Ajker Patrika

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবদুল্লাহিল কাফী ৮ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২: ৩৫
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবদুল্লাহিল কাফী ৮ দিনের রিমান্ডে

অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর হাজারীবাগ থানার মামলায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপারনিউমারারি পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহিল কাফীকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান রিমান্ডের এই আদেশ দেন। 

আজ সকাল ৭টার দিকে কাফীকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল কালাম আজাদ। শুনানি শেষে আদালত আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজারীবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মাহফুজ রিমান্ডের বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন। 

এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি ধানমন্ডি জোনে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার থাকাকালে মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ হোসেন সরদার, হাজারীবাগ থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া এবং আসামি মাইনুদ্দিন কাজলসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন মিলে ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডি থেকে মামলার বাদী প্রকৌশলী আরিফ মাইনুদ্দিনকে অপহরণ করেন। তাঁকে হাজারীবাগ থানাধীন অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রেখে মুক্তিপণ চেয়ে বাদীর পরিবার থেকে ১০ কোটি টাকা নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেন। 

গত ২৭ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী মামলা করলে মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য হাজারিবাগ থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। 

এদিকে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাফীকে আটক করা হয়। পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমতি দেওয়ার পর আজ সকালে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। 

সম্প্রতি আশুলিয়া এলাকার একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। ওই ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানা এলাকায় পুলিশ সদস্যরা একটি ভ্যানে একাধিক লাশ তুলছেন। ওই মরদেহগুলো পরে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে তুলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে তা তদন্ত করতে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ছিলেন আব্দুল্লাহহিল কাফী। তাঁর নির্দেশেই লাশগুলো পুলিশের পিকআপ ভ্যানে তোলার পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে সংবাদ ভাইরাল হয়। এরপর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। 

আব্দুল্লাহহিল কাফী দীর্ঘদিন ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ধানমন্ডি জোনে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সংস্পর্শে আসায় তিনি একজন প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতি পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত