মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে। এ ছাড়াও সংঘর্ষের সময় মাদারীপুর শকুনি লেকে পড়ে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তিনি মাদারীপুর সরকারি কলেজের ছাত্র ছিলেন।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মনিরুজ্জামান ফকির লেক থেকে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে কোটা বাতিলের দাবিতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মাদারীপুর শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকায় আন্দোলনকারীরা জড়ো হওয়ার পর এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকায় কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দেন। পরে আন্দোলনকারীরা মাদারীপুর শহরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের প্রথমে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়।
একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশও এতে যোগ দেয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অনেকে আহত হন। পরে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। ছত্রভঙ্গ হয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে। আহতরা মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শহরের শকুনী লেকের পানিতে ডুবে এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেন। এ সময় লেকপাড়ে বহু মানুষ ভিড় করছে।
আন্দোলনকারী আল-আমিন, সুমন, রিপন হোসেনসহ একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম। এ সময় প্রথমে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ও পরে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করে এবং গুলি করে। এ ঘটনায় আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শুনেছি এক শিক্ষার্থী লেকের পানিতে পড়ে নিখোঁজ আছেন। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ করছেন।
এ ব্যাপারে জানতে মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে একাধিকবার ফোন দিলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। তাই তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে উদ্ধার অভিযানের শুরুতে মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের কাছে বেশ কিছু ফোন আসে যে লেকের পানিতে এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ আছেন। এ খবর পেয়ে আমাদের চারজন কর্মী লেকের পানিতে নেমে উদ্ধারকাজ করছেন। তবে নিখোঁজ শিক্ষার্থীকে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে শিক্ষার্থীর কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। শুধু জানতে পেরেছি একজন শিক্ষার্থী নিখোঁজ আছেন। খোঁজ চলছে, পরে বিস্তারিত বলা যাবে।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মাদারীপুরে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে। এ ছাড়াও সংঘর্ষের সময় মাদারীপুর শকুনি লেকে পড়ে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তিনি মাদারীপুর সরকারি কলেজের ছাত্র ছিলেন।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মনিরুজ্জামান ফকির লেক থেকে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে কোটা বাতিলের দাবিতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মাদারীপুর শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকায় আন্দোলনকারীরা জড়ো হওয়ার পর এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকায় কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দেন। পরে আন্দোলনকারীরা মাদারীপুর শহরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের প্রথমে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়।
একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশও এতে যোগ দেয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অনেকে আহত হন। পরে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। ছত্রভঙ্গ হয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে। আহতরা মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শহরের শকুনী লেকের পানিতে ডুবে এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেন। এ সময় লেকপাড়ে বহু মানুষ ভিড় করছে।
আন্দোলনকারী আল-আমিন, সুমন, রিপন হোসেনসহ একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম। এ সময় প্রথমে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ও পরে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করে এবং গুলি করে। এ ঘটনায় আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শুনেছি এক শিক্ষার্থী লেকের পানিতে পড়ে নিখোঁজ আছেন। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ করছেন।
এ ব্যাপারে জানতে মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে একাধিকবার ফোন দিলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। তাই তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে উদ্ধার অভিযানের শুরুতে মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের কাছে বেশ কিছু ফোন আসে যে লেকের পানিতে এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ আছেন। এ খবর পেয়ে আমাদের চারজন কর্মী লেকের পানিতে নেমে উদ্ধারকাজ করছেন। তবে নিখোঁজ শিক্ষার্থীকে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে শিক্ষার্থীর কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। শুধু জানতে পেরেছি একজন শিক্ষার্থী নিখোঁজ আছেন। খোঁজ চলছে, পরে বিস্তারিত বলা যাবে।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে সুস্থ হবে, তা না হলে অসুস্থই থেকে যাবে, এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে এক প্রতিবন্ধী নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন কবিরাজ মিন্টু মিয়া। ওই নারী মামলা করলে আত্মগোপনে যান কবিরাজ। অবশেষে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন মিন্টু মিয়া।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এবার ৫ লাখ টাকার চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের আন্দোলন দমাতে তিনি এই টাকা দাবি করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এক ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথনের ভিডিওতে নিজামকে আন্দোলন বন্ধে টাকা চাইতে
১ ঘণ্টা আগেবৈঠকে ঢাবির অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন হলভিত্তিক রাজনীতি বজায় রাখার পক্ষে মত দেয়। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ এবং বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ছাড়া বাকি সব সংগঠন এ প্রস্তাব সমর্থন করে। এই আলোচনায় অংশ নেয় ১৬টি রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন, যদিও আমন্ত্রিত ছিল ২৩টি।
২ ঘণ্টা আগে‘বাবা, তোর নানার সাথে দেখা হইছে। রাতে এখানে থাকব। কাল দেখা হইবে, ভালো থাকিস।’ বাবা প্রদীপ লালের সঙ্গে হওয়া শেষ কথা বলতে বারবার থমকে যাচ্ছিলেন দুলাল কুমার (২৪)। তাঁর চোখের কোণে জমে থাকা জল যেন আটকে ছিল বুকের ভেতরের হাহাকারে।
২ ঘণ্টা আগে