Ajker Patrika

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১: ০৬
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

কখনো তিন মাস, কখনো চার মাস পর খোলা হয় কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের দানবাক্স। এবার ৪ মাস ১০ দিন পর খোলা হলো পাগলা মসজিদের ৯টি দান বাক্স। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্স কমিটির আহ্বায়ক ও কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে বাক্সগুলো খোলা হয়। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, দানের সিন্দুক থেকে টাকা প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর টাকা গণনার জন্য বস্তাগুলো মসজিদের দোতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বস্তা থেকে টাকা মেঝেতে ঢেলে দেওয়ার পর শুরু হয় গণনার কাজ। 

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, দানবাক্সগুলো থেকে এবার ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৩ মাস ১৮ দিনে ওই দানবাক্সগুলোতে জমা পড়েছিল ২৩ বস্তা টাকা। টাকার পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা, যা অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়েছিল। এ ছাড়া আরও জমা পড়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা। 

তিনি বলেন, বর্তমানে টাকা গণনা চলছে। টাকা গণনায় পাগলা মসজিদ মাদ্রাসার ১০২ জন ছাত্র এবং রূপালী ব্যাংকের ৭৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে মোট ১৭৫ জন কাজ করছেন। তাদের সহায়তা করছেন মসজিদ-মাদ্রাসার ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। 

পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা বলেন, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আটটি দানবাক্স থাকলেও দানের টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের আগস্ট মাস থেকে আরও একটি দানবাক্স বাড়ানো হয়েছে। এখন পাগলা মসজিদে দানবাক্সের সংখ্যা ৯টি। দানের টাকা ব্যাংকে জমা করা হয়। এ ছাড়া স্বর্ণালঙ্কার জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নিলামে বিক্রি করা হয়। 

পাগলা মসজিদের পাশেই শিক্ষকপল্লি এলাকা। ওই এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন। আলমগীর হোসেন পাগলা মসজিদে এসেছেন টাকা গণনার এই এলাহি কাণ্ড দেখতে। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মসজিদের প্রতি মানুষের ভক্তি অন্যরকম। কোনো বিপদ, সমস্যা ও সংকটে পড়লেই মানুষ এই মসজিদে মানত করে। নিশ্চয়ই মানুষ এই মসজিদে দান করে শান্তি পায়। নইলে মানুষ এভাবে বিশেষ একটা মসজিদে দান-খয়রাত করত না। শহরে তো মসজিদের অভাব নেই। অন্য কোনো মসজিদে তো লোকজন এভাবে দান করে না।’ 

ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, পাগলা মসজিদের সিন্দুক খুলে পাওয়া টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়। এ ছাড়া স্বর্ণালংকার জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নিলামে বিক্রি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত