নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজনকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে মাহমুদ হাসান শিমুল, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি।
দুপুরের পর তিনজনকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি তিনজনকে আদালতের পাঠায়।
তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সিনিয়র এএসপি মাহফুজুর রহমান রিমান্ডের আবেদন জানান। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকার আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে ২৪ মে এই তিনজনকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
২২ মে তাঁদের আটক করা হলেও ২৩ মে তাঁদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আনোয়ারুল আজীম ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর বাবাকে গুম করার অভিযোগে মামলা করেন তাঁর মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
মামলার এজাহারে এমপির মেয়ে উল্লেখ করেন, ৯ মে রাত ৮টার দিকে তাঁর বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে তাঁর বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্নতা মনে হয়। এরপর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পান।
১৩ মে আনারের ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহের কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেব।’ এ ছাড়া আরও কয়েকটি মেসেজ আসে।
মেসেজগুলো মুনতারিনের বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে বলে এজাহারে বলা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, বাদীর বাবা ভারতে খুন হয়েছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে এখনো বাবার লাশ পাননি পরিবার। তাঁর বাবাকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
আনোয়ারুল আজীম ১২ মে দর্শনা–গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু ১৬ মে থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পারায় নিখোঁজ জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস।
২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়ার খবর আসে। এরপর তাঁর মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর গুম করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
যে কারণে ফের রিমান্ডের আবেদন করা হয়
তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেন, ভিকটিম আনোয়ারুল আজীম আনারের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের ব্যবসায়িক লেনদেনের সম্পর্ক রয়েছে। ব্যবসায়িক লেনদেনসহ কিছু বিষয় নিয়ে আজীমের ওপর শাহীনের ক্ষোভ ছিল। যা আজীম জানতেন না। এ ছাড়া শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে ভিকটিমের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মতাদর্শের দ্বন্দ্ব ছিল। তাই তাঁরা পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম আজীমকে দেশের বাইরে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন, যেন কেউ বুঝতে না পারে। ১০ মে দেশে ফেরেন শাহীন। এ সময় তিনি আমানুল্লাহকে দায়িত্ব দিয়ে আসেন কোনোভাবেই যেন কাজটা মিস না হয় এবং কোনো প্রমাণ যেন না থাকে।
আবেদনে আরও বলা হয়, পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত মে আসামি শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ও শিলাস্তি রহমানসহ পলাতক অজ্ঞাতনামা আসামিরা নৃশংসভাবে আনারকে হত্যা করে লাশ গুম করেন। যাতে কোনো প্রমাণ না থাকে। এরপর তাঁরা দেশে ফিরে আসেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে কলকাতায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এখনো লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এই আসামি তিনজন ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্তে ও আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সংসদ সদস্যের লাশ টুকরা টুকরা করে কেটে গুম করা হয়েছে। এমপি আনার ভারতে গেলে তাঁকে সেখান থেকে যে ফ্ল্যাটে নিয়ে খুন করা হয়—শিলাস্তি রহমান এমপি আনারকে নিয়ে যান। এই আসামিদের ব্যাপকভাবে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য কী, এর পেছনে কারা কারা জড়িত রয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের ইন্ধন কারা জুগিয়েছে—সেসব তথ্য উদ্ধারের জন্য তিনজনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজনকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে মাহমুদ হাসান শিমুল, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি।
দুপুরের পর তিনজনকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি তিনজনকে আদালতের পাঠায়।
তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সিনিয়র এএসপি মাহফুজুর রহমান রিমান্ডের আবেদন জানান। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকার আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে ২৪ মে এই তিনজনকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
২২ মে তাঁদের আটক করা হলেও ২৩ মে তাঁদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আনোয়ারুল আজীম ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর বাবাকে গুম করার অভিযোগে মামলা করেন তাঁর মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
মামলার এজাহারে এমপির মেয়ে উল্লেখ করেন, ৯ মে রাত ৮টার দিকে তাঁর বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে তাঁর বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্নতা মনে হয়। এরপর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পান।
১৩ মে আনারের ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহের কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেব।’ এ ছাড়া আরও কয়েকটি মেসেজ আসে।
মেসেজগুলো মুনতারিনের বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে বলে এজাহারে বলা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, বাদীর বাবা ভারতে খুন হয়েছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে এখনো বাবার লাশ পাননি পরিবার। তাঁর বাবাকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
আনোয়ারুল আজীম ১২ মে দর্শনা–গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু ১৬ মে থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পারায় নিখোঁজ জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস।
২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ারুল আজীম খুন হওয়ার খবর আসে। এরপর তাঁর মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর গুম করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
যে কারণে ফের রিমান্ডের আবেদন করা হয়
তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেন, ভিকটিম আনোয়ারুল আজীম আনারের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের ব্যবসায়িক লেনদেনের সম্পর্ক রয়েছে। ব্যবসায়িক লেনদেনসহ কিছু বিষয় নিয়ে আজীমের ওপর শাহীনের ক্ষোভ ছিল। যা আজীম জানতেন না। এ ছাড়া শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে ভিকটিমের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মতাদর্শের দ্বন্দ্ব ছিল। তাই তাঁরা পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম আজীমকে দেশের বাইরে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন, যেন কেউ বুঝতে না পারে। ১০ মে দেশে ফেরেন শাহীন। এ সময় তিনি আমানুল্লাহকে দায়িত্ব দিয়ে আসেন কোনোভাবেই যেন কাজটা মিস না হয় এবং কোনো প্রমাণ যেন না থাকে।
আবেদনে আরও বলা হয়, পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত মে আসামি শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ও শিলাস্তি রহমানসহ পলাতক অজ্ঞাতনামা আসামিরা নৃশংসভাবে আনারকে হত্যা করে লাশ গুম করেন। যাতে কোনো প্রমাণ না থাকে। এরপর তাঁরা দেশে ফিরে আসেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে কলকাতায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এখনো লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এই আসামি তিনজন ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্তে ও আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সংসদ সদস্যের লাশ টুকরা টুকরা করে কেটে গুম করা হয়েছে। এমপি আনার ভারতে গেলে তাঁকে সেখান থেকে যে ফ্ল্যাটে নিয়ে খুন করা হয়—শিলাস্তি রহমান এমপি আনারকে নিয়ে যান। এই আসামিদের ব্যাপকভাবে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য কী, এর পেছনে কারা কারা জড়িত রয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের ইন্ধন কারা জুগিয়েছে—সেসব তথ্য উদ্ধারের জন্য তিনজনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:
চেক জালিয়াতির মামলায় হাজির না হওয়ায় আসামি মোসলেম উদ্দিনের অনুপস্থিতিতেই রায় দিয়েছিলেন আদালত। দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল এক বছরের কারাদণ্ড। পাশাপাশি জরিমানা করা হয় ৬০ লাখ টাকা। এ দণ্ড মাথায় নিয়েই সাত বছর লাপাত্তা ছিলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে বাস ও ট্রাকের অন্তত ১৫ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ফুকরা এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীকে বেদম প্রহার করেছেন শিক্ষক। এ ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (ভাইরাল)। গতকাল বৃস্পতিবার বিকেল থেকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ৩৫ সেকেন্ডের। এর মধ্যে প্রথম ২৩ সেকেন্ড পর্যন্ত শিশুটিকে মারতে দেখা গেছে শিক্ষককে। ওই ২৩ সেকেন্ডে শিশুটিকে ২১ বার
৩ ঘণ্টা আগে