Ajker Patrika

রাতের আঁধারে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেয়ালে ছাত্রলীগের পোস্টার, ছিঁড়ে ফেললেন শিক্ষার্থীরা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ১২
Thumbnail image
নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ গেটে সাঁটানো নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের পোস্টার। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জ শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পোস্টার। রাতের আঁধারে এসব পোস্টার লাগানো হয়। দ্রুত সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব পোস্টারের ছবি ভাইরাল হলে সকালে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলে।

প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, শহরের সরকারি তোলারাম কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ গেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটক এবং চাষাঢ়ার বিভিন্ন দেয়ালে সাঁটানো হয় এসব পোস্টার। হঠাৎ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পোস্টার দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে অপরাপর ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

ছবিতে দেখা যায়, পোস্টারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তাঁর ছেলে অয়ন ওসমানের ছবি রয়েছে। এতে লেখা আছে শেখ হাসিনাতেই আস্থা, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ।

দেয়ালে সাঁটানো নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের পোস্টার। ছবি: আজকের পত্রিকা
দেয়ালে সাঁটানো নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের পোস্টার। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে এসব ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে, জেলা ছাত্রলীগের নেতা সোহানুর রহমান শুভ্রকে। তিনি এসব ছবি প্রকাশ করে লিখেন, ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা, নারায়ণগঞ্জ, এ শহর দেশরত্ন শেখ হাসিনার শহর। এ শহর জননেতা শামীম ওসমান, জনাব অয়ন ওসমানের শহর। জয় বাংলা।’

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি আজিজুল ইসলাম রাজীব বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ রাতের আঁধারে পোস্টার টাঙানোর মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। তারা রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে। এখন দিনে পালিয়ে থাকে রাতে উপস্থিতি জানান দেয়।’

ছাত্রশিবিরের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাবেক সভাপতি আব্দুল মোমিন বলেন, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ রাতের আঁধারে শহরে পোস্টার লাগাতে পেরেছে প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে। আমরা মনে করি, এখনো ফ্যাসিবাদের দোসরেরা প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে ঘাপটি মেরে আছে। তাদের চিহ্নিত করা দরকার। বিগত সময়ে আমরা বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি অথচ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ এখন রাতের অন্ধকারে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয়, এটা প্রশাসনের ব্যর্থতা।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য শওকত আলী বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী গণহত্যার ছয় মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও যখন আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচার হয় না। তখন তারা এভাবেই নিজেদের স্পর্ধা দেখানোর সাহস পায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত