Ajker Patrika

ধানমন্ডি লেকে দোকানীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ৮ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ধানমন্ডি লেকে দোকানীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ৮ 

রাজধানীর ধানমন্ডি লেকের রবীন্দ্র সরোবরে দোকান কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঢাবির অন্তত ৮ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁরা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন ঢাবির অমর একুশে হলের রোবটিকস অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান আলিফ (২১), ফার্মেসি বিভাগের বায়োজিদ (১৯), নাসিফ (১৯), ইতিহাস বিভাগের আজিম মাহমুদ তৌহিদসহ (২০) সিফাতুল ইসলাম (২০), আজহা (১৯), মাহিন (১৮) ও জুনায়েদ (২০)। 

আহতরা এবং তাঁদের সহপাঠীরা জানান, সন্ধ্যায় তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে বন্ধু রবীন্দ্র সরোবরে ঘুরতে যান। সেখানে বসে তারা কার্ড গেম ‘উনো’ খেলছিলেন। এ সময় সেখানকার এক দোকান কর্মচারী এসে তাদেরকে সেখান থেকে উঠে যেতে বলেন এবং সেখানে তাস খেলা যাবে না বলে জানান। তখন ওই দুই শিক্ষার্থী তাকে জানান, এটি তাস খেলা নয়; তারা কেনো উঠবেন। 

এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই কর্মচারী ঢাবির নারী শিক্ষার্থীকে বাজে মন্তব্য করে করেন। পরে ওই দুই শিক্ষার্থী তাদের সহপাঠীদের খবর দিলে তারা সবাই মিলে সেখানে যান। এক পর্যায়ে সব দোকান কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে তাদের ওপর আক্রমণ করে। লাঠিসোটা, রড, বাঁশ দিয়ে তাদের মারধর করেন। এতে অন্তত ৮ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। 

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ৮ জনের মধ্যে আলিফের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে। এ ছাড়া বাকি ৭ জনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে। তাদের সবাইকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাটি ধানমন্ডি থানা-পুলিশ তদন্ত করছে। 

ধানমণ্ডি লেকে সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে ধানমণ্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আবু তালেব বলেন, ঘটনার শুরু হয় বিকেলের দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী ধানমণ্ডি লেকের এক রেস্টুরেন্টে খাবার অর্ডার করে। অর্ডার দিয়ে সেখানে তাস খেলতে বসে। পরে সেখান থেকে তাদের সরে যেতে বলায় বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর বিষয়টা আবার মিমাংসা হয়। পরে এই বিষয়টা ঢাবির অন্য শিক্ষার্থীরা জানার পরে তারা এসে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ৮ জন আহত হয়েছেন। তাঁরা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

এই ঘটনায় কেউ আটক আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আটক নেই। আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় নাই। আর সংঘর্ষের পরে ঘটনাস্থলে কেউ নেই। তবে বিষয়টা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত