নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীর বেলাবতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় কাতরাচ্ছেন ধর্ষণের ফলে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী ভিখারি (৪০)। উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। ছয় মাস আগে ভিক্ষাবৃত্তি শেষে বাড়ি ফেরার পথে একই গ্রামের মৃত আকু মিয়ার ছেলে শাহাবদ্দীন (৫০) ওই নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শাহাবদ্দীন ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন এবং সুস্থ হলে ওই নারীকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে।
চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী ওই নারী সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ছয় মাস আগে বেলাব বাজার হতে ভিক্ষাবৃত্তি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন বিধবা ওই নারী। পথে একই গ্রামের মৃত আকু মিয়ার ছেলে শাহাবদ্দীন ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে খুন করার হুমকি দেন। পরে আবারও দ্বিতীয় দফায় জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন। এতে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া ওই নারী এখন শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শরীরের স্পর্শকাতর স্থানসহ বিভিন্ন স্থানে ইনফেকশনের কারণে মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় ঠাঁই হয়েছে তার। অতিরিক্ত শারীরিক দুর্বলতা ও অসুস্থতার কারণে স্পষ্ট করে কথা বলতে পারছেন না। ১১ দিন ধরে অমানবিকভাবে একাকী হাসপাতালের বারান্দায় দিনরাত কাটছে তার। ধর্ষকের বিচার দাবি করলেও সুস্থ হওয়ার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজপতি কর্তৃক ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস পেয়ে নীরব ভুক্তভোগী ওই নারী। উন্নত চিকিৎসা না করাতে পারলে তার মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
রাকিব নামের একজন কলেজ শিক্ষার্থী ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নিচ্ছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. দুলাল ও পাটুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফরানুল হক ভূইয়া জামান। এ পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার টাকা তার চিকিৎসার কাজে ব্যয় করছেন বলে জানান ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া। স্থানীয় প্রশাসনকে ঘটনাটি অবগত না করে ধর্ষিতা নারী সুস্থ হওয়ার পর ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য। এতে প্রকাশ্যেই চলাফেরা করছেন অভিযুক্ত ধর্ষক শাহাবদ্দীন।
বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মেহেরুবা পান্না বলেন, ‘পাঁচ মাসের গর্ভবর্তী হয়ে ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তার সেবা করার মতো কেউ নেই। এ কারণে হয়তো তার অবস্থা একটু খারাপ হচ্ছে।’
অভিযুক্ত শাহাবদ্দীন ধর্ষণের দায় স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি ধর্ষণ করেছি। চেয়ারম্যান, মেম্বার ও এলাকাবাসীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুস্থ হলে আমি তাকে বিয়ে করব।’
পাটুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইফরানুল হক ভূইয়া জামান ও ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই লজ্জাজনক। আগে ধর্ষিতা সুস্থ হওয়ার পর আমরা সামাজিকভাবে ধর্ষক শাহাবদ্দীনের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’
বেলাব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার রায় বলেন, ‘ঘটনাটি আপনাদের মাধ্যমেই প্রথম জানতে পেরেছি। আমার জানামতে এ ব্যাপারে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নরসিংদীর বেলাবতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় কাতরাচ্ছেন ধর্ষণের ফলে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী ভিখারি (৪০)। উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। ছয় মাস আগে ভিক্ষাবৃত্তি শেষে বাড়ি ফেরার পথে একই গ্রামের মৃত আকু মিয়ার ছেলে শাহাবদ্দীন (৫০) ওই নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শাহাবদ্দীন ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন এবং সুস্থ হলে ওই নারীকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে।
চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী ওই নারী সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ছয় মাস আগে বেলাব বাজার হতে ভিক্ষাবৃত্তি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন বিধবা ওই নারী। পথে একই গ্রামের মৃত আকু মিয়ার ছেলে শাহাবদ্দীন ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে খুন করার হুমকি দেন। পরে আবারও দ্বিতীয় দফায় জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন। এতে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া ওই নারী এখন শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শরীরের স্পর্শকাতর স্থানসহ বিভিন্ন স্থানে ইনফেকশনের কারণে মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় ঠাঁই হয়েছে তার। অতিরিক্ত শারীরিক দুর্বলতা ও অসুস্থতার কারণে স্পষ্ট করে কথা বলতে পারছেন না। ১১ দিন ধরে অমানবিকভাবে একাকী হাসপাতালের বারান্দায় দিনরাত কাটছে তার। ধর্ষকের বিচার দাবি করলেও সুস্থ হওয়ার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজপতি কর্তৃক ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস পেয়ে নীরব ভুক্তভোগী ওই নারী। উন্নত চিকিৎসা না করাতে পারলে তার মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
রাকিব নামের একজন কলেজ শিক্ষার্থী ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নিচ্ছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. দুলাল ও পাটুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফরানুল হক ভূইয়া জামান। এ পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার টাকা তার চিকিৎসার কাজে ব্যয় করছেন বলে জানান ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া। স্থানীয় প্রশাসনকে ঘটনাটি অবগত না করে ধর্ষিতা নারী সুস্থ হওয়ার পর ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য। এতে প্রকাশ্যেই চলাফেরা করছেন অভিযুক্ত ধর্ষক শাহাবদ্দীন।
বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মেহেরুবা পান্না বলেন, ‘পাঁচ মাসের গর্ভবর্তী হয়ে ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তার সেবা করার মতো কেউ নেই। এ কারণে হয়তো তার অবস্থা একটু খারাপ হচ্ছে।’
অভিযুক্ত শাহাবদ্দীন ধর্ষণের দায় স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি ধর্ষণ করেছি। চেয়ারম্যান, মেম্বার ও এলাকাবাসীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুস্থ হলে আমি তাকে বিয়ে করব।’
পাটুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইফরানুল হক ভূইয়া জামান ও ইউপি সদস্য দুলাল মিয়া বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই লজ্জাজনক। আগে ধর্ষিতা সুস্থ হওয়ার পর আমরা সামাজিকভাবে ধর্ষক শাহাবদ্দীনের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’
বেলাব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার রায় বলেন, ‘ঘটনাটি আপনাদের মাধ্যমেই প্রথম জানতে পেরেছি। আমার জানামতে এ ব্যাপারে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত বছর ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া গ্রামের মিরাজ। তিনি ছিলেন মৃত আব্দুস ছালামের বড় ছেলে। মাত্র ৫ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করার ইচ্ছে ছিল তাঁদের। কিন্তু প্রতিবেশী দুলাল মণ্ডল দলিল থাকা সত্ত্বেও জমিটি দখলে নিতে দেননি।
৪ মিনিট আগেপুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর রাজৈরে ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ ও লুটপাটের ঘটনায় পাঠানকান্দি গ্রামের এক বিএনপি কর্মীর দায়ের করা মামলায় শাজাহান মোল্লা এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেশিবচরের সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর আজগর হাওলাদারকান্দি গ্রামের শাহ আলম ও নাছিমা দম্পতির একমাত্র ছেলে ছিলেন হৃদয়। তিনি স্থানীয় একটি ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করতেন। পড়াশোনা শেষ করে সৌদি আরবে থাকা চাচার সহায়তায় বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় দোকান কর্মচারী শহীদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে মামলার আসামির সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বেড়ে ২৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে