Ajker Patrika

সদরঘাটে যাত্রীর চাপ বেড়েছে, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি   

মোস্তাকিম ফারুকী, ঢাকা
সদরঘাটে যাত্রীর চাপ বেড়েছে, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি   

করোনার বিধিনিষেধে প্রায় তিন সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর বুধবার ভোর থেকেই সদরঘাটে লঞ্চে চলাচল শুরু হয়েছে।  

বেশ কিছু দিন বিরতির কারণে অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের চেয়ে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ দেখা গেছে। ডেকে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত।বিকেলে যাত্রীর চাপ আরও বেশি হবে বলে ধারণা করছেন সদরঘাট নৌ-পুলিশ উপপরিদর্শক মো. শহিদুল। তিনি জানান, বিকেলে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে। যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রস্তুত। 

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সর্বশেষ লকডাউনে গত ২৩ জুলাই থেকে সব গণপরিবহন বন্ধ ছিল। বুধবার বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় দীর্ঘ ১৯ দিন পর চলছে লঞ্চ। এতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে ঢাকার নদী-বন্দর সদরঘাট। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রা শুরু করেছে লঞ্চগুলো। অনেক দিন পর যাত্রীদের পদচারণা বেড়েছে সদর ঘাটে।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৫টা থেকেই টার্মিনালে যাত্রীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। নৌশ্রমিকদের হাঁক-ডাকে মুখর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল। ডাকাডাকি করেই যাত্রী ওঠানো হচ্ছে। লঞ্চগুলোর ভেতরে কিছুটা ফাঁকা দেখা গেছে। উচ্চ শব্দে একের পর এক হুইসেল বাজছে। 

মুলাদীগামী রিয়াজ আহমেদ বলেন, রাত থেকেই ভাবতেছিলাম কখন সকাল হবে, কখন বাড়ি যাব। তাই ফজরের পরই এসে উপস্থিত হয়েছি। অনেক দিন বাড়ি যাই না। লঞ্চে বসে খুব ভালো লাগছে। 

লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত, অনেকের নেই মাস্কলঞ্চ রাসেল-৫ এর সুপার ভাইজার আরিফুল ইসলাম বলেন, লঞ্চ ভর্তি মানে আমাদের পেট ভর্তি। দীর্ঘদিন লঞ্চ বন্ধ থাকায় জীবন পরিচালনা প্রায় দুর্বিষহ হয়ে পড়েছিল। লঞ্চে যাত্রী আগমন শুরু হয়েছে দেখে নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছি। আমরা আর লকডাউন চাই না।
 
বরিশালগামী নাজমুল বলেন, ঈদে যেতে পারি নাই। ইচ্ছা করেই যায় নাই কারণ ঈদের দুদিন পর লকডাউন দেবে। কর্মস্থলে ফিরতে পারব না, সেই ভয়ে যেতে পারি নাই। এখন যেতে পারার অনুভূতি অন্যরকম। ছোট বাচ্চা এবং পরিবারের জন্য নতুন কাপড় কিনে রেখেছিলাম। কখন তাদের হাতে দেব, মনটা ব্যাকুল হয়ে আছে।  

নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাটের এর যুগ্ম পরিচালক মো. জয়নাল আবদিন বলেন, সদরঘাট থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর ৪৩ রুটে প্রতিদিন প্রায় ১৫০টি লঞ্চ চলাচল করে। আমরা মাস্কবিহীন কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। পূর্ণ যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল করতে পারবে, তাই ভাড়া আগের মতই আছে। ডেকে স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে সংশয় থাকলেও, আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত