মো. রিয়াদ হোসাইন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর)
গাজীপুর কালীগঞ্জের বিনিরাইল গ্রামের বিলে প্রতি বছরের মতো এবারও বসেছে ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা। আঞ্চলিকভাবে পরিচিত এ মাছের মেলায় আশপাশের গ্রামের জামাইরা সকাল সকাল মেলায় আসেন সবচেয়ে বড় মাছটি কিনতে। এদিকে শ্বশুররাও প্রতিযোগিতায় থাকেন বড় মাছ কিনে জামাইকে পেছনে ফেলার। এ মেলা যেন জামাই–শ্বশুরের বড় মাছ কেনার প্রতিযোগিতার মাঠ।
মেলায় সকাল থেকেই সারি সারি শতাধিক মাছের দোকান বসেছে। দেশীয় প্রজাতির সব মাছের পাশাপাশি রয়েছে সামুদ্রিক সব মাছের বিশাল বহর। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলসহ বাইরের এলাকা থেকে আগত ব্যবসায়ীরা মাছের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ক্রেতার উদ্দেশ্যে।
আজ সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, বিলের মাঠে বিশাল এলাকাজুড়ে জানা অজানা বহু প্রজাতির মাছের সমাহার নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। ক্রেতাদের আনতে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির পাশাপাশি সুরে সুরে হাঁক ডাক দিচ্ছেন তাঁরা। বড় বড় সব মাছ মাথার ওপরে তুলে জানান দিচ্ছেন বাজারের বড় মাছটি তাদের দখলে। সেই হিসেবে ক্রেতারাও ঝুঁকছেন স্টলগুলোর দিকে।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এখানে এসেছেন। এর বাইরে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকেও অনেকে এসেছেন উপজেলার সর্ববৃহৎ এই মাছের মেলায়। প্রতিবছর অগ্রহায়ণের ধান কাটা শেষে পৌষ-সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত হয় এ মেলা।
এবারের মেলায় প্রায় ৫ শতাধিক মাছ ব্যবসায়ী বাহারি মাছ নিয়ে এসেছেন। মেলায় মাছ ছাড়াও আসবাবপত্র, খেলনা, মিষ্টি, বস্ত্র, হস্ত ও কুটির শিল্পের নানা পণ্যেরও স্টল রয়েছে।
মাছের মেলায় সামুদ্রিক মাছ, চিতল, বাগাড়, আইড়, বোয়াল, কালী বাউশ, পাবদা, গুলসা, গলদা চিংড়ি, বাইম, কাইকলা, রুপচাঁদা, সামুদ্রিক ছুড়ি, সামুদ্রিক কোরাল, শাপলা পাতা মাছের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ।
মেলায় ৬৫ কেজি বাগাড় মাছের দাম হাঁকানো হয়েছে ৫৫ হাজার টাকা। পার্শ্ববর্তী এলাকার জামাই মো. রুবেল রানা ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বললেও বিক্রেতা তাতে রাজি হচ্ছেন না। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চলছে দর-কষাকষি। পাশে থাকা উৎসুক জনতাও ভিড় করছেন এই অবস্থাকে কেন্দ্র করে।
মাছ ব্যবসায়ী মো. মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমি প্রতিবছরই এই মেলায় আসি। অন্য বছর বেচাকেনা ভালো থাকলেও এবারের বেচাকেনা খুবই মন্দা ভাব যাচ্ছে। সকাল থেকে মাত্র দুইটি মাছ বিক্রি করতে পারলেও বাকি সব মাছ এখনো রয়ে গেছে। হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে না সব মাছ বিক্রি করতে পারব।’
পার্শ্ববর্তী জেলা নরসিংদী থেকে আগত মাছ ব্যবসায়ী ব্রজেন্দ্র দাস বলেন, ‘আমি প্রতি বছর পাঁচদোনা থেকে এখানে এসে মাছের ব্যবসা করি। সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাছ বেচাকেনা করি। বিভিন্ন রকমের মাছ রয়েছে আমার কাছে। সাধারণত এ অঞ্চলের জামাইরা মাছ কিনে শ্বশুরবাড়ি যায় এবং শ্বশুরাও মাছ কেনে জামাইদের সমাদর করেন। নিজের ব্যবসার পাশাপাশি জামাই শ্বশুরের এই যুদ্ধ দেখতে বেশ ভালোই লাগে।’
মেলায় মাছ কিনতে আসা এলাকার জামাই আনোয়ার খান জানান, তাঁর বাড়ি গাজীপুর সদরে হলেও এই এলাকায় তিনি বিয়ে করেছেন। সে হিসেবে তাঁকে প্রতিবছরই মাছের মেলা সময় দাওয়াত করা হয়। যেহেতু আসতেই হয় তাই তিনি বড় দেখে ৩১ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের একটি রুই মাছ কিনেছেন। যার মূল্য ৩৫ হাজার টাকা। এত বড় মাছ কিনতে পেরে তিনি খুব খুশি।
বিনিরাইলের মাছের মেলা নিয়ে কথা হয় বিয়াইন বাড়িতে বেড়াতে আসা সুলতানা রাজিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, আগে কখনো তিনি এই মেলায় আসেননি। যেহেতু তিনি মাছ দেখতে পছন্দ করেন তাই এবার এসেছেন এবং নিজেও মাছ কিনে বাড়ি ফিরছেন।
বিনিরাইলের মাছের মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য কিশোর আকন্দ জানান, ব্রিটিশ শাসনামল থেকে শুরু হওয়া বিনিরাইলের মাছের মেলা এখন ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। এ মেলা কালীগঞ্জের সবচেয়ে বড় মাছের মেলা হিসেবে স্বীকৃত।
তিনি আরও জানান, শুরুতে মেলাটি অনুষ্ঠিত হতো ক্ষুদ্র পরিসরে। এটি অগ্রহায়ণের ধান কাটা শেষে পৌষ-সংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসবে আয়োজন করা হতো। এটি এক সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মেলার হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ মেলাটি একটি সর্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে আয়োজন করে আসা মেলার বয়স আড়াই শ বছর ছাড়িয়েছে। তাই বেড়েছে মেলার পরিধিও।
তিনি বলেন, মেলাকে ঘিরে বিনিরাইলের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। মেলা উপলক্ষে মেয়ে-জামাইকে দাওয়াত করে আনা এই এলাকার মানুষের রীতিতে পরিণত হয়েছে।
গাজীপুর কালীগঞ্জের বিনিরাইল গ্রামের বিলে প্রতি বছরের মতো এবারও বসেছে ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা। আঞ্চলিকভাবে পরিচিত এ মাছের মেলায় আশপাশের গ্রামের জামাইরা সকাল সকাল মেলায় আসেন সবচেয়ে বড় মাছটি কিনতে। এদিকে শ্বশুররাও প্রতিযোগিতায় থাকেন বড় মাছ কিনে জামাইকে পেছনে ফেলার। এ মেলা যেন জামাই–শ্বশুরের বড় মাছ কেনার প্রতিযোগিতার মাঠ।
মেলায় সকাল থেকেই সারি সারি শতাধিক মাছের দোকান বসেছে। দেশীয় প্রজাতির সব মাছের পাশাপাশি রয়েছে সামুদ্রিক সব মাছের বিশাল বহর। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলসহ বাইরের এলাকা থেকে আগত ব্যবসায়ীরা মাছের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ক্রেতার উদ্দেশ্যে।
আজ সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, বিলের মাঠে বিশাল এলাকাজুড়ে জানা অজানা বহু প্রজাতির মাছের সমাহার নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। ক্রেতাদের আনতে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির পাশাপাশি সুরে সুরে হাঁক ডাক দিচ্ছেন তাঁরা। বড় বড় সব মাছ মাথার ওপরে তুলে জানান দিচ্ছেন বাজারের বড় মাছটি তাদের দখলে। সেই হিসেবে ক্রেতারাও ঝুঁকছেন স্টলগুলোর দিকে।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এখানে এসেছেন। এর বাইরে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকেও অনেকে এসেছেন উপজেলার সর্ববৃহৎ এই মাছের মেলায়। প্রতিবছর অগ্রহায়ণের ধান কাটা শেষে পৌষ-সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত হয় এ মেলা।
এবারের মেলায় প্রায় ৫ শতাধিক মাছ ব্যবসায়ী বাহারি মাছ নিয়ে এসেছেন। মেলায় মাছ ছাড়াও আসবাবপত্র, খেলনা, মিষ্টি, বস্ত্র, হস্ত ও কুটির শিল্পের নানা পণ্যেরও স্টল রয়েছে।
মাছের মেলায় সামুদ্রিক মাছ, চিতল, বাগাড়, আইড়, বোয়াল, কালী বাউশ, পাবদা, গুলসা, গলদা চিংড়ি, বাইম, কাইকলা, রুপচাঁদা, সামুদ্রিক ছুড়ি, সামুদ্রিক কোরাল, শাপলা পাতা মাছের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ।
মেলায় ৬৫ কেজি বাগাড় মাছের দাম হাঁকানো হয়েছে ৫৫ হাজার টাকা। পার্শ্ববর্তী এলাকার জামাই মো. রুবেল রানা ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বললেও বিক্রেতা তাতে রাজি হচ্ছেন না। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চলছে দর-কষাকষি। পাশে থাকা উৎসুক জনতাও ভিড় করছেন এই অবস্থাকে কেন্দ্র করে।
মাছ ব্যবসায়ী মো. মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমি প্রতিবছরই এই মেলায় আসি। অন্য বছর বেচাকেনা ভালো থাকলেও এবারের বেচাকেনা খুবই মন্দা ভাব যাচ্ছে। সকাল থেকে মাত্র দুইটি মাছ বিক্রি করতে পারলেও বাকি সব মাছ এখনো রয়ে গেছে। হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে না সব মাছ বিক্রি করতে পারব।’
পার্শ্ববর্তী জেলা নরসিংদী থেকে আগত মাছ ব্যবসায়ী ব্রজেন্দ্র দাস বলেন, ‘আমি প্রতি বছর পাঁচদোনা থেকে এখানে এসে মাছের ব্যবসা করি। সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাছ বেচাকেনা করি। বিভিন্ন রকমের মাছ রয়েছে আমার কাছে। সাধারণত এ অঞ্চলের জামাইরা মাছ কিনে শ্বশুরবাড়ি যায় এবং শ্বশুরাও মাছ কেনে জামাইদের সমাদর করেন। নিজের ব্যবসার পাশাপাশি জামাই শ্বশুরের এই যুদ্ধ দেখতে বেশ ভালোই লাগে।’
মেলায় মাছ কিনতে আসা এলাকার জামাই আনোয়ার খান জানান, তাঁর বাড়ি গাজীপুর সদরে হলেও এই এলাকায় তিনি বিয়ে করেছেন। সে হিসেবে তাঁকে প্রতিবছরই মাছের মেলা সময় দাওয়াত করা হয়। যেহেতু আসতেই হয় তাই তিনি বড় দেখে ৩১ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের একটি রুই মাছ কিনেছেন। যার মূল্য ৩৫ হাজার টাকা। এত বড় মাছ কিনতে পেরে তিনি খুব খুশি।
বিনিরাইলের মাছের মেলা নিয়ে কথা হয় বিয়াইন বাড়িতে বেড়াতে আসা সুলতানা রাজিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, আগে কখনো তিনি এই মেলায় আসেননি। যেহেতু তিনি মাছ দেখতে পছন্দ করেন তাই এবার এসেছেন এবং নিজেও মাছ কিনে বাড়ি ফিরছেন।
বিনিরাইলের মাছের মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য কিশোর আকন্দ জানান, ব্রিটিশ শাসনামল থেকে শুরু হওয়া বিনিরাইলের মাছের মেলা এখন ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। এ মেলা কালীগঞ্জের সবচেয়ে বড় মাছের মেলা হিসেবে স্বীকৃত।
তিনি আরও জানান, শুরুতে মেলাটি অনুষ্ঠিত হতো ক্ষুদ্র পরিসরে। এটি অগ্রহায়ণের ধান কাটা শেষে পৌষ-সংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসবে আয়োজন করা হতো। এটি এক সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মেলার হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ মেলাটি একটি সর্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে আয়োজন করে আসা মেলার বয়স আড়াই শ বছর ছাড়িয়েছে। তাই বেড়েছে মেলার পরিধিও।
তিনি বলেন, মেলাকে ঘিরে বিনিরাইলের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। মেলা উপলক্ষে মেয়ে-জামাইকে দাওয়াত করে আনা এই এলাকার মানুষের রীতিতে পরিণত হয়েছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৬ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৬ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৭ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৭ ঘণ্টা আগে