নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে ২০১৭ সালে বন্ধুদের পাল্লায় পরে প্রথমবার নতুন ধরনের মাদক এলএসডির সংস্পর্শে আসেন নাজমুল ইসলাম বিশ্বাস (২৬)। পরে ধীরে ধীরে এ মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। আসক্তি থেকে একপর্যায়ে বিদেশ থেকে নিজেই এলএসডির কারবার শুরু করেন। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে নাজমুল এলএসডি বিক্রি করে আসছিলেন।
আজ বুধবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ কার্যালয়ের আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএনসির ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল।
এলএসডি সেবন ও বিক্রির অভিযোগে ২০২১ সালে প্রথমবার নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ১০ পিস এলএসডি জব্দ করা হয়। কিন্তু গ্রেপ্তারের ৪ মাস পর জামিনে বের হয়ে আবারও এলএসডি সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এই তরুণ।
সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে ভাটারা এলাকার জামিয়া মাদানি মসজিদ রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাজমুলকে ১৩৮ পিস এলএসডিসহ গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রোর কার্যালয় (দক্ষিণ)।
ডিএনসি জানায়, নাজমুল ইন্টারনেট কারেন্সি বিট কয়েন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কুরিয়ারের মাধ্যমে দেশে এলএসডি নিয়ে আসেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে এলএসডি বিক্রি করা।
মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল বলেন, গতকাল রাতে ভাটারা এলাকার জামিয়া মাদানি মসজিদ রোড থেকে ডিএনসির এক অফিসার ২৫ পিস রঙিন প্রিন্টেড ব্লট পেপার স্ট্রিপ এলএসডিসহ নাজমুল ইসলাম বিশ্বাসকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য মতে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি ব্লকের ৭ নম্বর রোডের তাঁর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়। সেই ফ্ল্যাটে কাঠের টেবিলের ড্রয়ার থেকে আরও ৭১ পিস রঙিন প্রিন্টেড ব্লট পেপার এলএসডি এবং ৪২ পিস হোয়াইট ব্লট পেপার স্ট্রিপ এলএসডি জব্দ করা হয়। এ সময় অনুসন্ধানের স্বার্থে তাঁর ব্যবহৃত ১টি ল্যাপটপ এবং ১টি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।
কাজল বলেন, নাজমুল ইসলাম বিশ্বাসের গ্রামের বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার নগরবাড়িতে। তিনি ঢাকায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি ব্লকের ৭ নম্বর রোডে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন।
নাজমুলকে জিজ্ঞাসাবাদের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বলেন, নাজমুল ২০১৭ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময়ে এ মাদকের সংস্পর্শে আসেন। তখন বিদেশে অধ্যয়নরত তাঁর বন্ধুদের থেকে সে এই মাদক সংগ্রহ করতেন। পরবর্তীতে তিনি ডার্ক ওয়েব ও বিট কয়েন ব্যবহার করে এই মাদক বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এনে ব্যবসা শুরু করেন।
জাফরুল্ল্যাহ কাজল আরও বলেন, এর আগে নাজমুল ২০১৭ সালে পুলিশের হাতে ১০ পিস এলএসডিসহ গ্রেপ্তার হয়। গ্রেপ্তারের ৪ মাস পর জামিনে বের হয়ে আবারও এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। সর্বশেষ তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪০ পিস এলএসডি দেশে নিয়ে আসেন। এর মধ্যে তাকে গ্রেপ্তারের সময় ১৩৮ পিস উদ্ধার করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল বলেন, অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে এলএসডি অর্ডার করেন নাজমুল। পরে তিনি ইন্টার কারেন্সি বিটকয়েনের মাধ্যমে অর্ডারে মূল্য পরিশোধ করেন। এ মাদক আন্তর্জাতিক কুরিয়ারা মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছায়। তবে এসব তথ্য আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি সঠিক কি না।
এলএসডি দেশে ছড়িয়ে দিতে আন্তর্জাতিক কোনো চক্র কাজ করছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা সব সময় চেষ্টা করে সারা বিশ্বে মাদক ছড়িয়ে দিতে। আমাদের দেশের যুবসমাজ মাদক ব্যবসায়ীদের টার্গেটে রয়েছে। তবে আমরা সচেষ্ট রয়েছি এবং গোয়েন্দা নজরদারি করছি মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করার জন্য।
ডিএনসির এই কর্মকর্তা বলেন, কোনো ব্যক্তি বিশেষের কাছ থেকে নাজমুল এলএসডি দেশে নিয়ে আসতেন না। তিনি বিভিন্ন বিদেশি অনলাইন সাইট ব্যবহার করে এলএসডির অর্ডার দিতেন। পরে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এসব মাদক তিনি দেশে আনতেন।
রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে ২০১৭ সালে বন্ধুদের পাল্লায় পরে প্রথমবার নতুন ধরনের মাদক এলএসডির সংস্পর্শে আসেন নাজমুল ইসলাম বিশ্বাস (২৬)। পরে ধীরে ধীরে এ মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। আসক্তি থেকে একপর্যায়ে বিদেশ থেকে নিজেই এলএসডির কারবার শুরু করেন। নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে নাজমুল এলএসডি বিক্রি করে আসছিলেন।
আজ বুধবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ কার্যালয়ের আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএনসির ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল।
এলএসডি সেবন ও বিক্রির অভিযোগে ২০২১ সালে প্রথমবার নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ১০ পিস এলএসডি জব্দ করা হয়। কিন্তু গ্রেপ্তারের ৪ মাস পর জামিনে বের হয়ে আবারও এলএসডি সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এই তরুণ।
সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে ভাটারা এলাকার জামিয়া মাদানি মসজিদ রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাজমুলকে ১৩৮ পিস এলএসডিসহ গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রোর কার্যালয় (দক্ষিণ)।
ডিএনসি জানায়, নাজমুল ইন্টারনেট কারেন্সি বিট কয়েন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কুরিয়ারের মাধ্যমে দেশে এলএসডি নিয়ে আসেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে এলএসডি বিক্রি করা।
মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল বলেন, গতকাল রাতে ভাটারা এলাকার জামিয়া মাদানি মসজিদ রোড থেকে ডিএনসির এক অফিসার ২৫ পিস রঙিন প্রিন্টেড ব্লট পেপার স্ট্রিপ এলএসডিসহ নাজমুল ইসলাম বিশ্বাসকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য মতে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি ব্লকের ৭ নম্বর রোডের তাঁর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়। সেই ফ্ল্যাটে কাঠের টেবিলের ড্রয়ার থেকে আরও ৭১ পিস রঙিন প্রিন্টেড ব্লট পেপার এলএসডি এবং ৪২ পিস হোয়াইট ব্লট পেপার স্ট্রিপ এলএসডি জব্দ করা হয়। এ সময় অনুসন্ধানের স্বার্থে তাঁর ব্যবহৃত ১টি ল্যাপটপ এবং ১টি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।
কাজল বলেন, নাজমুল ইসলাম বিশ্বাসের গ্রামের বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার নগরবাড়িতে। তিনি ঢাকায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি ব্লকের ৭ নম্বর রোডে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন।
নাজমুলকে জিজ্ঞাসাবাদের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বলেন, নাজমুল ২০১৭ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময়ে এ মাদকের সংস্পর্শে আসেন। তখন বিদেশে অধ্যয়নরত তাঁর বন্ধুদের থেকে সে এই মাদক সংগ্রহ করতেন। পরবর্তীতে তিনি ডার্ক ওয়েব ও বিট কয়েন ব্যবহার করে এই মাদক বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এনে ব্যবসা শুরু করেন।
জাফরুল্ল্যাহ কাজল আরও বলেন, এর আগে নাজমুল ২০১৭ সালে পুলিশের হাতে ১০ পিস এলএসডিসহ গ্রেপ্তার হয়। গ্রেপ্তারের ৪ মাস পর জামিনে বের হয়ে আবারও এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। সর্বশেষ তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪০ পিস এলএসডি দেশে নিয়ে আসেন। এর মধ্যে তাকে গ্রেপ্তারের সময় ১৩৮ পিস উদ্ধার করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল বলেন, অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে এলএসডি অর্ডার করেন নাজমুল। পরে তিনি ইন্টার কারেন্সি বিটকয়েনের মাধ্যমে অর্ডারে মূল্য পরিশোধ করেন। এ মাদক আন্তর্জাতিক কুরিয়ারা মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছায়। তবে এসব তথ্য আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি সঠিক কি না।
এলএসডি দেশে ছড়িয়ে দিতে আন্তর্জাতিক কোনো চক্র কাজ করছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা সব সময় চেষ্টা করে সারা বিশ্বে মাদক ছড়িয়ে দিতে। আমাদের দেশের যুবসমাজ মাদক ব্যবসায়ীদের টার্গেটে রয়েছে। তবে আমরা সচেষ্ট রয়েছি এবং গোয়েন্দা নজরদারি করছি মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করার জন্য।
ডিএনসির এই কর্মকর্তা বলেন, কোনো ব্যক্তি বিশেষের কাছ থেকে নাজমুল এলএসডি দেশে নিয়ে আসতেন না। তিনি বিভিন্ন বিদেশি অনলাইন সাইট ব্যবহার করে এলএসডির অর্ডার দিতেন। পরে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এসব মাদক তিনি দেশে আনতেন।
জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে দুদকের সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজের নেতৃত্বে একটি দল তাঁকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসে।
৫ মিনিট আগে‘জীবনে কখনো এমন বিকট শব্দ শুনিনি আমি। মনে হলো একসঙ্গে ৩০-৪০টি বজ্রপাত হলো।’ এভাবেই স্কুলভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী আহনাফ বিন হাসান।
১৩ মিনিট আগেআবাসন সংকট, অবৈধ অস্থায়ী আদালত অপসারণ ও মাঠ দখল থেকে মুক্ত করাসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
৩৯ মিনিট আগেবঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে বাতাসের তীব্রতায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
৪৩ মিনিট আগে