হলা বহাইছে। হেইয়ার পর না টিকতাইরা চইলা আইছি।
কোন ভাতার কার্ড পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে অসহায় শিফারুন্নেছা বেগম বলেন, ‘কিচ্ছু দেয় নাই, চেয়ারম্যানের পায় ধরছি, মেম্বরের পায় ধরছি, কিন্তু দেয় নাই। আমার ভোটার কাডও নাই। চেয়ারম্যানের ধারে কইছি, বাবা, আমারে বিধবার ১টা কাড দেন। কিন্তু পরিষদের দুলাল চকিদার চেয়ারম্যানরে দিতে না করে। হেয় কয়, একলা মাইনষের কী লাগে? এক আইচা হ্যান খাইলেই তো এক রাইত জায়গা। হ্যাশে হেরা দেয় না।’
নাগেরপাড়া ইউপি’র ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোসা. নাহার বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃদ্ধা শিফারুন্নেছা আমাদের পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সচিবের নিকট তার অসহায়ত্বের কথা জানিয়েছিলেন। সরকারি বিভিন্ন সহায়তা বা ভাতার কার্ড করতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র দরকার। কিন্তু ওনার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় করোনাকালীন সময়ে বা ভাতার কার্ডসহ বিভিন্ন সহায়তা তাকে দিতে পারিনি। জাতীয় পরিচয়পত্র করার জন্য তাঁকে উপজেলা বা জেলা নির্বাচন অফিসে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইউপি সচিব জাকির হোসেন সারেং তাকে জন্ম নিবন্ধন কার্ড করে দিয়েছেন। এটি দিয়ে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে পারেন। কিন্তু এরপর তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পেরেছেন কিনা তা জানি না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাগেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, উনি আমাদের নিকট আসলে এ ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নেব।
পিতার ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া সম্পত্তি হারিয়ে ১৭ বছর ধরে মানুষের বাড়িতে থাকেন ৭০ বছর বয়সী শিফারুন্নেছা বেগম। পিতা-মাতা-স্বামী-সন্তান হারিয়ে ভবঘুরের মত জীবন চলছে তার। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় পাচ্ছেন না সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা। মানুষের দ্বারে ঘুরে জোটে দুবেলা আহার।
শিফারুন্নেছার স্বামীর বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ভদ্রচাপ গ্রামে। তিনি মৃত কালু ব্যাপারীর স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের মলংচরা গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ সরদারের মেয়ে।
বৃদ্ধা শিফারুন্নেছা বেগম নিজের দুঃখের কথা এই প্রতিবেদকের নিকট বলতে গিয়ে উচ্চ স্বরে কেঁদে ওঠেন। তিনি বলেন, ‘ভাইগো, ‘আমার বাপের ৩ কানি সম্পত্তি আছিল, স্বামী-সন্তান লইয়া আমি বাপের বাড়ি থাকতাম। আমার স্বামী মইরা যাওনের পর একদিন আমার মুহের ভেতর কাপড় ঢুকাইয়া জোর কইরা আমার টিপসই নিয়া সব সম্পত্তি লইয়া গেছে। আর হেইয়ার পর আমার পোলাডারেও রাইতে ডর দেহাইছে, কয়েক দিন ভুইগ্গা পোলাডাও মইরা গেছে। আডারো বছর পর্যন্ত মামলা চালাইছি কিন্তু হ্যাগো জোরের লগে পারি নাই।
বৃদ্ধা আরও বলেন, আইজ এই বাড়ি, কাইল ঐ বাড়ি, এই কইরা ১৭ বছর ধইরা মাইনষের বাড়ি থাহি। কিন্তু মাইনষের বাড়িতেও থাকতে পারি না। আমারে হেগো জাগা ছাড়ার লাইগ্গা কাইছা দিয়া পিঠাইছে, কপালডা ফুডাইয়া হালাইছে, গায়ের ভেতরে কাইছার হলা বহাইছে। হেইয়ার পর না টিকতাইরা চইলা আইছি।
কোন ভাতার কার্ড পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে অসহায় শিফারুন্নেছা বেগম বলেন, ‘কিচ্ছু দেয় নাই, চেয়ারম্যানের পায় ধরছি, মেম্বরের পায় ধরছি, কিন্তু দেয় নাই। আমার ভোটার কাডও নাই। চেয়ারম্যানের ধারে কইছি, বাবা, আমারে বিধবার ১টা কাড দেন। কিন্তু পরিষদের দুলাল চকিদার চেয়ারম্যানরে দিতে না করে। হেয় কয়, একলা মাইনষের কী লাগে? এক আইচা হ্যান খাইলেই তো এক রাইত জায়গা। হ্যাশে হেরা দেয় না।’
নাগেরপাড়া ইউপি’র ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোসা. নাহার বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃদ্ধা শিফারুন্নেছা আমাদের পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সচিবের নিকট তার অসহায়ত্বের কথা জানিয়েছিলেন। সরকারি বিভিন্ন সহায়তা বা ভাতার কার্ড করতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র দরকার। কিন্তু ওনার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় করোনাকালীন সময়ে বা ভাতার কার্ডসহ বিভিন্ন সহায়তা তাকে দিতে পারিনি। জাতীয় পরিচয়পত্র করার জন্য তাঁকে উপজেলা বা জেলা নির্বাচন অফিসে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইউপি সচিব জাকির হোসেন সারেং তাকে জন্ম নিবন্ধন কার্ড করে দিয়েছেন। এটি দিয়ে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে পারেন। কিন্তু এরপর তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পেরেছেন কিনা তা জানি না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাগেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, উনি আমাদের নিকট আসলে এ ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নেব।
জানা গেছে, দুর্বৃত্তরা একটি মোটরসাইকেলে করে এসে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় অমল নামের এক মোটরসাইকেল আরোহীর পেছনে বসা ছিলেন অনির্বাণ চৌধুরী রাজিব। দুর্বৃত্তদের ছোড়া একটি গুলি অমলের পায়ে লাগে। দুটি গুলি লাগে রাজিবের কোমরের দুই পাশে। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ
২৩ মিনিট আগেবাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেত্রকোনায় আয়োজিত পদযাত্রা ও সমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেজানা গেছে, এ বছর ইলিশ মৌসুমের প্রথম থেকে জেলেদের জালে তেমন একটা মাছ ধরা পড়েনি। এর মধ্যে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ছিল গভীর সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। এরপর জেলেরা জাল নৌকা ও ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করলেও আশানুরূপ মাছ জালে ধরা পড়েনি। এদিকে গত শুক্রবার থেকে সাগরে নিম্নচাপ দেখা দেওয়ায়...
১ ঘণ্টা আগে