কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
সাত বছর আগে বাহরাইনে পাড়ি জমান কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়া উপজেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ আজিজুল হক। সেখানকার একটি ক্লিনিং কোম্পানিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে যোগ দেন। ২২ দিনের মাথায় তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। থানা-পুলিশ, প্রশাসনের কাছে ধরনা দিয়েও নিখোঁজ সন্তানের সন্ধান পায়নি পরিবার। আজিজুলের সন্ধান পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
আজ শুক্রবার সকালে জেলা শহরের নগুয়া এলাকার একটি বিদ্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে আজিজুলের পরিবার। আজিজুল উপজেলার চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে।
আজিজুলের বাবা দুলাল মিয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, একই এলাকার সুরুজ মিয়া আজিজুলকে বাহরাইন যেতে উদ্বুদ্ধ করে। পরে উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের আদম ব্যবসায়ী সোহরাব উদ্দিন (বর্তমানে মৃত) ও কামাল উদ্দিনের সঙ্গে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুক্তির মাধ্যমে ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই আজিজুল বাহরাইন পাড়ি জমায়। সেখানে সে গালফ সিটি ক্লিনিং কোম্পানিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে যোগ দেয়।
দুলাল মিয়া বলেন, ‘বাহরাইন যাওয়ার পর প্রতিদিনই কথা হতো ছেলের সঙ্গে। কিন্তু ২২ দিন পর থেকে ছেলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। তখন আদম ব্যবসায়ী সোহরাব উদ্দিন ও কামাল উদ্দিনের কাছে ছেলের খোঁজ জানতে গেলে তাঁরা ওই সময় বলেন, “তোমার ছেলে চুরি করে ধরা পড়ছে। এক বছর জেলে থাকবে। জেল থেকে বের হলে যোগাযোগ হবে।”’
আজিজুলের বাবা আরও বলেন, ‘আমাদের গ্রামের সুরুজ মিয়াও বাহরাইন যায়। দুই মাস আগে সুরুজ দেশে ফিরে। তাঁর কাছ থেকে ছেলের খোঁজ নিতে গেলে সে কিছুই বলে না। অথচ সুরুজ মিয়া আর আমার ছেলে একই কক্ষে থাকত। ছেলের খোঁজ পেতে প্রশাসনের কাছ থেকেও কোনো সহযোগিতা পাইনি। পুলিশ মামলা পর্যন্ত নেয়নি। আজিজুল যে কোম্পানিতে কাজ করত সে কোম্পানিতেও খোঁজ নিয়ে কিছু জানা যায়নি।’
আজিজুলের মা পারভীন আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলে জীবিত না মৃত তাও বলতে পারছি না। নিখোঁজ সন্তানের খোঁজে দিশেহারা। সব জায়গায় ধরনা দিয়েও ছেলের কোনো খোঁজ পাইনি। আমি আমার ছেলের খোঁজ পেতে চাই।’
প্রতিবেশী রিপন মিয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আজিজুল নিখোঁজ হওয়ার পর আমি ঢাকার বনানীতে অবস্থিত রিক্রুটিং ভিসা এজেন্সি অফিসে যাই। আদম ব্যবসায়ীরা তাদের মাধ্যমেই আজিজুলকে বাহরাইন পাঠায়। সেখানে গেলে এজেন্সির মালিক আমাকে বলেন, “প্রতি সপ্তাহে আমার ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।” প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন যোগাযোগ করি, কিন্তু তারা আমাকে আজিজুলের কোনো খোঁজ দেয়নি। কিছুদিন পর ওই এজেন্সির ম্যানেজারকে কল দিলে আমার সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করে।’
আজিজুলের খোঁজ জানতে সুরুজ মিয়ার মোবাইল ফোনে কলে দেওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমরা এক কক্ষে থাকতাম না। আজিজুল ১ নম্বর বিল্ডিংয়ে থাকত আর আমি ৪ নম্বর বিল্ডিংয়ে থাকতাম। নিখোঁজের চার দিন পর আজিজুলের রুমমেটদের মাধ্যমে জানতে পারি তাঁকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। আজিজুল যে কোম্পানিতে কাজ করত তাঁর বাবা-মা ওই কোম্পানিতে খোঁজ নিক।’
আদম ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিনকে কয়েকবার মোবাইল ফোনে কল দিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এমনকি জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আলী আকবরকে কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন বলেন, ‘সাত বছর আগের ঘটনা। তখন আমি এখানে ছিলাম না। বিষয়টি আমার জানা নেই।’
সাত বছর আগে বাহরাইনে পাড়ি জমান কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়া উপজেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ আজিজুল হক। সেখানকার একটি ক্লিনিং কোম্পানিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে যোগ দেন। ২২ দিনের মাথায় তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। থানা-পুলিশ, প্রশাসনের কাছে ধরনা দিয়েও নিখোঁজ সন্তানের সন্ধান পায়নি পরিবার। আজিজুলের সন্ধান পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
আজ শুক্রবার সকালে জেলা শহরের নগুয়া এলাকার একটি বিদ্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে আজিজুলের পরিবার। আজিজুল উপজেলার চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে।
আজিজুলের বাবা দুলাল মিয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, একই এলাকার সুরুজ মিয়া আজিজুলকে বাহরাইন যেতে উদ্বুদ্ধ করে। পরে উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের আদম ব্যবসায়ী সোহরাব উদ্দিন (বর্তমানে মৃত) ও কামাল উদ্দিনের সঙ্গে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুক্তির মাধ্যমে ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই আজিজুল বাহরাইন পাড়ি জমায়। সেখানে সে গালফ সিটি ক্লিনিং কোম্পানিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে যোগ দেয়।
দুলাল মিয়া বলেন, ‘বাহরাইন যাওয়ার পর প্রতিদিনই কথা হতো ছেলের সঙ্গে। কিন্তু ২২ দিন পর থেকে ছেলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। তখন আদম ব্যবসায়ী সোহরাব উদ্দিন ও কামাল উদ্দিনের কাছে ছেলের খোঁজ জানতে গেলে তাঁরা ওই সময় বলেন, “তোমার ছেলে চুরি করে ধরা পড়ছে। এক বছর জেলে থাকবে। জেল থেকে বের হলে যোগাযোগ হবে।”’
আজিজুলের বাবা আরও বলেন, ‘আমাদের গ্রামের সুরুজ মিয়াও বাহরাইন যায়। দুই মাস আগে সুরুজ দেশে ফিরে। তাঁর কাছ থেকে ছেলের খোঁজ নিতে গেলে সে কিছুই বলে না। অথচ সুরুজ মিয়া আর আমার ছেলে একই কক্ষে থাকত। ছেলের খোঁজ পেতে প্রশাসনের কাছ থেকেও কোনো সহযোগিতা পাইনি। পুলিশ মামলা পর্যন্ত নেয়নি। আজিজুল যে কোম্পানিতে কাজ করত সে কোম্পানিতেও খোঁজ নিয়ে কিছু জানা যায়নি।’
আজিজুলের মা পারভীন আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলে জীবিত না মৃত তাও বলতে পারছি না। নিখোঁজ সন্তানের খোঁজে দিশেহারা। সব জায়গায় ধরনা দিয়েও ছেলের কোনো খোঁজ পাইনি। আমি আমার ছেলের খোঁজ পেতে চাই।’
প্রতিবেশী রিপন মিয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আজিজুল নিখোঁজ হওয়ার পর আমি ঢাকার বনানীতে অবস্থিত রিক্রুটিং ভিসা এজেন্সি অফিসে যাই। আদম ব্যবসায়ীরা তাদের মাধ্যমেই আজিজুলকে বাহরাইন পাঠায়। সেখানে গেলে এজেন্সির মালিক আমাকে বলেন, “প্রতি সপ্তাহে আমার ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।” প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন যোগাযোগ করি, কিন্তু তারা আমাকে আজিজুলের কোনো খোঁজ দেয়নি। কিছুদিন পর ওই এজেন্সির ম্যানেজারকে কল দিলে আমার সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করে।’
আজিজুলের খোঁজ জানতে সুরুজ মিয়ার মোবাইল ফোনে কলে দেওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমরা এক কক্ষে থাকতাম না। আজিজুল ১ নম্বর বিল্ডিংয়ে থাকত আর আমি ৪ নম্বর বিল্ডিংয়ে থাকতাম। নিখোঁজের চার দিন পর আজিজুলের রুমমেটদের মাধ্যমে জানতে পারি তাঁকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। আজিজুল যে কোম্পানিতে কাজ করত তাঁর বাবা-মা ওই কোম্পানিতে খোঁজ নিক।’
আদম ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিনকে কয়েকবার মোবাইল ফোনে কল দিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এমনকি জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আলী আকবরকে কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন বলেন, ‘সাত বছর আগের ঘটনা। তখন আমি এখানে ছিলাম না। বিষয়টি আমার জানা নেই।’
‘মায়ের রক্তচাপ বেড়ে হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। উপায় না পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকাতে নিয়ে যাই। কারণ মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে আসি। কিন্তু এই চিকিৎসা এখানেই...
৬ ঘণ্টা আগেকেউ একা এসেছেন, কেউ পরিবার নিয়ে। কারও হাতে হালিমের বাটি, আবার কারও হাতে ছোলা ভুনা, পিঁয়াজু, বেগুনির প্যাকেট। সবাই ইফতারি কিনতে ভিড় জমিয়েছেন রাজধানীর বেইলি রোডে। পুরান ঢাকার চকবাজারের পর রকমারি ইফতার বাজার হিসেবে রাজধানীবাসীর অন্যতম পছন্দের জায়গা বেইলি রোড। প্রতিবছরের মতো এবার রমজানেও সুস্বাদু...
৬ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে একটি কথিত মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা তোরণ ভাঙচুরসহ ওরস পণ্ড করে দেয়। গত সোমবার রাতে মাসকা বাজারসংলগ্ন ‘হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজারে’ স্থানীয় তৌহিদি জনতা লাঠি মিছিল নিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত...
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর দক্ষিণখানে ওভারটাইমের টাকা কম দেওয়ায় ‘নিপা ফ্যাশন ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড’ নামের একটি গার্মেন্টস ভাঙচুর করেছেন শ্রমিকেরা। এ সময় গার্মেন্টসটির ভেতরে থাকা ৫-৬টি প্রাইভেটকার ও দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে