ফরিদপুর প্রতিনিধি
স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট নবায়ন করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন প্রকাশ ছানা নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি। তাঁর কাছে পাসপোর্ট নবায়নে ফিঙ্গার নেওয়ার জন্য ১৩ হাজার ৫০০ ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৩৬০ টাকা ঘুষ দাবি করেন দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রমকল্যাণ) মো. মুতাসিমুল ইসলাম।
ওই কর্মকর্তার চাহিদা অনুযায়ী ইউরো না দিতে পারায় এখন পর্যন্ত পাসপোর্ট নবায়ন করা হয়নি বলে অভিযোগ ওই প্রবাসীর। এমনকি তাঁকে জাপানি নাগরিক বলে আখ্যায়িত করেছেন দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা।
তবে প্রকাশ ছানা বলেন, তাঁর বাড়ি ফরিদপুর জেলা সদরের ঈশানগোপানপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে। বাবা সুভাষ সাহা। পাসপোর্ট নবায়ন করতে না পেরে তিনি দেশে আসতে পারছেন না। এমনকি স্পেনের সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আজ শনিবার সকালে স্পেন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ফরিদপুরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে এ অভিযোগ করেন প্রকাশ ছানা। সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা যুক্ত হন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ ছানা বলেন, ‘সমস্যার সমাধান না হলে আমি আত্মহত্যা করব।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ ছানা বলেন, ‘আমি ২০২৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাসে আমার পাসপোর্ট নবায়ন করতে গেলে তারা আমার থেকে পাসপোর্টের ফি বাবদ ১০০ ইউরো নেয় এবং আমাকে রসিদ প্রদান করে। কিন্তু তারপরও তারা আমার ফিঙ্গার নেয়নি।
‘একপর্যায়ে দূতাবাসের কর্মকর্তা মো. মুতাসিমুল ইসলাম আমার কাছে স্পেন মুদ্রায় ১৩ হাজার ৫০০ ইউরো দাবি করেন। তিনি বলেন, আমি যদি তার শর্ত পূরণ করি তাহলে আমার পাসপোর্টের ফিঙ্গার নেবে। আমি যখন প্রশ্ন করি কেন আপনাদের আমি টাকা দেব? তখন বলে কোনো কথা নাই আপনাকে যে শর্ত দেওয়া হয়েছে তা পূরণ করুন, তারপর পাসপোর্ট নবায়ন হবে।’
প্রকাশ ছানা অভিযোগ করেন, ‘এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সাব রহমান নামে এক স্পেনপ্রবাসী। আমি করোনাকালীন সুদে তাঁর কাছ থেকে ১৫ হাজার ইউরো নেই। সময় মতো সেই টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেছি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। তিনি এখন দাবি করতেছেন, আমি তার কাছ থেকে ৩০ হাজার ইউরো ধার নিয়েছি, যার কোনো প্রমাণ নেই।
‘পরবর্তীতে ব্যক্তিগত ঝামেলার কারণে তিনি আমার নামে মামলা করেন এবং আমিও তাঁর নামে মামলা করি। কারণ, আমি তাঁর থেকে যেই ১৫ হাজার ইউরো নিয়েছি, তা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেছি। যদিও এখন উনি তা অস্বীকার করতেছেন এবং বিষয়টি আদালতে আছে। আদালত যে রায় দেবে তা আমি মাথা পেতে নেব।
‘এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যেই বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, তা বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা যার নাম মোতাসিমুল ইসলাম উনি কীভাবে হস্তক্ষেপ করেন। উনার কী এমন স্বার্থ যে উনি প্রবাসে আমাদের অভিভাবক হয়ে দূতাবাসের উচ্চ কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও আদালত অবমাননা করতেছেন।
‘উনার কাজ পাসপোর্টের ফিংগার নেওয়া এবং বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট রেডি হয়ে আসলে তা আমাদের প্রদান করা। কিন্তু উনি নিজেকে বিক্রি করে দিলেন টাকার কাছে। একটি বার ভাবলেন না একজন প্রবাসীর কত বড় ক্ষতি করছেন। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে আমার মতো অসহায় কার কাছে যাবে।’
প্রকাশ ছানা ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সাগরপথ পাড়ি দিয়ে স্পেনে পৌঁছান। তিন বছর ক্যাম্পে কাটিয়ে পাঁচ বছর অবস্থানের পর তিনি স্পেনের রেসিডেন্স কার্ড লাভ করেন। এখন সেই কার্ডের মেয়াদও শেষ। নিজের পাসপোর্টটি জমা রয়েছে স্পেন বাংলাদেশ দূতাবাসে। এমন অবস্থায় চরম অমানবিক জীবন যাপন করছেন বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার রেসিডেন্স কার্ডের মেয়াদও শেষ। পাসপোর্ট নেই, পাসপোর্ট ছাড়া কার্ড উঠানো যায় না। আমি যে কতটা মানবেতর জীবন যাপন করিতেছি তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
‘তারা বলে আমি নাকি জাপানি। যে কারণে আমি এখানে চিকিৎসাও নিতে পারছি না। এমনকি ব্যবসাও করতে পারছি না। দেশে যেতে পারছি না। এই পরিস্থিতিতে আমি যদি আত্মহত্যা করি তার সম্পূর্ণ দায় বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি স্পেনের ওপর।’
এ বিষয়ে জানতে স্পেন দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রমকল্যাণ) মো. মুতাসিমুল ইসলামের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ করা হলে সাড়া পাওয়া যায়নি।
স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট নবায়ন করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন প্রকাশ ছানা নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি। তাঁর কাছে পাসপোর্ট নবায়নে ফিঙ্গার নেওয়ার জন্য ১৩ হাজার ৫০০ ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৩৬০ টাকা ঘুষ দাবি করেন দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রমকল্যাণ) মো. মুতাসিমুল ইসলাম।
ওই কর্মকর্তার চাহিদা অনুযায়ী ইউরো না দিতে পারায় এখন পর্যন্ত পাসপোর্ট নবায়ন করা হয়নি বলে অভিযোগ ওই প্রবাসীর। এমনকি তাঁকে জাপানি নাগরিক বলে আখ্যায়িত করেছেন দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা।
তবে প্রকাশ ছানা বলেন, তাঁর বাড়ি ফরিদপুর জেলা সদরের ঈশানগোপানপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে। বাবা সুভাষ সাহা। পাসপোর্ট নবায়ন করতে না পেরে তিনি দেশে আসতে পারছেন না। এমনকি স্পেনের সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আজ শনিবার সকালে স্পেন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ফরিদপুরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে এ অভিযোগ করেন প্রকাশ ছানা। সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা যুক্ত হন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ ছানা বলেন, ‘সমস্যার সমাধান না হলে আমি আত্মহত্যা করব।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ ছানা বলেন, ‘আমি ২০২৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাসে আমার পাসপোর্ট নবায়ন করতে গেলে তারা আমার থেকে পাসপোর্টের ফি বাবদ ১০০ ইউরো নেয় এবং আমাকে রসিদ প্রদান করে। কিন্তু তারপরও তারা আমার ফিঙ্গার নেয়নি।
‘একপর্যায়ে দূতাবাসের কর্মকর্তা মো. মুতাসিমুল ইসলাম আমার কাছে স্পেন মুদ্রায় ১৩ হাজার ৫০০ ইউরো দাবি করেন। তিনি বলেন, আমি যদি তার শর্ত পূরণ করি তাহলে আমার পাসপোর্টের ফিঙ্গার নেবে। আমি যখন প্রশ্ন করি কেন আপনাদের আমি টাকা দেব? তখন বলে কোনো কথা নাই আপনাকে যে শর্ত দেওয়া হয়েছে তা পূরণ করুন, তারপর পাসপোর্ট নবায়ন হবে।’
প্রকাশ ছানা অভিযোগ করেন, ‘এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সাব রহমান নামে এক স্পেনপ্রবাসী। আমি করোনাকালীন সুদে তাঁর কাছ থেকে ১৫ হাজার ইউরো নেই। সময় মতো সেই টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেছি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। তিনি এখন দাবি করতেছেন, আমি তার কাছ থেকে ৩০ হাজার ইউরো ধার নিয়েছি, যার কোনো প্রমাণ নেই।
‘পরবর্তীতে ব্যক্তিগত ঝামেলার কারণে তিনি আমার নামে মামলা করেন এবং আমিও তাঁর নামে মামলা করি। কারণ, আমি তাঁর থেকে যেই ১৫ হাজার ইউরো নিয়েছি, তা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেছি। যদিও এখন উনি তা অস্বীকার করতেছেন এবং বিষয়টি আদালতে আছে। আদালত যে রায় দেবে তা আমি মাথা পেতে নেব।
‘এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যেই বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, তা বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা যার নাম মোতাসিমুল ইসলাম উনি কীভাবে হস্তক্ষেপ করেন। উনার কী এমন স্বার্থ যে উনি প্রবাসে আমাদের অভিভাবক হয়ে দূতাবাসের উচ্চ কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও আদালত অবমাননা করতেছেন।
‘উনার কাজ পাসপোর্টের ফিংগার নেওয়া এবং বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট রেডি হয়ে আসলে তা আমাদের প্রদান করা। কিন্তু উনি নিজেকে বিক্রি করে দিলেন টাকার কাছে। একটি বার ভাবলেন না একজন প্রবাসীর কত বড় ক্ষতি করছেন। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে আমার মতো অসহায় কার কাছে যাবে।’
প্রকাশ ছানা ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সাগরপথ পাড়ি দিয়ে স্পেনে পৌঁছান। তিন বছর ক্যাম্পে কাটিয়ে পাঁচ বছর অবস্থানের পর তিনি স্পেনের রেসিডেন্স কার্ড লাভ করেন। এখন সেই কার্ডের মেয়াদও শেষ। নিজের পাসপোর্টটি জমা রয়েছে স্পেন বাংলাদেশ দূতাবাসে। এমন অবস্থায় চরম অমানবিক জীবন যাপন করছেন বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার রেসিডেন্স কার্ডের মেয়াদও শেষ। পাসপোর্ট নেই, পাসপোর্ট ছাড়া কার্ড উঠানো যায় না। আমি যে কতটা মানবেতর জীবন যাপন করিতেছি তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
‘তারা বলে আমি নাকি জাপানি। যে কারণে আমি এখানে চিকিৎসাও নিতে পারছি না। এমনকি ব্যবসাও করতে পারছি না। দেশে যেতে পারছি না। এই পরিস্থিতিতে আমি যদি আত্মহত্যা করি তার সম্পূর্ণ দায় বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি স্পেনের ওপর।’
এ বিষয়ে জানতে স্পেন দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রমকল্যাণ) মো. মুতাসিমুল ইসলামের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ করা হলে সাড়া পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
১৯ মিনিট আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৪৪ মিনিট আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
২ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
২ ঘণ্টা আগে