Ajker Patrika

খাবারে বিষাক্ত রং, মোড়কে অগ্রিম তারিখ: ভৈরবে তিন প্রতিষ্ঠানকে দণ্ড

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলাম কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে প্রতারণায় দায়ে দণ্ড দেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলাম কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে প্রতারণায় দায়ে দণ্ড দেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভৈরবের একটি নামকরা বেকারি ক্যাপিটাল ফুডস। কেক, বিস্কুট, লাড্ডুসহ নানা ধরনের খাদ্যদ্রব্য তৈরি করে তারা। নিয়ম অনুযায়ী খাদ্যদ্রব্যের মোড়কে উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লিখে রাখতে হয়। তাদের উৎপাদিত খাদ্যপণ্যেও তারিখ লেখা ছিল। তবে সে সবে ৭ থেকে ৮ দিন পরের তারিখ লিখে রাখা হয়। প্রতিষ্ঠানটি সরকারের কাছ থেকে মিল্ক ব্রেড উৎপাদনের অনুমোদন না নিলেও দেদার এসব উৎপাদন করে যাচ্ছিল। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

একই উপজেলার আরেকটি প্রতিষ্ঠানের নাম ইয়াকুব অ্যান্ড মাহবুব ফুড প্রোডাক্টস। তারা পচা মরিচ দিয়ে মরিচগুঁড়ো তৈরি করছিল। গুঁড়ো লাল দেখানোর জন্য মেশানো হয় মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর রং। এ ছাড়াও এসব গুঁড়ো তৈরি হতো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। নিরাপদ খাদ্য আইনে এই প্রতিষ্ঠানকেও ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

ভৈরব বাজারে রহিম বেকারিতে কেক তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছিল মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক রং। তাদের প্রতিষ্ঠানে ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদও সংরক্ষণ করা হয় না। বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত তাদের ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

শনিবার (১০ মে) দুপুরে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলাম সংক্ষিপ্ত বিচারিকপ্রক্রিয়ায় আদালত পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থদণ্ড দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলার নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম তালুকদার, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শংকর চন্দ্র পাল।

এ ছাড়া বিভিন্ন বেকারিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য জব্দ করে আদালত। পরে এগুলো ধ্বংস করা হয়। আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত