কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বেলাই বিলকে বলা হয় জেলার দেশি মাছের ভান্ডার। শুষ্ক মৌসুমে এ বিলের পানি দিয়ে চাষাবাদ করেন সেখানকার ৪টি উপজেলার কৃষকেরা। তবে কল-কারখানার রাসায়নিক বর্জ্যে দূষিত হয়ে পড়েছে বিশাল এই বিল। এতে আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে মাছের উৎপাদন।
স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলাসহ ৪টি উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত এই বেলাই বিলের। এক সময় এ বিলের পানি ছিল স্বচ্ছ, টলটলে। প্রাকৃতিকভাবেই পাওয়া যেত রুই, কাতল, কৈ, শিং, মাগুর, পুঁটি, মিনি, টাকি, শোল, ট্যাংরা, গুলশা, গুতুম, বেলে, মলা, ছোট বাইমসহ হরেক রকম দেশি প্রজাতির মাছ। ১০ বছর আগেও গাজীপুর জেলার মাছের চাহিদার ৫০ ভাগ আসত বিভিন্ন খাল-বিল, নদী-নালা থেকে। তার মধ্যে ৩০ ভাগই পাওয়া যেত এই বেলাই বিল থেকে। বিলের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন বেলাই বিল পাড়ের হাজারো জেলে। গাজীপুর জেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকা, নরসিংদী ও আশপাশের জেলায় সরবরাহ করা হতো বেলাই বিলের মাছ। দেশি মাছের জন্য বেলাই বিল ছিল জেলার ঐতিহ্য। কিন্তু বর্তমানে কল-কারখানার বর্জ্যে ধ্বংস হতে চলেছে বেলাই বিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চিলাই, পারুলী, তুরাগ ও বালু নদী এবং মোগরখাল, হায়দারাবাদ খাল, জয়রামবের খালসহ ১০ থেকে ১২টি নদী ও খাল জেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বেলাই বিলে গিয়ে মিশেছে। এসব নদী ও খাল দিয়ে স্রোতের মত কারখানার কেমিক্যাল, বর্জ্য বেলাই বিলে গিয়ে পড়ছে। আর এতে দূষিত হচ্ছে বিলের পানি।
তিতারকূল এলাকায় জেলে সুধন্য দাস বলেন, ‘৩-৪ বছর আগেও এই বিল থেকে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। আগে এক ঘণ্টায় যে পরিমাণ মাছ পাওয়া যেত এখন সারা দিনে তার অর্ধেকও পাওয়া যায় না। কারখানার পানিতে বিষ আছে। ওই বিষ বিলটাকে শেষ করে দিচ্ছে। বিষাক্ত পানিতে পোনা মাছ মরে যাওয়ায় মাছের বৃদ্ধিও হচ্ছে না।’
কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘শুধু মাছ না, দূষিত পানির কারণে ধানের উৎপাদনও কমে গেছে। আগে বিলের পানি দিয়ে গোসল ও গৃহস্থালির কাজ সহ কৃষি জমিতেও চাষাবাদ করা যেত। আর এখন বিলের পানিতে নামাই যায় না। পানি শরীরে লাগলে চুলকায়, ঘা হয়। কৃষকদের সর্বনাশ করছে ওই সব কারখানার মালিকেরা।’
এদিকে বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে কল-কারখানার বিকল্প নেই। কিন্তু তা কোনোভাবেই প্রাকৃতিক জলাধারকে ধ্বংস করে নয়। কারখানার বর্জ্যে গাজীপুর জেলার সকল নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় দূষিত হয়ে পড়ছে। একইভাবে দূষিত হচ্ছে বেলাই বিলও। কারখানাগুলো ইটিপি ব্যবহার না করার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এসব প্রাকৃতিক জলাধার রক্ষা করতে না পারলে আমাদের দেশীয় মাছ এই অঞ্চল থেকে হারিয়ে যাবে। এ জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, প্রশাসন এবং কল-কারখানা অধিদপ্তরকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।’
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মো. আনোয়ার সাদত বলেন, ‘বেলাই বিল গাজীপুর জেলার গর্ব। দেশীয় মাছ, ধান এবং অন্যান্য চাষাবাদে এই বিলের ভূমিকা অপরিসীম। দূষণের কবলে পড়ে শুধু মাছের উৎপাদন কমেছে তা নয়, উৎপাদন কমেছে ধানেরও। তাই বিলের ঐতিহ্য রক্ষার জন্য দূষণ বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’
এ ছাড়াও গাজীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. কায়সার মুহাম্মদ মঈনুল হাসান বেলাই বিল দূষণ বন্ধ উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করেছেন বলে জানা গেছে।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বেলাই বিলকে বলা হয় জেলার দেশি মাছের ভান্ডার। শুষ্ক মৌসুমে এ বিলের পানি দিয়ে চাষাবাদ করেন সেখানকার ৪টি উপজেলার কৃষকেরা। তবে কল-কারখানার রাসায়নিক বর্জ্যে দূষিত হয়ে পড়েছে বিশাল এই বিল। এতে আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে মাছের উৎপাদন।
স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলাসহ ৪টি উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত এই বেলাই বিলের। এক সময় এ বিলের পানি ছিল স্বচ্ছ, টলটলে। প্রাকৃতিকভাবেই পাওয়া যেত রুই, কাতল, কৈ, শিং, মাগুর, পুঁটি, মিনি, টাকি, শোল, ট্যাংরা, গুলশা, গুতুম, বেলে, মলা, ছোট বাইমসহ হরেক রকম দেশি প্রজাতির মাছ। ১০ বছর আগেও গাজীপুর জেলার মাছের চাহিদার ৫০ ভাগ আসত বিভিন্ন খাল-বিল, নদী-নালা থেকে। তার মধ্যে ৩০ ভাগই পাওয়া যেত এই বেলাই বিল থেকে। বিলের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন বেলাই বিল পাড়ের হাজারো জেলে। গাজীপুর জেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকা, নরসিংদী ও আশপাশের জেলায় সরবরাহ করা হতো বেলাই বিলের মাছ। দেশি মাছের জন্য বেলাই বিল ছিল জেলার ঐতিহ্য। কিন্তু বর্তমানে কল-কারখানার বর্জ্যে ধ্বংস হতে চলেছে বেলাই বিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চিলাই, পারুলী, তুরাগ ও বালু নদী এবং মোগরখাল, হায়দারাবাদ খাল, জয়রামবের খালসহ ১০ থেকে ১২টি নদী ও খাল জেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বেলাই বিলে গিয়ে মিশেছে। এসব নদী ও খাল দিয়ে স্রোতের মত কারখানার কেমিক্যাল, বর্জ্য বেলাই বিলে গিয়ে পড়ছে। আর এতে দূষিত হচ্ছে বিলের পানি।
তিতারকূল এলাকায় জেলে সুধন্য দাস বলেন, ‘৩-৪ বছর আগেও এই বিল থেকে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। আগে এক ঘণ্টায় যে পরিমাণ মাছ পাওয়া যেত এখন সারা দিনে তার অর্ধেকও পাওয়া যায় না। কারখানার পানিতে বিষ আছে। ওই বিষ বিলটাকে শেষ করে দিচ্ছে। বিষাক্ত পানিতে পোনা মাছ মরে যাওয়ায় মাছের বৃদ্ধিও হচ্ছে না।’
কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘শুধু মাছ না, দূষিত পানির কারণে ধানের উৎপাদনও কমে গেছে। আগে বিলের পানি দিয়ে গোসল ও গৃহস্থালির কাজ সহ কৃষি জমিতেও চাষাবাদ করা যেত। আর এখন বিলের পানিতে নামাই যায় না। পানি শরীরে লাগলে চুলকায়, ঘা হয়। কৃষকদের সর্বনাশ করছে ওই সব কারখানার মালিকেরা।’
এদিকে বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে কল-কারখানার বিকল্প নেই। কিন্তু তা কোনোভাবেই প্রাকৃতিক জলাধারকে ধ্বংস করে নয়। কারখানার বর্জ্যে গাজীপুর জেলার সকল নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় দূষিত হয়ে পড়ছে। একইভাবে দূষিত হচ্ছে বেলাই বিলও। কারখানাগুলো ইটিপি ব্যবহার না করার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এসব প্রাকৃতিক জলাধার রক্ষা করতে না পারলে আমাদের দেশীয় মাছ এই অঞ্চল থেকে হারিয়ে যাবে। এ জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, প্রশাসন এবং কল-কারখানা অধিদপ্তরকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।’
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মো. আনোয়ার সাদত বলেন, ‘বেলাই বিল গাজীপুর জেলার গর্ব। দেশীয় মাছ, ধান এবং অন্যান্য চাষাবাদে এই বিলের ভূমিকা অপরিসীম। দূষণের কবলে পড়ে শুধু মাছের উৎপাদন কমেছে তা নয়, উৎপাদন কমেছে ধানেরও। তাই বিলের ঐতিহ্য রক্ষার জন্য দূষণ বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’
এ ছাড়াও গাজীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. কায়সার মুহাম্মদ মঈনুল হাসান বেলাই বিল দূষণ বন্ধ উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করেছেন বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে প্রতিদিন ৫ কোটি লিটারের ফারাক। অনেক জায়গায় সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছে নগরবাসী। কিন্তু মানুষের ভোগান্তিকে দূরে ঠেলে নতুন মোবাইল কেনা এবং ভ্রমণ বিলাসে মেতেছেন ওয়াসার কর্মকর্তারা। সংস্থার ৯১ কর্মকর্তার জন্য মোবাইল ফোন কেনা এবং ২২
২ ঘণ্টা আগেবঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষা উপকূলীয় জেলা বরগুনার ছয়টি উপজেলায় ১২ লাখ মানুষের বসবাস। তাঁদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য জেলার ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটি আধুনিকায়নের মাধ্যমে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় ২০১৩ সালে। কিন্তু এক যুগেও হাসপাতালটির শূন্য পদে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভায় ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত একটি পানি সরবরাহ প্রকল্পে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটি তিন বছর আগে উদ্বোধন করা হলেও আজ পর্যন্ত পৌরবাসীর ঘরে পৌঁছায়নি একফোঁটা পানি। প্রকল্পের কাজ কাগজ-কলমে সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এর অগ্রগতি ‘শূন্য’। ঠিকাদারি প্রত
২ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, শিমুলবাগানসহ পর্যটন এলাকায় গতি আনতে ২০১৮ সালে তাহিরপুরের ডাম্পের বাজার এলাকায় পাটলাই নদের ওপর সেতু নির্মাণ শুরু হয়। তিন বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। উল্টো গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেতু চালু নিয়েই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
২ ঘণ্টা আগে