Ajker Patrika

৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি ট্রলার, স্বজনদের বিক্ষোভ

বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ২০: ৫৩
৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি ট্রলার, স্বজনদের বিক্ষোভ

টানা ৪ দিনের উদ্ধার অভিযানে খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ থাকা ৯ জন ট্রলার যাত্রীর। পদ্মা, মেঘনা কিংবা খরস্রোতা কর্ণফুলী নদীর কোনো ঘটনা নয় এটি। রাজধানী ঢাকার অদূরে ধলেশ্বরী নদীতে তলিয়ে যাওয়া ট্রলার দুর্ঘটনার পর উদ্ধার অভিযানের চিত্র ঠিক এ রকম। টানা চার দিন পরও কোনো নিখোঁজ যাত্রী উদ্ধার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বজন এবং ধর্মগঞ্জ-বক্তাবলী এলাকার বাসিন্দারা। 

উদ্ধার অভিযানের তৎপরতায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় জনতা ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে ধলেশ্বরী নদীর দুই তীরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। তবে শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া উদ্ধার অভিযানে খালি হাতেই ফিরতে হয় ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সমন্বিত উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের। 

এই বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনেরা দুর্ঘটনার চার দিনেও স্বজনদের না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এ কারণে স্বজনেরা নদীর পাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। 

গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবে ৯ জন নিখোঁজ হন। তাঁদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিসসহ আরও চারটি সংস্থা। শনিবার বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ যাত্রীদের সন্ধান মেলেনি বলে জানান উদ্ধারকাজে নিয়োজিত কর্মীরা। 

নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনেরা বলেন, চার দিন হলো লঞ্চের ধাক্কায় যাত্রীসহ ট্রলারডুবির ঘটনা। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, নৌ-পুলিশসহ উদ্ধারকারী কোনো সংস্থাই তেমন তৎপরতা দেখায়নি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা স্পিডবোটে নদীতে ঘুরে আর বসে বসে সময় কাটান। এভাবে পানির নিচ থেকে কিছুই উদ্ধার করা যাবে না। তাঁদের এ অবহেলা সরকারের সংস্থাগুলোর দুর্নাম হচ্ছে। 

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ‘আমাদের ফায়ার সার্ভিস সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশও চেষ্টা চালাচ্ছে।’ যতক্ষণ ট্রলার ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া না যাবে ততক্ষণ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। 

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত ফেরদৌস বলেন, ‘নদীতে ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান পেতে আমাদের জোর প্রচেষ্টা চলছে। এখনো ডুবে যাওয়া ট্রলার বা নিখোঁজ কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত