Ajker Patrika

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ২২: ০৪
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৬ বছর পার হয়ে গেলেও আজও চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। এই চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হলে পার্বত্য অঞ্চলে অস্থিরতা বাড়বে। যার পরিণাম ভালো হবে না। 

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবিতে আয়োজিত ছাত্র-যুব সমাবেশে এসব কথা বলেছেন বক্তারা। সমাবেশের আয়োজন করে আদিবাসী ছাত্র-যুব সংগঠনগুলো। সমাবেশ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মিছিল করেন তাঁরা।

সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপন ত্রিপুরা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান রাজনৈতিক সমস্যাসহ সব সমস্যার সমাধানের একমাত্র পথ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন। ২৫টি ধারা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হলেও ১৮টি ধারা আংশিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে ও ১৯টি ধারা বাস্তবায়ন হয়নি।’ 

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সভাপতি দীপক শীল বলেন, চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি অতুলন দাশ আলো বলেন, ‘গত ৫২ বছরে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাই আদিবাসীদের ব্যবহার করেছে।’ 

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যাচ্ছে। জুম্মদেরকে কেন নিজ ভূমে পরবাসী করে রাখা হচ্ছে?’ 

বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের সভাপতি অ্যান্তনী রেমা বলেন, ‘নিরাপত্তার অজুহাতে পাহাড়ের জনজীবন কঠিন থেকে কঠিন করছে বর্তমান সরকার। আর কত প্রজন্ম পার হয়ে গেলে আদিবাসীরা তাদের ন্যায্য অধিকার পাবে?’ 

সমাবেশর সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অলিক মৃ বলেন, ‘১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি এই সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হলেও তারা চুক্তির যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে পারছে না। সরকার চুক্তিতে নামে মাত্র স্বাক্ষর করেছে।’ 

সমাবেশে হিল উইমেন্স ফেডারেশন, ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি চন্দ্রিকা চাকমা আদিবাসী ছাত্র যুব সংগঠনগুলোর পক্ষে চার দফা দাবি জানান। তিনি জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন; পাহাড় থেকে অপারেশন উত্তোরণসহ অস্থায়ী সেনা ছাউনি প্রত্যাহার; পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙ্ক্ষী ও তার সহযোগী অঙ্গসংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে দায়কৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আদিবাসী নারী ও শিশুদের প্রতি সব ধরনের সহিংসতার বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। 

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গারো ছাত্রসংগঠন, ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জন জেত্রা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল ঢাকা মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ক্যংজ মারমা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত