Ajker Patrika

ডিবি-র‍্যাবের বক্তব্যে সন্তুষ্ট নন ফারদিনের বাবা, যাবেন আদালতে

নিজস্ব প্রতিবেদন, ঢাকা
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ২১: ২৩
Thumbnail image

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ও র‍্যাবের বক্তব্যে সন্তুষ্ট নন নিহত বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশের বাবা নূর উদ্দিন রানা। তিনি বলেন, ‘বিষয়টা এখনো আমার কাছে স্পষ্ট নয়। আমি ডিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তাঁদেরও বলেছি, এর পেছনে কোনো না কোনো কারণ রয়েছে।’

আজ বুধবার রাতে ফারদিনের বাবা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রামপুরার পর কোনো ভিডিও ফুটেজ স্পষ্ট নয়। আমি ডিবি ও র‍্যাবের বক্তব্যে কনভিন্স না। এখানে কনভিন্স হওয়ার কোনো কারণ নেই। শীতলক্ষ্যার সুলতানা কামাল ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার যে কথা ডিবি বলছে, তা-ও স্পষ্ট নয়। সেখানে ঢেউ দেখা যায়। কিন্তু সেখান থেকে যে ফারদিন লাফিয়ে পড়েছে, তার নিশ্চয়তা কী, অন্য কেউ হতে পারে। আমি আগামীকাল আদালতে যাব। ভেবেচিন্তে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।’ 

ফারদিনের বাবা আরও বলেন, ‘আমি আত্মহত্যার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।’ 

এর আগে, ডিবি পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ দাবি করেছেন, বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশ তারাব বিশ্বরোডের সুলতানা কামাল ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

ডিবি প্রধান বলেছেন, ‘ফারদিন ঘটনার দিন রাত ৯টার পরে বান্ধবী বুশরাকে রামপুরায় নামিয়ে দিয়ে চলে যান। এরপর তিনি কেরানীগঞ্জ চলে যান। সেখানে থেকে আবার পুরান ঢাকার জনসন রোড আসেন। সেখান থেকে গুলিস্তান, এরপর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, সেখান থেকে লেগুনায় উঠে তারাব বিশ্বরোডে চলে যান। সুলতানা কামাল ব্রিজের ওপর নেমে তিনি হেঁটে আসেন। সেখান থেকে রাত ২টা ৩৪ মিনিট ২৩ সেকেন্ডে ঝাঁপ দেন, যা ব্রিজের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজ হন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন। ৫ নভেম্বর তাঁর বাবা রামপুরা থানায় নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় ৯ নভেম্বর ফারদিনের বাবা রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় বান্ধবী বুশরাকে একমাত্র নামীয় আসামি করেন। তিনি এখনো কারাগারে রয়েছেন।

ফারদিন হত্যাকাণ্ড নিয়ে আরও সংবাদ পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত