নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বড় ধরনের সহিংসতা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের ১১টি সংগঠনের মোর্চা ‘ইলেকশন অবজারভার অ্যালায়েন্স’। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই শঙ্কার কথা জানান সংস্থাগুলোর নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে মোর্চার নির্বাহী পরিচালক জাহানারা ফারুক মলি বলেন, ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধিত ১১টি সংগঠনের মোর্চা ইলেকশন অবজারভার অ্যালায়েন্স হিসেবে আমরা বিভিন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে থাকি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনেও পর্যবেক্ষণ করব। অ্যালায়েন্সের লক্ষ্য হলো আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ-পূর্বক একটি নিরপেক্ষ প্রতিবেদন তৈরি করে উপস্থাপন করা এবং নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ করা। দ্বাদশ নির্বাচনে ৩ হাজার ৮৯৬ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ হবে অর্থবহ। অন্যথায় বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার প্রভাব সাধারণ ভোটারদের মধ্যে পড়েছে বলে আমরা ধরে নেব।’
মলি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল, প্রভাবশালী প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের তলব এবং শুনানির মাধ্যমে পুনরায় প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া—এসব কার্যক্রম কমিশনের জন্য ইতিবাচক বলে আমরা মনে করি।’
নির্বাচনের আগে বড় ধরনের নাশকতা হতে পারে—এমন শঙ্কা প্রকাশ করে ইলেকশন অবজারভার অ্যালায়েন্সের এই কর্মকর্তা বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি এবং ঘাপটি মেরে থাকা ধর্মান্ধ, উগ্র গোষ্ঠীদের মাধ্যমে নির্বাচনের আগে আরও বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে। তাই নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন ও পরে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপদ ভোটকেন্দ্র নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ভোটকেন্দ্র স্মার্ট হয়নি উল্লেখ করে জাহানারা ফারুক মলি বলেন, সরকার স্মার্ট করার কথা বললেও নির্বাচনে ভোটারদের জন্য নির্বাচন কমিশন স্মার্ট কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করেনি। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বহু প্রকল্প ও কার্যক্রম নিলেও স্মার্ট ভোটকেন্দ্রের কোনো কথা সরকার বা নির্বাচন কমিশন বলেনি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বহু ভোটকেন্দ্র রয়েছে, যেখানে একশ্রেণির ভোটার ভোট দিতে আগ্রহী হন না।
জাহানারা ফারুক মলির দাবি—জাল ভোট, ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার ছিনতাই, কেন্দ্রে আসা ও ভোটদানে বাধা প্রদান, ভোটের আগে অবৈধ অর্থের লেনদেনসহ বিভিন্ন অনিয়ম বন্ধের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। সরকারি দলের অঙ্গসংগঠনসমূহের অতি উৎসাহী কর্মীদের থামতে হবে। কারণ এর আগে স্থানীয় নির্বাচনে তাদের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল।
দেশের কিছু সুশীল সমাজের নির্বাচন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পরোক্ষ প্রচেষ্টার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে সজাগ থাকতে হবে। এ বিষয়ে সাইবার ক্রাইমসহ নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
নির্বাচনে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অনুপস্থিতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মলি বলেন, ‘আমাদের ফোকাস নির্বাচনের পরিবেশ, ভোটারের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা। কোন দল অংশগ্রহণ করছে এবং কোনটি করেনি তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই।’
নির্বাচন পর্যবেক্ষক জোটের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আমরা দেখেছি, মানুষ অধীর আগ্রহে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। জনগণ নির্বাচন উদ্যাপন করতে চায়, কোনো রাজনৈতিক দলকে নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজ উন্নয়ন প্রয়াসের সভাপতি আইনুন্নাহার, হিউম্যান রাইটস ভয়েসের নির্বাহী প্রধান নুরুল আমিন, হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশের পরিচালক রাজ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বড় ধরনের সহিংসতা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের ১১টি সংগঠনের মোর্চা ‘ইলেকশন অবজারভার অ্যালায়েন্স’। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই শঙ্কার কথা জানান সংস্থাগুলোর নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে মোর্চার নির্বাহী পরিচালক জাহানারা ফারুক মলি বলেন, ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধিত ১১টি সংগঠনের মোর্চা ইলেকশন অবজারভার অ্যালায়েন্স হিসেবে আমরা বিভিন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে থাকি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনেও পর্যবেক্ষণ করব। অ্যালায়েন্সের লক্ষ্য হলো আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ-পূর্বক একটি নিরপেক্ষ প্রতিবেদন তৈরি করে উপস্থাপন করা এবং নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ করা। দ্বাদশ নির্বাচনে ৩ হাজার ৮৯৬ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ হবে অর্থবহ। অন্যথায় বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার প্রভাব সাধারণ ভোটারদের মধ্যে পড়েছে বলে আমরা ধরে নেব।’
মলি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল, প্রভাবশালী প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের তলব এবং শুনানির মাধ্যমে পুনরায় প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া—এসব কার্যক্রম কমিশনের জন্য ইতিবাচক বলে আমরা মনে করি।’
নির্বাচনের আগে বড় ধরনের নাশকতা হতে পারে—এমন শঙ্কা প্রকাশ করে ইলেকশন অবজারভার অ্যালায়েন্সের এই কর্মকর্তা বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি এবং ঘাপটি মেরে থাকা ধর্মান্ধ, উগ্র গোষ্ঠীদের মাধ্যমে নির্বাচনের আগে আরও বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে। তাই নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন ও পরে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপদ ভোটকেন্দ্র নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ভোটকেন্দ্র স্মার্ট হয়নি উল্লেখ করে জাহানারা ফারুক মলি বলেন, সরকার স্মার্ট করার কথা বললেও নির্বাচনে ভোটারদের জন্য নির্বাচন কমিশন স্মার্ট কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করেনি। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বহু প্রকল্প ও কার্যক্রম নিলেও স্মার্ট ভোটকেন্দ্রের কোনো কথা সরকার বা নির্বাচন কমিশন বলেনি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বহু ভোটকেন্দ্র রয়েছে, যেখানে একশ্রেণির ভোটার ভোট দিতে আগ্রহী হন না।
জাহানারা ফারুক মলির দাবি—জাল ভোট, ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার ছিনতাই, কেন্দ্রে আসা ও ভোটদানে বাধা প্রদান, ভোটের আগে অবৈধ অর্থের লেনদেনসহ বিভিন্ন অনিয়ম বন্ধের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। সরকারি দলের অঙ্গসংগঠনসমূহের অতি উৎসাহী কর্মীদের থামতে হবে। কারণ এর আগে স্থানীয় নির্বাচনে তাদের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল।
দেশের কিছু সুশীল সমাজের নির্বাচন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পরোক্ষ প্রচেষ্টার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে সজাগ থাকতে হবে। এ বিষয়ে সাইবার ক্রাইমসহ নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
নির্বাচনে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অনুপস্থিতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মলি বলেন, ‘আমাদের ফোকাস নির্বাচনের পরিবেশ, ভোটারের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা। কোন দল অংশগ্রহণ করছে এবং কোনটি করেনি তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই।’
নির্বাচন পর্যবেক্ষক জোটের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আমরা দেখেছি, মানুষ অধীর আগ্রহে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। জনগণ নির্বাচন উদ্যাপন করতে চায়, কোনো রাজনৈতিক দলকে নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজ উন্নয়ন প্রয়াসের সভাপতি আইনুন্নাহার, হিউম্যান রাইটস ভয়েসের নির্বাহী প্রধান নুরুল আমিন, হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশের পরিচালক রাজ।
রাজধানীতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তার জন্য অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে ৪২৬ জন ‘সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রশিক্ষণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের অনেকে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জানেন না।
১ ঘণ্টা আগেনতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আজ সোমবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৩৬টি খাল ঘিরে বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা বরাদ্দে শুরু করা এ প্রকল্পের আকার এখন ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা আগেসরকার পতনের পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়রকে অপসারণ ও কাউন্সিলদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তবে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পর এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, রাস্তা মেরামত, পরিচ্ছন্নতা, মশক নিয়ন্ত্রণসহ
১ ঘণ্টা আগে