মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল কোনো ধর্মের অবমাননা করেননি। এমনটাই উঠে এসেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) গঠিত এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটির একমাত্র সদস্য হিসেবে মাউশির মহাপরিচালকের কাছে এই তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেন মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হাই তালুকদার।
তার প্রতিবেদনে কোনো ধর্ম অবমাননার প্রমাণ পাওয়া যায়নি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে কথা বলেছেন। হিন্দু ধর্ম, খ্রিষ্টান ধর্ম, ইসলাম ধর্ম নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু, কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক কথা পাওয়া যায়নি।’
তাহলে এমন ঘটনা ঘটার কী কারণ থাকতে পারে? সেটি তদন্ত করে দেখা গেছে, স্কুলের অন্য এক খণ্ডকালীন বিজ্ঞান শিক্ষক প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে এমনটা ঘটিয়ে থাকতে পারে। শিক্ষার্থীদের সাথেও আমি কথা বলেছি। ওরা প্রথমে বলতে চেয়েছে যে ওরা ভুল করে মোবাইল নিয়ে এসেছিল। কিন্তু, তদন্তে দেখা গেছে তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে মোবাইল এনে বক্তব্য রেকর্ড করেছে।’
বহিরাগতদের এ ঘটনায় কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, ‘বহিরাগতদের সম্পৃক্ততা সরাসরি পাওয়া যায়নি। তবে, ছাত্ররা মোবাইলে রেকর্ড করে স্কুলের বাইরে মাহবুবুর রহমান নামে এক চাল ব্যবসায়ীর কাছে গিয়েছিল। সে তখন শিক্ষার্থীদের বলেছে যে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করতে।’ শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষসহ সকলের পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারেও তদন্তে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, তদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ম অবমাননার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এমন খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ। আমি এখন নিয়মিত ক্লাস নিতে পারব।’
প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ সকালে বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আহম্মেদ পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে বিদ্যালয়ের ইলেকট্রিশিয়ান আসাদ বাদী হয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে মামলা করেন। ১৯ দিন কারাগারে থেকে গত ১০ এপ্রিল তিনি মুক্তি পান অভিযুক্ত শিক্ষক। প্রায় এক মাস পর গত মঙ্গলবার থেকে তিনি পুনরায় ক্লাসে ফেরেন।
মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল কোনো ধর্মের অবমাননা করেননি। এমনটাই উঠে এসেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) গঠিত এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটির একমাত্র সদস্য হিসেবে মাউশির মহাপরিচালকের কাছে এই তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেন মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হাই তালুকদার।
তার প্রতিবেদনে কোনো ধর্ম অবমাননার প্রমাণ পাওয়া যায়নি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে কথা বলেছেন। হিন্দু ধর্ম, খ্রিষ্টান ধর্ম, ইসলাম ধর্ম নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু, কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক কথা পাওয়া যায়নি।’
তাহলে এমন ঘটনা ঘটার কী কারণ থাকতে পারে? সেটি তদন্ত করে দেখা গেছে, স্কুলের অন্য এক খণ্ডকালীন বিজ্ঞান শিক্ষক প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে এমনটা ঘটিয়ে থাকতে পারে। শিক্ষার্থীদের সাথেও আমি কথা বলেছি। ওরা প্রথমে বলতে চেয়েছে যে ওরা ভুল করে মোবাইল নিয়ে এসেছিল। কিন্তু, তদন্তে দেখা গেছে তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে মোবাইল এনে বক্তব্য রেকর্ড করেছে।’
বহিরাগতদের এ ঘটনায় কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, ‘বহিরাগতদের সম্পৃক্ততা সরাসরি পাওয়া যায়নি। তবে, ছাত্ররা মোবাইলে রেকর্ড করে স্কুলের বাইরে মাহবুবুর রহমান নামে এক চাল ব্যবসায়ীর কাছে গিয়েছিল। সে তখন শিক্ষার্থীদের বলেছে যে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করতে।’ শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষসহ সকলের পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারেও তদন্তে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, তদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ম অবমাননার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এমন খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ। আমি এখন নিয়মিত ক্লাস নিতে পারব।’
প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ সকালে বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আহম্মেদ পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে বিদ্যালয়ের ইলেকট্রিশিয়ান আসাদ বাদী হয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে মামলা করেন। ১৯ দিন কারাগারে থেকে গত ১০ এপ্রিল তিনি মুক্তি পান অভিযুক্ত শিক্ষক। প্রায় এক মাস পর গত মঙ্গলবার থেকে তিনি পুনরায় ক্লাসে ফেরেন।
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর রাজৈরে ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ ও লুটপাটের ঘটনায় পাঠানকান্দি গ্রামের এক বিএনপি কর্মীর দায়ের করা মামলায় শাজাহান মোল্লা এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
৪৪ মিনিট আগেশিবচরের সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর আজগর হাওলাদারকান্দি গ্রামের শাহ আলম ও নাছিমা দম্পতির একমাত্র ছেলে ছিলেন হৃদয়। তিনি স্থানীয় একটি ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করতেন। পড়াশোনা শেষ করে সৌদি আরবে থাকা চাচার সহায়তায় বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় দোকান কর্মচারী শহীদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে মামলার আসামির সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বেড়ে ২৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের সখীপুরে সন্তানদের সামনে স্ত্রী কাকলিকে (৩২) হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া স্বামী মেহেদী হাসানকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন (র্যাব-১৪) মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে।
২ ঘণ্টা আগে