Ajker Patrika

বুয়েটের ছাত্ররাজনীতির কাঠামো শিক্ষার্থীরাই নির্ধারণ করবে: ছাত্রলীগ সভাপতি

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৪, ২২: ২৮
বুয়েটের ছাত্ররাজনীতির কাঠামো শিক্ষার্থীরাই নির্ধারণ করবে: ছাত্রলীগ সভাপতি

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে ফের উত্তাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। আজ শুক্রবার ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। মূলত গতকাল ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের আগমনকে কেন্দ্র করে তাঁরা নতুন করে এই আন্দোলনে নামেন। 

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যাইনি, ওদিকে আসার পথে দেখা হয়েছে। বুয়েটের শিক্ষার্থীদের যে সংবেদনশীলতা রয়েছে, একটি স্প্রিড নিয়ে আন্দোলন করছে—শিক্ষার্থীদের এ অবস্থানকে স্বাগত জানাই। ইতিবাচক ছাত্ররাজনীতির জন্য তাঁরা (বুয়েট শিক্ষার্থীরা) একটি বার্তা দিচ্ছে। বুয়েটের ছাত্ররাজনীতির কাঠামো কেমন হবে, তা বুয়েটের শিক্ষার্থীরাই নির্ধারণ করবে। একজন শিক্ষার্থীর যেমন রাজনীতি না করার অধিকার রয়েছে, তেমনি রাজনীতি করারও অধিকার রয়েছে। ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে সমৃদ্ধ করে।’ 

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘নেতিবাচক ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যে অবস্থান-মূল্যবোধ, এর প্রতি বুয়েট প্রশাসনের শ্রদ্ধা জানানো উচিত। একই সঙ্গে একজন শিক্ষার্থী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং জাতির পিতার আদর্শের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে মানসিক নিপীড়নের শিকার হন, সে ক্ষেত্রে তাঁকেও নিরাপত্তা দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈতিক দায়িত্ব। এর ব্যত্য়য় ঘটলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নেব, আমরা মনে করি—তাঁদের প্রশাসনের থাকার কোনো নৈতিক অবস্থান নেই।’ 

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও অন্যান্য বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ নিয়ে মিটিংয়ে বসেছি। কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।’ 

বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, বুয়েটে বর্তমানে চলমান পাঁচটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আলোচনা করে কিছু সম্মিলিত সিদ্ধান্ত এবং দাবিদাওয়ায় উপনীত হয়েছেন। ক্যাম্পাসের সবচেয়ে অগ্রজ ব্যাচ ইন্টার্ভাল প্রতিটি ব্যাচের ঐক্যবদ্ধ দাবিগুলোকে সুসংগঠিত করে উত্থাপন করেছে। 

তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা নাম, বিভাগ ও বর্ষ জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল বাতিল করতে হবে; ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিল, তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার করতে হবে; বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ যারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করল তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তারা কেন কীভাবে প্রবেশ করার অনুমতি পেল—এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহি বুয়েট প্রশাসন কর্তৃক আসতে হবে; ১নং এবং ২নং দাবি আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে পদত্যাগ করতে হবে; ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের কারণে আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত; এর প্রতিবাদ হিসেবে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করছি এবং আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না—এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।’ 

ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকাসংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সবচেয়ে সমাদৃত এবং শীর্ষস্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটে। এখন আবার যদি রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তাহলে অনিরাপদ ক্যাম্পাসে পরিণত হবে বুয়েট। 

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা—‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এই বুয়েটে হবে না; আবরার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; পলিটিকসে যুক্ত যারা, হল থেকে করব ছাড়া’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

পারভেজ হত্যায় অংশ নেয় ছাত্র, অছাত্র ও কিশোর গ্যাং সদস্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত