Ajker Patrika

'যার যার স্বাস্থ্যবিধি তার তার কাছে'

প্রতিনিধি, মিরপুর
'যার যার স্বাস্থ্যবিধি তার তার কাছে'

টানা ১৯ দিন কঠোর বিধিনিষেধের পর সকাল থেকে শতভাগ যাত্রী নিয়ে গাবতলী থেকে ছেড়ে যাচ্ছে দূর পাল্লার গণপরিবহন। যাত্রীর উপস্থিতি কম থাকলেও কোন পরিবহনে দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধির বালাই। 

সরকার আজ থেকে অর্ধেক গণপরিবহন সড়কে নামিয়ে শতভাগ যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দিয়েছিল। তবে অর্ধেক গাড়ি চলছে কিনা তা বোঝার কোন উপায় নেই। নেই কোন নজরদারিও। 

সরেজমিনে বুধবার রাজধানী মিরপুর, গাবতলী বাস টার্মিনালেও অসংখ্য গণপরিবহন দেখা যায়। আজ প্রধান সড়কগুলো গণপরিবহনের দখলে। চলছে কোন পরিবহন কার আগে যাবে সেই নিয়েও পাল্লা। 

হানিফ পরিবহনের চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন পর গাড়িতে বসেছি কিছুটা উত্তেজনাতো থাকবেই। গাড়ির চাকা ঘুরলে পেটে ভাত পরে। আমরা লকডাউন চাই না। মানুষ না খেয়ে মরার থেকে, খেয়ে মরুক। তাঁর প্রত্যাশা, আজকে যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কম হলেও আস্তে আস্তে যাত্রী বাড়বে। 

নজরদারির বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, অর্ধেক গাড়ি চলাচল নির্ণয় করা কঠিন হবে। অনেক মালিক রয়েছে যাদের গাড়ি একটি, তারা অর্ধেক নামাবে কীভাবে। তা ছাড়া অর্ধেক গাড়ি নামালে সংক্রমণ অনেক বেড়ে যাবে। 

কোন বাস কাউন্টারে দেখা মেলেনি হ্যান্ড সেনিটাইজার অথবা দূরত্ব বজায় রাখতে। স্বাস্থ্যবিধি নেই কেন জানতে চাইলে দেশ পরিবহন কাউন্টার ম্যানেজার ইকবাল হোসেন বলেন, শতভাগ যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করতে বলেছে সরকার। এর মধ্যে আবার স্বাস্থ্যবিধি কীভাবে রক্ষা করমু? যার যার স্বাস্থ্যবিধি তার তার কাছে থাকব।’ 

নাটোরের যাত্রী বিজেন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, লকডাউনের মধ্যে ভাড়া ৬০০ ছিল। এখন ৫০০ টাকা করে টিকিট কেটেছি। বাস আছে, বাসের কোন কমতি নেই। তবুও কিছু টাকা বাড়তি নিচ্ছে তারা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত