কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগ সরকার ১৩ হাজার নতুন কোটিপতির সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আজ শনিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং, দুর্নীতি, মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার, জামিন বাতিল, দমন-নিপীড়ন, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে জেলা শহরের ঐতিহাসিক রথখোলা ময়দানে এই জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি সংসদ বাতিল চাই। কারণ, এ সংসদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত না। আমি এমন সংসদ চাই, যে সংসদ জনগণ নির্বাচিত করেছে। সে জন্য আমি নতুন নির্বাচন চাই এবং নতুন নির্বাচন যদি সুষ্ঠু করতে হয় তাহলে কি এ সরকারকে রেখে হবে? এ সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন বাদ দেন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন কি সুষ্ঠু হয়? তাহলে এ সরকার থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। ওই জন্য এই সরকারের পদত্যাগ চাই। আর এই সরকার গঠিত হয়েছে ওই যে ভোট ছাড়া, যারা এমপি তাদের মেজরিটিতে এই সরকার। সংসদ যেহেতু বাতিল চাই সেহেতু এই সরকারেরও পদত্যাগ চাই। কিন্তু পদত্যাগ করলে দেশ চালাবে কে? আমরা বলে দিয়েছি এ দেশে তো আইন করা ছিল যে অন্তর্বর্তীকালীন একটি নির্দলীয় সরকার থাকবে। এমন সরকার যারা কোনো দলে লোক হবে না, তারা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এমন নির্বাচন ও সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে তারা চলে যাবে। সে রকম একটি সরকার চাই আমরা। এমন দাবি কি অন্যায় নাকি অবাস্তব। প্রয়োজন হয়েছে আরও বেশি করে। কারণ, এ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাপের জন্মে কোনো দিন শুনি নাই সেকেন্ড হোমের কথা। কিসের সেকেন্ড হোম। যে দেশের মানুষ ফুটপাতে ঘুমায়, সে দেশের কিছু মানুষ বিদেশে সেকেন্ড হোম করতেছে। আমরা বলি কারা করেছে এই সেকেন্ড হোম, তার একটা তালিকা তৈরি করেন এবং কীভাবে করল তা বের করেন। করবে না তারা তালিকা। আমরা বলেছিলাম এর মধ্যে যদি বিএনপির কেউ থাকে তাহলে তারও বিচার করেন। করবে না তালিকা, কারণ তালিকা করলে তো ধরা খেয়ে যাবে তারা। বেগমপাড়ার মতো দুবাইতেও নাকি একটা পাড়া হইছে, যার নাম দিছে গুলশান-৩। সুইস ব্যাংকের নাম তো আগে শুনেন নাই কোনো দিন। এখন শোনা যাচ্ছে। কারণ, বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি সেখানে জমা হয়। কারা করে, কাদের সেকেন্ড হোম, কারা দুবাইয়ের গুলশান-৩-এ আছে। কেনো তালিকা প্রকাশ করেন না। সংসদে এক সদস্য বলল টাকা পাচার হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বলে, ‘‘কে পাচার করে ধরাইয়া দেন, আমরা ব্যবস্থা নিব।” আরে আমরাই ধরাইয়া দিব তাহলে আপনি কেন ওই খানে? এই সরকারের এত ডিপার্টমেন্ট, এত অফিস, এতসব যোগ্য লোকেরা ঘাস কাটে নাকি? আমাদের ধরাইয়া দেওয়া লাগবে! তারপরে পত্রিকায় বের হলো অমুক দেশে এতজন বাংলাদেশি বাড়ি কিনছে। এখন তো বাইর করা সুবিধা। যে কারা কারা করছে এই বাড়ি। তালিকা করে না। কয়েক দিন পর বের হলো আওয়ামী লীগের একজন এমপি আব্দুস সোবহান গোলাপ তার নিউইয়র্কে ৯টা প্রোপার্টি আছে। এখন তো নাম পাইলেন। কোনো ব্যবস্থা হইছে। তার বিরুদ্ধে কী কোনো ব্যবস্থা হইছে? তাহলে বিষয়টি কী দাঁড়াল, আপনারা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতেছেন। যদি আপনারা প্রশ্রয় নাই দিতেন, তাহলে জেলার একটি অঙ্গসংগঠনের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করে কেমনে?’
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘কোভিডের পরপর একটা রিপোর্ট বের হয়েছিল ১৩ হাজার নতুন কোটিপতি হয়েছে। শুনলে মনে হয়, দেশ উন্নতি করছে। কিন্তু আরেক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, সেই একই সময়ে সাড়ে তিন কোটি মানুষ আরও বেশি দরিদ্র হয়েছে। এখন যদি বলে আমরা উন্নয়ন করেছি, তাহলে তারা কার মানুষ। এই সরকার উন্নয়নের দাবি করে, তারা ওই ১৩ হাজারের নেতা। তারা ওই ১৩ হাজারের সরকার। ১৩ হাজারের দল। ওই সাড়ে তিন কোটি যারা আরও দরিদ্র হয়েছে তাদের কী উন্নয়ন হয়েছে? তাহলে তারা যখন উন্নয়নের দাবি করে তখন এদের কথা বলে না। তার মানে তারা এদের নেতা না? এদের সরকার না? এদের দল না?’
জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম। এতে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, জেলা বিএনপির সহসভাপতি লায়লা বেগম, রেজাউল করিম খান চুন্নু, জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, নাজমুল আলম, বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম সুমন, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বাহারউদ্দিন বাহার, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের সুমন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া, সাধারণ ফেরদৌস আহমেদ নেভিন প্রমুখ। জনসমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া।
আওয়ামী লীগ সরকার ১৩ হাজার নতুন কোটিপতির সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আজ শনিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং, দুর্নীতি, মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার, জামিন বাতিল, দমন-নিপীড়ন, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে জেলা শহরের ঐতিহাসিক রথখোলা ময়দানে এই জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি সংসদ বাতিল চাই। কারণ, এ সংসদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত না। আমি এমন সংসদ চাই, যে সংসদ জনগণ নির্বাচিত করেছে। সে জন্য আমি নতুন নির্বাচন চাই এবং নতুন নির্বাচন যদি সুষ্ঠু করতে হয় তাহলে কি এ সরকারকে রেখে হবে? এ সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন বাদ দেন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন কি সুষ্ঠু হয়? তাহলে এ সরকার থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। ওই জন্য এই সরকারের পদত্যাগ চাই। আর এই সরকার গঠিত হয়েছে ওই যে ভোট ছাড়া, যারা এমপি তাদের মেজরিটিতে এই সরকার। সংসদ যেহেতু বাতিল চাই সেহেতু এই সরকারেরও পদত্যাগ চাই। কিন্তু পদত্যাগ করলে দেশ চালাবে কে? আমরা বলে দিয়েছি এ দেশে তো আইন করা ছিল যে অন্তর্বর্তীকালীন একটি নির্দলীয় সরকার থাকবে। এমন সরকার যারা কোনো দলে লোক হবে না, তারা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এমন নির্বাচন ও সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে তারা চলে যাবে। সে রকম একটি সরকার চাই আমরা। এমন দাবি কি অন্যায় নাকি অবাস্তব। প্রয়োজন হয়েছে আরও বেশি করে। কারণ, এ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাপের জন্মে কোনো দিন শুনি নাই সেকেন্ড হোমের কথা। কিসের সেকেন্ড হোম। যে দেশের মানুষ ফুটপাতে ঘুমায়, সে দেশের কিছু মানুষ বিদেশে সেকেন্ড হোম করতেছে। আমরা বলি কারা করেছে এই সেকেন্ড হোম, তার একটা তালিকা তৈরি করেন এবং কীভাবে করল তা বের করেন। করবে না তারা তালিকা। আমরা বলেছিলাম এর মধ্যে যদি বিএনপির কেউ থাকে তাহলে তারও বিচার করেন। করবে না তালিকা, কারণ তালিকা করলে তো ধরা খেয়ে যাবে তারা। বেগমপাড়ার মতো দুবাইতেও নাকি একটা পাড়া হইছে, যার নাম দিছে গুলশান-৩। সুইস ব্যাংকের নাম তো আগে শুনেন নাই কোনো দিন। এখন শোনা যাচ্ছে। কারণ, বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি সেখানে জমা হয়। কারা করে, কাদের সেকেন্ড হোম, কারা দুবাইয়ের গুলশান-৩-এ আছে। কেনো তালিকা প্রকাশ করেন না। সংসদে এক সদস্য বলল টাকা পাচার হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বলে, ‘‘কে পাচার করে ধরাইয়া দেন, আমরা ব্যবস্থা নিব।” আরে আমরাই ধরাইয়া দিব তাহলে আপনি কেন ওই খানে? এই সরকারের এত ডিপার্টমেন্ট, এত অফিস, এতসব যোগ্য লোকেরা ঘাস কাটে নাকি? আমাদের ধরাইয়া দেওয়া লাগবে! তারপরে পত্রিকায় বের হলো অমুক দেশে এতজন বাংলাদেশি বাড়ি কিনছে। এখন তো বাইর করা সুবিধা। যে কারা কারা করছে এই বাড়ি। তালিকা করে না। কয়েক দিন পর বের হলো আওয়ামী লীগের একজন এমপি আব্দুস সোবহান গোলাপ তার নিউইয়র্কে ৯টা প্রোপার্টি আছে। এখন তো নাম পাইলেন। কোনো ব্যবস্থা হইছে। তার বিরুদ্ধে কী কোনো ব্যবস্থা হইছে? তাহলে বিষয়টি কী দাঁড়াল, আপনারা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতেছেন। যদি আপনারা প্রশ্রয় নাই দিতেন, তাহলে জেলার একটি অঙ্গসংগঠনের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করে কেমনে?’
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘কোভিডের পরপর একটা রিপোর্ট বের হয়েছিল ১৩ হাজার নতুন কোটিপতি হয়েছে। শুনলে মনে হয়, দেশ উন্নতি করছে। কিন্তু আরেক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, সেই একই সময়ে সাড়ে তিন কোটি মানুষ আরও বেশি দরিদ্র হয়েছে। এখন যদি বলে আমরা উন্নয়ন করেছি, তাহলে তারা কার মানুষ। এই সরকার উন্নয়নের দাবি করে, তারা ওই ১৩ হাজারের নেতা। তারা ওই ১৩ হাজারের সরকার। ১৩ হাজারের দল। ওই সাড়ে তিন কোটি যারা আরও দরিদ্র হয়েছে তাদের কী উন্নয়ন হয়েছে? তাহলে তারা যখন উন্নয়নের দাবি করে তখন এদের কথা বলে না। তার মানে তারা এদের নেতা না? এদের সরকার না? এদের দল না?’
জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম। এতে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, জেলা বিএনপির সহসভাপতি লায়লা বেগম, রেজাউল করিম খান চুন্নু, জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, নাজমুল আলম, বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম সুমন, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বাহারউদ্দিন বাহার, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের সুমন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া, সাধারণ ফেরদৌস আহমেদ নেভিন প্রমুখ। জনসমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া।
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বিকেলে শহরের হাজীগঞ্জ নবীগঞ্জ খেয়াঘাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ৯ জন যাত্রী নদীতে পড়ে গেলে আশপাশের ট্রলার এসে তাদের দ্রুত উদ্ধার করে। এই ঘটনায় কোনো নিখোঁজ নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২১ মিনিট আগেগত ৫ আগস্টের পর জামিনে জেল থেকে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কে কোথায়, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাদের অবস্থান শনাক্ত এবং অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে নিয়মিত অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক। শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে
২৪ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় রাজাপুর সেতুসংলগ্ন এলাকার বালুমহালের ইজারা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ শনিবার সেতুসংলগ্ন স্থানে হাজীপুর, শরীফপুর ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
৩৬ মিনিট আগেবগুড়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিকে ‘অবৈধ পকেট কমিটি’ আখ্যা দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের একাংশের নেতারা। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে বগুড়া জেলা স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি করেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে