নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীন ও তাঁর ছেলে মো. ফয়সাল আবেদীনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এ সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান সাক্ষ্য দেন। আংশিক সাক্ষ্য দেওয়ার পর বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের পক্ষে আইনজীবী নুরুল ইসলাম দুলাল সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবি রাখার আবেদন করেন। তিনি আদালতকে আবেদনে বলেন, এই মামলা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানাবেন। তাই সময় দেওয়া হোক।
এডভোকেট নুরুল ইসলাম দুলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞা সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবি ঘোষণা করে আগামী ৩০ জুন পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।’
গত ১ এপ্রিল আদালত এই মামলায় বিচারপতি ও তার ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। দুদকের বিশেষ পি পি রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে জানান, বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন। অপরদিকে ছেলে ফয়সাল আবেদীন পলাতক রয়েছেন।
২০১৯ সালের ২১ জুলাই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদকের সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক গোলাম মাওলা দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জয়নুল আবেদীনের মোট সম্পদ এক কোটি ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ১৭৪ টাকা। তার ১৯৮২-১৯৮৩ কর বর্ষ থেকে ২০১০-১১ কর বর্ষ পর্যন্ত পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ব্যয় হয়েছে ৬৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯ টাকা। পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ অর্জিত সম্পদ ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ২১৩ টাকা। এর বিপরীতে আয়ের উৎস পাওয়া যায় ১ কোটি ৮৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩০৪ টাকার। তার আয়ের তুলনায় ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৯ টাকা বেশি সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, জয়নুল আবেদীন তার ছেলেকে ২৬ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছিলেন বলে ঘোষণা দেন, যা তার ছেলে ফয়সাল আবেদীনের আয়কর নথিতে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বিচারপতির আয়কর রিটার্নে ২৬ লাখ টাকা ঋণ দান এবং ফেরত প্রাপ্তির কোনো তথ্য নেই। বিচারপতির দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে দাখিল করা ব্যাংক স্টেটমেন্টে (২০০৫-২০০৬ এবং ২০০৬-২০০৭ অর্থবছর) তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ২৬ লাখ টাকা উত্তোলনের তথ্য নেই।
ফয়সাল আবেদীনের আয়কর নথিতে তার দায় ক্রমান্বয়ে পরিশোধ দেখানো হলেও জয়নুল আবেদীনের কাছে টাকা পরিশোধের কোনো দালিলিক প্রমাণ পাওয়া পাওয়া যায়নি, যা থেকে দুদক প্রমাণ পেয়েছে জয়নুল আবেদীন তার অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বৈধ করার জন্য ২৬ লাখ টাকা ফয়সাল আবেদীনের ফ্ল্যাটে বিনিয়োগ করেন।
এ ছাড়া জয়নুল আবেদীন তার স্ত্রীর নামে ৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ থাকার হিসাব দাখিল করেন। দুদকের তদন্তে উঠে আসে, জয়নুল আবেদীন ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তা নিজ ভোগদখলে রাখা এবং ছেলেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য দেওয়া ২৬ লাখ টাকা নিজ আয়কর নথিতে ও দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে প্রদর্শন না করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। মো. ফয়সাল আবেদীন বাবার ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ২৬ লাখ টাকা জেনে শুনে বৈধ করার জন্য সম্পত্তি ক্রয় ও দখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীন ও তাঁর ছেলে মো. ফয়সাল আবেদীনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এ সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান সাক্ষ্য দেন। আংশিক সাক্ষ্য দেওয়ার পর বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের পক্ষে আইনজীবী নুরুল ইসলাম দুলাল সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবি রাখার আবেদন করেন। তিনি আদালতকে আবেদনে বলেন, এই মামলা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানাবেন। তাই সময় দেওয়া হোক।
এডভোকেট নুরুল ইসলাম দুলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞা সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবি ঘোষণা করে আগামী ৩০ জুন পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।’
গত ১ এপ্রিল আদালত এই মামলায় বিচারপতি ও তার ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। দুদকের বিশেষ পি পি রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে জানান, বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন। অপরদিকে ছেলে ফয়সাল আবেদীন পলাতক রয়েছেন।
২০১৯ সালের ২১ জুলাই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদকের সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক গোলাম মাওলা দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জয়নুল আবেদীনের মোট সম্পদ এক কোটি ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ১৭৪ টাকা। তার ১৯৮২-১৯৮৩ কর বর্ষ থেকে ২০১০-১১ কর বর্ষ পর্যন্ত পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ব্যয় হয়েছে ৬৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯ টাকা। পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ অর্জিত সম্পদ ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ২১৩ টাকা। এর বিপরীতে আয়ের উৎস পাওয়া যায় ১ কোটি ৮৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩০৪ টাকার। তার আয়ের তুলনায় ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৯ টাকা বেশি সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, জয়নুল আবেদীন তার ছেলেকে ২৬ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছিলেন বলে ঘোষণা দেন, যা তার ছেলে ফয়সাল আবেদীনের আয়কর নথিতে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বিচারপতির আয়কর রিটার্নে ২৬ লাখ টাকা ঋণ দান এবং ফেরত প্রাপ্তির কোনো তথ্য নেই। বিচারপতির দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে দাখিল করা ব্যাংক স্টেটমেন্টে (২০০৫-২০০৬ এবং ২০০৬-২০০৭ অর্থবছর) তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ২৬ লাখ টাকা উত্তোলনের তথ্য নেই।
ফয়সাল আবেদীনের আয়কর নথিতে তার দায় ক্রমান্বয়ে পরিশোধ দেখানো হলেও জয়নুল আবেদীনের কাছে টাকা পরিশোধের কোনো দালিলিক প্রমাণ পাওয়া পাওয়া যায়নি, যা থেকে দুদক প্রমাণ পেয়েছে জয়নুল আবেদীন তার অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বৈধ করার জন্য ২৬ লাখ টাকা ফয়সাল আবেদীনের ফ্ল্যাটে বিনিয়োগ করেন।
এ ছাড়া জয়নুল আবেদীন তার স্ত্রীর নামে ৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ থাকার হিসাব দাখিল করেন। দুদকের তদন্তে উঠে আসে, জয়নুল আবেদীন ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তা নিজ ভোগদখলে রাখা এবং ছেলেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য দেওয়া ২৬ লাখ টাকা নিজ আয়কর নথিতে ও দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে প্রদর্শন না করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। মো. ফয়সাল আবেদীন বাবার ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ২৬ লাখ টাকা জেনে শুনে বৈধ করার জন্য সম্পত্তি ক্রয় ও দখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন।
বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। এপ্রিল মাসে বৃষ্টির সময় উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন করা কঠিন হবে।’
৬ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম তারেক মাহমুদ উৎস (২৩)। তিনি রংপুর কোতোয়ালি থানার লালবাগ এলাকার নুরুজ্জামান বকুলের ছেলে।
৬ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের আত্রাই নদীতে গোসল করতে নেমে সেলফি তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মোমিনুল ইসলাম (১৭)। আজ রোববার দুপুরে মোহনপুর রাবার ড্যামে এই দুর্ঘটনার ঘটে।
৬ ঘণ্টা আগেমোবাইলে জুয়া খেলা নিয়ে বিরোধে ফরিদপুরে ইজ্জল শেখ নামের এক ব্যক্তির মুখে বিষ ঢেলে পানিতে চুবিয়ে রেখে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে। নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে আজ রোববার সন্ধ্যায় দাফন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে