Ajker Patrika

জিজ্ঞাসাবাদে মারধরের কথা স্বীকার করেছেন ইলমার স্বামী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জিজ্ঞাসাবাদে মারধরের কথা স্বীকার করেছেন ইলমার স্বামী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ইলমা চৌধুরী মেঘলা হত্যার দায়ে তাঁর স্বামী ইফতেখার আবেদীনের তিন দিনের রিমান্ড শেষ হচ্ছে আজ শনিবার। তিন দিনের রিমান্ডে ইলমাকে মারধর ও নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন তাঁর স্বামী ইফতেখার আবেদীন। তবে হত্যার উদ্দেশে ইলমাকে মারধর করেননি বলে রিমান্ডে জানিয়েছেন তিনি। 

আগামীকাল রোববার রিমান্ড শেষে তাঁকে আবারও আদালতে তোলা হবে। 

ইলমার স্বামী ইফতেখার আবেদীনের বরাত দিয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আযম মিয়া জানান, ইফতেখার আবেদীন দীর্ঘ দিন ধরে ইলমাকে সন্দেহ করতেন। ইলমার প্রেমিক আছে এমন সন্দেহে নানান সময় তাঁকে মানসিক নির্যাতন ও মারধর করতেন। তাঁকে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিতেন না। এমনকি পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতে নিষেধ করতেন। 

নূরে আযম মিয়া বলেন, ‘ইলমার স্বামী ইফতেখার আবেদীন রিমান্ডে ইলমাকে নির্যাতন ও মারধরের কথা স্বীকার করেছেন। তবে হত্যার উদ্দেশে তিনি ইলমাকে মারধর করেননি। এ ছাড়া তিন দিনের রিমান্ড শেষে আগামীকাল রোববার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।’ 

নূরে আযম মিয়া বলেন, ‘ইলমার শ্বশুর-শাশুড়ি এখনো পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’ 

ইলমার সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইলমার ওপরের ঠোঁটে কালচে জখম, নাকে আঘাতের চিহ্ন ও কালচে শিরা জখম রয়েছে। এ ছাড়া ঘাড়ে লম্বালম্বি কালচে জখম, গলার উপরি ভাগে, থুতনিতে, পিঠের ডান পাশে, বাম পায়ের বুড়ো আঙুলে কালচে জখম। দুই পায়ের হাঁটুর নিচেও জখমের চিহ্ন রয়েছে।’ 

বিয়ের কিছুদিন পরেই স্ত্রী ইলমাকে ছেড়ে কানাডায় চলে যান স্বামী ইফতেখার আবেদীন। সেই থেকে সন্দেহের শুরু। আট মাস পর দেশে ফিরেই গত মঙ্গলবার স্ত্রী ইলমাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন ইলমার পরিবার। এ ঘটনায় সেদিন রাতেই স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন ইলমার পরিবার। বুধবার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার ইফতেখার আবেদীনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত