নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইয়াকুব আজাদ নামে এক আসামির সাজা স্থগিত করা হয়েছে পবিত্র আল কোরআনের তিনটি সূরা ভালো করে পড়ার শর্তে। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম শর্ত দিয়ে দন্ড স্থগিতের এই আদেশ দেন।
ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বেঞ্চ সহকারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মো. ইয়াকুব আজাদ নামে এক আসামিকে পবিত্র আল কোরআনের সুরা বাকারা, মায়েদা এবং নিছা ভালো করে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০টি গাছ লাগাতে এবং মাদরাসায় ভালোমানের কিছু ধর্মীয় বই উপহার দিতে বলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর শাহবাগ থানাধীন হোটেল আপ্যায়নের পূর্বপাশ থেকে মো. ইয়াকুব আজাদকে ৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। ওইদিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক কাজী হাবিবুর রহমান একটি মামলা করেন।
মামলাটি তদন্তের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার বিচার শেষে ২০১৫ সালের ৫ জুলাই তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক হাজার টাকা জরিমানার করেন। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে আরও ১৫ দিনের কারাভোগের আদেশ দেন আদালত। ওই সময় আসামি পলাতক ছিলেন।
রায়ের পর আসামি পরোয়ানামূলে ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন এবং একই বছরের ২ নভেম্বর তিনি জামিন পেয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল দায়ের করেন। আপিল শুনানির জন্য বিশেষ জজ আদালত-৬- এ মামলাটি বদলি হয়।
আজ রোববার আপিল শুনানিতে আইনজীবী জায়েদুর রহমানের মাধ্যমে আসামি প্রবেশন আইন অনুযায়ী দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এ সময় কাঠগড়ায় থাকা আসামির কাছে বিচারক আসামির ছেলেমেয়ে সম্পর্কে জানতে চান। আসামি বলেন, তার এক ছেলে মাদরাসায় হাফেজি পড়ে, আর মেয়ে ছোট।
বিচারক বলেন, ‘ছেলে হাফেজি পড়াচ্ছেন। আপনি মারা গেলে সে আপনার জানাজা পড়াবে। আপনার জন্য দোয়া করবে। আর আপনি ইয়াবা মামলার আসামি।’
তখন আসামি নিশ্চুপ থাকেন। বিচারকের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আসামি বলেন, ‘আমি মাদরাসা থেকে ফাজিল পাস করেছি।’ এরপর বিচারক বলেন, ‘ছেলে মাদরাসায় হাফেজি পড়ে, আপনি ফাজিল পাস। কেন ইয়াবার মামলার আসামি হলেন? আসামি বলেন, ‘স্যার আমাকে ইয়াবা দিয়ে মামলা দিয়েছে।’
বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘পবিত্র কোরআনের কোন সূরায় মাদক সম্পর্কে বলা আছে জানেন?
আসামি আবারো নিশ্চুপ থাকেন। আদালত তখন বলেন, সুরা বাকারা, মায়েদা ও নিছা ভালো করে পড়বেন। মাদক সম্পর্কে তিনটি সূরায় বলা আছে।
এরপর বিচারক বলেন, ‘আপনার সাজা স্থগিত করা হলো। যে আদেশ দেওয়া হয়েছে সেটা মেনে চলবেন। সমাজসেবা দপ্তরের প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থেকে এই কাজগুলো করবেন। যদি না করেন তাহলে আবার সাজা পুনর্বহাল করা হবে। আর প্রবেশন অফিসার যদি আপনার কাজের স্বপক্ষে প্রতিবেদন না দেয়, তাহলে আপনাকে সাজা খাটতে হবে।’
ইয়াকুব আজাদ নামে এক আসামির সাজা স্থগিত করা হয়েছে পবিত্র আল কোরআনের তিনটি সূরা ভালো করে পড়ার শর্তে। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম শর্ত দিয়ে দন্ড স্থগিতের এই আদেশ দেন।
ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বেঞ্চ সহকারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মো. ইয়াকুব আজাদ নামে এক আসামিকে পবিত্র আল কোরআনের সুরা বাকারা, মায়েদা এবং নিছা ভালো করে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০টি গাছ লাগাতে এবং মাদরাসায় ভালোমানের কিছু ধর্মীয় বই উপহার দিতে বলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর শাহবাগ থানাধীন হোটেল আপ্যায়নের পূর্বপাশ থেকে মো. ইয়াকুব আজাদকে ৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। ওইদিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক কাজী হাবিবুর রহমান একটি মামলা করেন।
মামলাটি তদন্তের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার বিচার শেষে ২০১৫ সালের ৫ জুলাই তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক হাজার টাকা জরিমানার করেন। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে আরও ১৫ দিনের কারাভোগের আদেশ দেন আদালত। ওই সময় আসামি পলাতক ছিলেন।
রায়ের পর আসামি পরোয়ানামূলে ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন এবং একই বছরের ২ নভেম্বর তিনি জামিন পেয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল দায়ের করেন। আপিল শুনানির জন্য বিশেষ জজ আদালত-৬- এ মামলাটি বদলি হয়।
আজ রোববার আপিল শুনানিতে আইনজীবী জায়েদুর রহমানের মাধ্যমে আসামি প্রবেশন আইন অনুযায়ী দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এ সময় কাঠগড়ায় থাকা আসামির কাছে বিচারক আসামির ছেলেমেয়ে সম্পর্কে জানতে চান। আসামি বলেন, তার এক ছেলে মাদরাসায় হাফেজি পড়ে, আর মেয়ে ছোট।
বিচারক বলেন, ‘ছেলে হাফেজি পড়াচ্ছেন। আপনি মারা গেলে সে আপনার জানাজা পড়াবে। আপনার জন্য দোয়া করবে। আর আপনি ইয়াবা মামলার আসামি।’
তখন আসামি নিশ্চুপ থাকেন। বিচারকের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আসামি বলেন, ‘আমি মাদরাসা থেকে ফাজিল পাস করেছি।’ এরপর বিচারক বলেন, ‘ছেলে মাদরাসায় হাফেজি পড়ে, আপনি ফাজিল পাস। কেন ইয়াবার মামলার আসামি হলেন? আসামি বলেন, ‘স্যার আমাকে ইয়াবা দিয়ে মামলা দিয়েছে।’
বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘পবিত্র কোরআনের কোন সূরায় মাদক সম্পর্কে বলা আছে জানেন?
আসামি আবারো নিশ্চুপ থাকেন। আদালত তখন বলেন, সুরা বাকারা, মায়েদা ও নিছা ভালো করে পড়বেন। মাদক সম্পর্কে তিনটি সূরায় বলা আছে।
এরপর বিচারক বলেন, ‘আপনার সাজা স্থগিত করা হলো। যে আদেশ দেওয়া হয়েছে সেটা মেনে চলবেন। সমাজসেবা দপ্তরের প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থেকে এই কাজগুলো করবেন। যদি না করেন তাহলে আবার সাজা পুনর্বহাল করা হবে। আর প্রবেশন অফিসার যদি আপনার কাজের স্বপক্ষে প্রতিবেদন না দেয়, তাহলে আপনাকে সাজা খাটতে হবে।’
রাজধানীতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তার জন্য অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে ৪২৬ জন ‘সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রশিক্ষণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের অনেকে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জানেন না।
৬ ঘণ্টা আগেনতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আজ সোমবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৩৬টি খাল ঘিরে বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা বরাদ্দে শুরু করা এ প্রকল্পের আকার এখন ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা।
৭ ঘণ্টা আগেসরকার পতনের পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়রকে অপসারণ ও কাউন্সিলদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তবে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পর এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, রাস্তা মেরামত, পরিচ্ছন্নতা, মশক নিয়ন্ত্রণসহ
৭ ঘণ্টা আগে