শেখ জাবেরুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রবীর কুমার কীর্তনীয়া। টাকা না দিলে কৃষকদের কাছ থেকে তিনি ধান গ্রহণ করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। এই কর্মকর্তার অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতায় কমেছে কৃষকদের থেকে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ। এতে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন উপজেলার কৃষকেরা।
অভিযোগ উঠেছে, এসব অপকর্ম ঢাকতে প্রবীর একটি জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খানকে গুদাম থেকে তিন টন চাল দিয়েছেন।
সদর উপজেলা খাদ্যগুদাম অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বোরো মৌসুমে প্রতি কেজি ৩২ টাকা দরে ২ হাজার ২৫৬ টন ধান সংগ্রহের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের ৭ মে থেকে শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট ধান সংগ্রহের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে ২৪৯ জন কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৭৪৮ টন ধান।
কৃষক বাবুল শিকদার বলেন, ‘আমাদের ধান দিতে গেলে সমস্যা। টাকা না দিলে ধান নেয় না। অফিসের কর্মকর্তার কাছে ৫ হাজার টাকা দিলে আমাদের ধান নেয়।’
কৃষক টিটু ফকির বলেন, ‘জমিতে কয়টা ধান হয়েছিল। সেই ধান নিয়ে গেছিলাম গোডাউনে। সেখানে ধান নিতে চায় নাই। ঘুষ চায়ছে ধান নেওয়ার জন্য। শেষে গোডাউনের যে স্যার, তারে ৫ হাজার টাকা দিছি।’
শের আলী সিকদার নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘আমি একবার ধান নিয়ে গেছিলাম গোডাউনে। অফিসারগে কাছে গেছি, কয় টাকা দাও, টাকা না দিলে ধান নেব না। টাকা দেই নাই বলে ধান নেয় নাই। পরে কী করব, ধান বাড়ি নিয়ে আইসে সস্তায় বেইচে দিছি।’
নাম না প্রকাশের শর্তে খাদ্যগুদামসংশ্লিষ্ট এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘প্রবীর কীর্তনীয়ার এমন অনিয়মের কারণেই চলতি বছরের বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সংগ্রহ করা হয়নি বরাদ্দের এক-তৃতীয়াংশ ধানও। প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ তিন টন ধান কেনার কথা থাকলেও ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা না দিলে ধান সংগ্রহ করা হয় না।’
কৃষকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রবীর কুমার। তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান ১৫ আগস্টের আয়োজন উপলক্ষে আমার কাছে ২০ টন চাল দাবি করেছিলেন। চাল না দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্নজনের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দেন। তাঁকে চাল দিতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্যারও আমাকে বলেন। পরে আমি তাঁকে আমার পকেটের টাকা দিয়ে সরকারি ডিলারদের কাছ থেকে তিন টন চাল কিনে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোশারফ হোসেন বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে চাল দেওয়ার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। কৃষকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রবীর কুমার কীর্তনীয়া। টাকা না দিলে কৃষকদের কাছ থেকে তিনি ধান গ্রহণ করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। এই কর্মকর্তার অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতায় কমেছে কৃষকদের থেকে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ। এতে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন উপজেলার কৃষকেরা।
অভিযোগ উঠেছে, এসব অপকর্ম ঢাকতে প্রবীর একটি জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খানকে গুদাম থেকে তিন টন চাল দিয়েছেন।
সদর উপজেলা খাদ্যগুদাম অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বোরো মৌসুমে প্রতি কেজি ৩২ টাকা দরে ২ হাজার ২৫৬ টন ধান সংগ্রহের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের ৭ মে থেকে শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট ধান সংগ্রহের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে ২৪৯ জন কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৭৪৮ টন ধান।
কৃষক বাবুল শিকদার বলেন, ‘আমাদের ধান দিতে গেলে সমস্যা। টাকা না দিলে ধান নেয় না। অফিসের কর্মকর্তার কাছে ৫ হাজার টাকা দিলে আমাদের ধান নেয়।’
কৃষক টিটু ফকির বলেন, ‘জমিতে কয়টা ধান হয়েছিল। সেই ধান নিয়ে গেছিলাম গোডাউনে। সেখানে ধান নিতে চায় নাই। ঘুষ চায়ছে ধান নেওয়ার জন্য। শেষে গোডাউনের যে স্যার, তারে ৫ হাজার টাকা দিছি।’
শের আলী সিকদার নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘আমি একবার ধান নিয়ে গেছিলাম গোডাউনে। অফিসারগে কাছে গেছি, কয় টাকা দাও, টাকা না দিলে ধান নেব না। টাকা দেই নাই বলে ধান নেয় নাই। পরে কী করব, ধান বাড়ি নিয়ে আইসে সস্তায় বেইচে দিছি।’
নাম না প্রকাশের শর্তে খাদ্যগুদামসংশ্লিষ্ট এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘প্রবীর কীর্তনীয়ার এমন অনিয়মের কারণেই চলতি বছরের বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সংগ্রহ করা হয়নি বরাদ্দের এক-তৃতীয়াংশ ধানও। প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ তিন টন ধান কেনার কথা থাকলেও ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা না দিলে ধান সংগ্রহ করা হয় না।’
কৃষকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রবীর কুমার। তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান ১৫ আগস্টের আয়োজন উপলক্ষে আমার কাছে ২০ টন চাল দাবি করেছিলেন। চাল না দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্নজনের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দেন। তাঁকে চাল দিতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্যারও আমাকে বলেন। পরে আমি তাঁকে আমার পকেটের টাকা দিয়ে সরকারি ডিলারদের কাছ থেকে তিন টন চাল কিনে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোশারফ হোসেন বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে চাল দেওয়ার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। কৃষকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ময়মনসিংহ শহরের হরিকিশোর রায়ের ২০০ বছরের পুরোনো স্মৃতিবিজড়িত একটি বাড়ি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। তাঁর নামানুসারেই রাস্তার নামকরণ করা হয়েছিল হরিকিশোর রায় রোড। বাড়িটি ভেঙে নতুন ভবন করার উদ্যোগ নেয় শিশু একাডেমি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কর্মকর্তারা।
১ ঘণ্টা আগেসাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সম্পত্তি কেন ক্রোক করা হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঋণখেলাপির দায়ে ব্যাংক এশিয়ার করা মামলায় চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালত-১-এর বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে (৪৩) বিবস্ত্র করে এলোপাতাড়ি পেটানোর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে সিমেন্টের ব্লক দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নৃশংস নির্যাতন চালাতে থাকেন মাহমুদুল হাসান মহিন, সহযোগী মোহাম্মদ নান্নু কাজীসহ (৩৩) আসামিরা। নান্নু কাজীকে
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহীর তানোর থানার সামনে থেকে এক যুবককে ধরে প্রেসক্লাবে নিয়ে তল্লাশি করেছেন একদল সাংবাদিক ও স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। পরে মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগ তুলে তাঁকে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। পুলিশে না দেওয়ার জন্য দাবি করা হয় মোটা অঙ্কের টাকা। দিতে রাজি না হলে ওই যুবককে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই যুবক
৩ ঘণ্টা আগে