Ajker Patrika

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীছাউনি ও টয়লেট বেহাল

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ডে টিনের ছাউনি ভেঙে ঝুলে পড়েছে, স্টিলের চেয়ারের বার চুরি হয়ে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ডে টিনের ছাউনি ভেঙে ঝুলে পড়েছে, স্টিলের চেয়ারের বার চুরি হয়ে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ডে নির্মিত যাত্রীছাউনি ও পাবলিক টয়লেট দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। টিনের ছাউনি ভেঙে ঝুলে পড়েছে, স্টিলের চেয়ারের বার চুরি হয়ে গেছে, টয়লেটটিও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেন উন্নয়ন প্রকল্প শেষ হলে পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের জন্য দুটি ছাউনি ও একটি পাকা পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু উদ্বোধনের অল্প সময় পরই এক বাসের ধাক্কায় ছাউনির টিন ভেঙে পড়ে। পরে ঝোড়ো হাওয়া ও একটি অটোর ধাক্কায় বাকি টিনগুলো খুলে সড়কে পড়ে। বর্তমানে ছাউনির টিন রাস্তার পাশে পড়ে আছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন বলেন, ‘এসআই পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেওয়ার পর থেকেই ছাউনিটি নড়বড়ে হয়ে যায়। পরে টিনগুলো খুলে পড়ে, আমরা কুড়িয়ে রাস্তার পাশে জমা করেছি।’

চেয়ারগুলোও চুরি হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। স্থানীয় লেগুনাচালক পারভেজ অভিযোগ করে বলেন, ‘হেরোইনসিরা ছাউনির চেয়ারের স্টিলের বার খুলে নিয়ে গেছে। এতে যাত্রীরা রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।’

পাশের জুবায়ের হোটেলের মালিক লাল মিয়া বলেন, ‘সড়ক ও জনপথের লোকজন এসে ছবি তুলেই চলে গেছে। এরপর আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

অন্যদিকে ফোর লেন প্রকল্পের অধীনে নির্মিত পাবলিক টয়লেটও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, ঠিকাদার কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই চলে গেছেন। পানির ট্যাংক ও সাবমারসিবল পাম্প খুলে নেওয়ায় টয়লেট বন্ধ হয়ে আছে। ফলে যাত্রীরা খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন, এতে পরিবেশদূষণও বাড়ছে।

পাবলিক টয়লেট দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবলিক টয়লেট দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্থানীয়দের অভিযোগ, যাত্রীছাউনি ও টয়লেট অচল থাকায় রোদ-বৃষ্টিতে শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে বাসে ওঠানামা করাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সিনথিয়া আজমিরী খান জানান, খোঁজ নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত