জাবি প্রতিনিধি
ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফেলানী হত্যা দিবস উপলক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
রাত ৮টার দিকে বের হওয়া মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে শহীদ মিনারের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করেন তাঁরা। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান শাহরিয়ার।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, ফেলানী হত্যার ১৪ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত এর বিচার হয়নি। শুধু ফেলানী হত্যা নয়, এরকম শত-শত হত্যার বিচার বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার করেনি। ফলে বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা বলতে চাই, আগামী দিনগুলোতে সীমান্তে হত্যা বন্ধের জন্য অতিদ্রুত জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সীমান্তে আমরা আর কোনো হত্যাকাণ্ড দেখতে চাই না।’
আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল আরও বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারত সব সময় বাংলাদেশের ওপর আধিপত্যবাদী মনোভাব দেখিয়েছে। আমরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছি। ঠিক একইভাবে আমাদের সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। তাহলে ভারত আর বাংলাদেশের প্রতি আধিপত্যবাদী মনোভাব দেখাতে পারবে না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সদস্যসচিব তৌহিদ সিয়াম বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যে অপূর্ণতা ছিল, সেই অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দান করতেই চব্বিশ এসেছে। আমরা চব্বিশে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও লড়েছি। এই চব্বিশে দেশের প্রত্যেক নাগরিক ভারতের এজেন্সি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মাঠে নেমে এসেছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় করার মাধ্যমে আমরা ভারতীয় আধিপত্যবাদে আঘাত করেছি। ভারত সরকার যদি এখনো বাংলাদেশকে তার অঙ্গরাজ্য মনে করে, তাহলে তাদের পাল্টা আঘাত করার জন্য বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা প্রস্তুত আছে।’
তৌহিদ সিয়াম আরও বলেন, ‘১৪ বছর হয়ে গেলেও সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানী হত্যার বিচার এখনো হয়নি। প্রতিটি হত্যার বিচার ভারতকে করতে হবে। নতুবা বাংলাদেশের জনগণ ১৯৭১ সালের মতো ফুঁসে উঠবে ভারতকেও ওই অঞ্চল থেকে উপড়ে ফেলার জন্য। বিগত সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে যত ধরনের চুক্তি হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তা জনগণের সামনে আনতে হবে। আমরা আমাদের নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা চাই। আমরা সুরক্ষিত সীমান্ত চাই, যে সীমান্তে আর কোনো বাংলাদেশি নাগরিক মরবে না। যত দিন পর্যন্ত এই চব্বিশের ছাত্র-জনতা মাঠে থাকবে এবং চব্বিশের বিপ্লব জেগে থাকবে, তত দিন পর্যন্ত ভারতীয় আধিপত্যবাদ এই বাংলার মাটিতে আর স্থান পাবে না।’
ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফেলানী হত্যা দিবস উপলক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
রাত ৮টার দিকে বের হওয়া মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে শহীদ মিনারের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করেন তাঁরা। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান শাহরিয়ার।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, ফেলানী হত্যার ১৪ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত এর বিচার হয়নি। শুধু ফেলানী হত্যা নয়, এরকম শত-শত হত্যার বিচার বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার করেনি। ফলে বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা বলতে চাই, আগামী দিনগুলোতে সীমান্তে হত্যা বন্ধের জন্য অতিদ্রুত জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সীমান্তে আমরা আর কোনো হত্যাকাণ্ড দেখতে চাই না।’
আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল আরও বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারত সব সময় বাংলাদেশের ওপর আধিপত্যবাদী মনোভাব দেখিয়েছে। আমরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছি। ঠিক একইভাবে আমাদের সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। তাহলে ভারত আর বাংলাদেশের প্রতি আধিপত্যবাদী মনোভাব দেখাতে পারবে না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সদস্যসচিব তৌহিদ সিয়াম বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যে অপূর্ণতা ছিল, সেই অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দান করতেই চব্বিশ এসেছে। আমরা চব্বিশে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও লড়েছি। এই চব্বিশে দেশের প্রত্যেক নাগরিক ভারতের এজেন্সি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মাঠে নেমে এসেছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় করার মাধ্যমে আমরা ভারতীয় আধিপত্যবাদে আঘাত করেছি। ভারত সরকার যদি এখনো বাংলাদেশকে তার অঙ্গরাজ্য মনে করে, তাহলে তাদের পাল্টা আঘাত করার জন্য বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা প্রস্তুত আছে।’
তৌহিদ সিয়াম আরও বলেন, ‘১৪ বছর হয়ে গেলেও সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানী হত্যার বিচার এখনো হয়নি। প্রতিটি হত্যার বিচার ভারতকে করতে হবে। নতুবা বাংলাদেশের জনগণ ১৯৭১ সালের মতো ফুঁসে উঠবে ভারতকেও ওই অঞ্চল থেকে উপড়ে ফেলার জন্য। বিগত সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে যত ধরনের চুক্তি হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তা জনগণের সামনে আনতে হবে। আমরা আমাদের নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা চাই। আমরা সুরক্ষিত সীমান্ত চাই, যে সীমান্তে আর কোনো বাংলাদেশি নাগরিক মরবে না। যত দিন পর্যন্ত এই চব্বিশের ছাত্র-জনতা মাঠে থাকবে এবং চব্বিশের বিপ্লব জেগে থাকবে, তত দিন পর্যন্ত ভারতীয় আধিপত্যবাদ এই বাংলার মাটিতে আর স্থান পাবে না।’
যশোরের সিঙ্গিয়া রেলস্টেশনের সব ফ্যান রেলওয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ খুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে গরমে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্টেশনের অপেক্ষমাণ যাত্রীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। স্টেশনমাস্টার কে এম রিয়াদ হাসান বলেছেন, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি লিখিত আকারে জানিয়েছেন।
৪ মিনিট আগেউদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘উত্তরখান, দক্ষিণখানসহ ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। আগামী বাজেটে এসব এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রমকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।’
১৪ মিনিট আগেযদি মৌলিক সংস্কার না হয়, তাহলে জুলাই সনদে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সমর্থন দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ রোববার সন্ধ্যায় শেরপুর শহরের থানা মোড়ে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার পথসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
৩০ মিনিট আগেনাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশে অসংখ্য হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বড় একটি ঘটনা হলো, ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান। যদি অস্ত্র হ্যান্ডেলই করতে না পারেন, তবে নিয়ে আসছিলেন কেন আপনি?’
১ ঘণ্টা আগে