Ajker Patrika

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে পাঁচ মাসে ১৯ খুন

নুরতাজুল মোস্তফা, টেকনাফ (কক্সবাজার)
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২২, ১৬: ০৪
রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে পাঁচ মাসে ১৯ খুন

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলোতে গত পাঁচ মাসে অন্তত ১৯টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বলছে,  এদের মধ্যে কেউ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পক্ষে কাজ করায় খুন হয়েছেন, কেউ খুন হয়েছেন মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এসব খুনের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খুনিদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন রোহিঙ্গা নেতা ও ক্যাম্পে রাতে পাহারায় নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকেরা। একের পর এক হত্যাকাণ্ডে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সাধারণ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাসিন্দারা। 

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রত্যাবাসন যত বিলম্বিত হচ্ছে, ততই অস্থির হয়ে উঠছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলো। ক্যাম্পকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ, মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেও খুনের ঘটনা ঘটছে। রাত নামলেই ভীতিকর পরিবেশ বিরাজ করছে আশ্রয় শিবিরগুলোতে। গত বছরের অক্টোবর থেকে চালু হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ক্যাম্পে পাহারার ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাকে অকার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট রোহিঙ্গা নেতা ও স্বেচ্ছাসেবীদের টার্গেট করে হামলার ঘটনা ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে। 

সর্বশেষ আজ বুধবার ভোরে বালুখালী ১০ নম্বর ক্যাম্পে মো. জসিম নামের এক রোহিঙ্গা যুবক একদল মুখোশধারীর হাতে নিহত হন। এর আগে ১৮ অক্টোবর উখিয়ার ১৯ নম্বর ক্যাম্পে খুন হন সৈয়দ হোসেন নামের আরেক রোহিঙ্গা যুবক, যিনি পিতা হত্যার ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য তৎপর ছিলেন। গত ১৫ অক্টোবর কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি মো. আনোয়ার ও সাব মাঝি মৌলভি ইউনুসকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীরা। এভাবে গত পাঁচ মাসে অন্তত ১৯টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। 

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর কুতুপালংয়ের পাইন্নাশিয়া শিবিরে খুন হন রোহিঙ্গাদের অন্যতম শীর্ষ নেতা মহিবুল্লাহ। তিনি রোহিঙ্গাদের দেশে প্রত্যাবাসনের পক্ষে জোরালো ভূমিকা রাখছিলেন। এরপর ২১ অক্টোবর বালুখালীর ১৮ নম্বর শিবিরের একটি মাদ্রাসায় গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় ছয়জনকে। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে তৎপরতা বাড়ায়। এসব কারণে গত বছরের অক্টোবর থেকে ক্যাম্পে চালু হয় স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে পাহারার ব্যবস্থা। 

গত পাঁচ বছরে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলোতে খুন হয়েছেন অন্তত ১১৯ জন। এই সময়ে খুনসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে প্রায় আড়াই হাজার মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি হয়েছে ৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। 

১৪ নম্বর ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মো. হাসান জানান, নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। শিবিরগুলোতে আরও নিরাপত্তা বাড়ানো উচিত বলেও মনে করেন তিনি। সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথাও বলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে অনেক রোহিঙ্গা নেতা মনে করেন, ক্যাম্পে যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা সহজ-সরল রোহিঙ্গা হতে পারে না। তারা মিয়ানমার সরকারের দালালও হতে পারে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ও পালংখালী ইউপি সদস্য নুরুল হকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীদের কারণে স্থানীয়রাও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো, কাঁটাতার থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গারা অবাধে যত্রতত্র বিচরণ করছে। তারা শুধু নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি করছে তা নয়, নানা কারণে স্থানীয়দেরও খুন করছে। সম্প্রতি হোয়াইক্যং উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি আব্দুর রশিদ, টেকনাফের আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক, আবুল হোসেনসহ স্থানীয় কয়েকজন খুন হয়েছেন। 

রোহিঙ্গা শিবিরে দায়িত্বপ্রাপ্ত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, ‘অবৈধভাবে টাকা আয়ের জন্য মাদক ব্যবসা, অপহরণ ও আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে দুষ্কৃতকারীরা রোহিঙ্গাদের খুন করছে। এ নিয়ে পুলিশ কঠোর রয়েছে এবং নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এসব অভিযানে বেশ কিছু দুষ্কৃতকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীদের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা নানা সমস্যায় জর্জরিত। যারা মাদক, হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে তালিকা তৈরি করে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।’ 

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে পাঁচ বছরে হত্যা, অপহরণ, মাদক কারবারসহ নানা অপরাধে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৪৩৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৫ হাজার ২২৬ জনকে। 

কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস। সেখানে তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও আধিপত্য নিয়ে খুনের ঘটনা ঘটছে। গত পাঁচ মাসে এখানে ১৯টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এখানকার প্রতিটি হত্যাকাণ্ড খুব গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। ক্যাম্পের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি থানচিতে গ্রেপ্তার

বান্দরবান প্রতিনিধি
রুমা থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রুমা থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি যিশুরাং ত্রিপুরাকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে থানচি থানা পুলিশ। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে থানচি উপজেলার বলিবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ তাঁকে বলিবাজার থেকে সরাসরি বান্দরবান আদালতে পাঠিয়েছে।

গ্রেপ্তার যিশুরাং ত্রিপুরা জেলার রুমা উপজেলায় ৪নং গ্যালাংগা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রামদুপাড়ার মানলা ত্রিপুরার ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যিশুরাংয়ের বিরুদ্ধে রুমা থানায় ২০০৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইন ১৮৭৮-এর ১৯(এ) ধারায় মামলা হয়। আদালত তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন যিশুরাং।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দী জানিয়েছেন, থানচি থেকে যিশুরাং ত্রিপুরাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তীকালেও পলাতক সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রবাসী প্রেমিককে ভিডিওকলে রেখে তরুণীর আত্মহত্যা

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৫৬
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের শৈল্যাপাড়া এলাকায় প্রবাসী প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে নুসরাত জাহান আঁখি নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আঁখি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কুসুমদিয়া গ্রামে বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়াপ্রবাসী সুফিয়ান নামে এক যুবকের সঙ্গে আঁখির দীর্ঘ ১০ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সুফিয়ানের পরিবার এই সম্পর্ক ও বিয়েতে রাজি ছিল না। এ নিয়ে মান-অভিমান চলছিল তাঁদের মধ্যে। শনিবার সকালে প্রেমিকের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার সময় আঁখি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

নিহতের মা বিউটি বেগম বলেন, ‘ছেলেটির পরিবারের অস্বীকৃতিতে মেয়ে ভীষণ কষ্টে ছিল। অনেক বোঝানোর পরও শেষ পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে।’

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এটি প্রেমঘটিত আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের সমালোচনা এনসিপি নেতার

মাদারীপুর প্রতিনিধি
এনসিপি নেতার ফেসবুক স্ট্যাটাস
এনসিপি নেতার ফেসবুক স্ট্যাটাস

মাদারীপুরের কালকিনিতে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সরদার লিখনকে গ্রেপ্তারের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এনসিপির জেলা নেতা মুশফিকুর রহমান রঞ্জু। এনসিপি নেতার এই স্ট্যাটাস নিয়ে উপজেলার রাজনৈতিক মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের একটি ছবি দিয়ে এনসিপি নেতা মুশফিকুর রহমান রঞ্জু লেখেন, ‘ছাত্রলীগ করে...আমার কাছের বন্ধু, যার নামে নেই কোনো মামলা, তারপরও এ মিথ্যা হয়রানি কেন? এমন রাজনীতি তো আমার এ দেশে চাই না, তাহলে দেশের আইন প্রশাসন কোনো দিকে হাঁটছে?’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাদারীপুর জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির ৩১ সদস্যের সমন্বয় কমিটির সদস্য মুশফিকুর রহমান রঞ্জু। গত ১৫ জুন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত কমিটিতে তিনি সদস্যপদ পান। রঞ্জুর বাড়ি মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পূয়ালী গোপালপুর গ্রামে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ‘একটি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের নেতার পক্ষে ফেসবুকে এনসিপি নেতার এ ধরনের স্ট্যাটাস দেওয়া ঠিক হয়নি।’

স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপি নেতা মুশফিকুর রহমান রঞ্জু বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে লিখন কোনো কথা বলেনি। লিখন একটা ভালো ছেলে, ওকে হয়রানি করার জন্য কিছু লোকজন মিথ্যা মামলা দিয়েছে এবং গ্রেপ্তার করিয়েছে।’

মাদারীপুর এনসিসির যুগ্ম সমন্বয়কারী হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ হাসিবুল্লাহ বলেন, ‘ব্যাপারটি আমাদের জানা নেই। ফেসবুকের লিংকটা একটু দেন, দেখে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, মাদারীপুরের কালকিনিতে পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের দুটি মামলায় ছাত্রলীগের কালকিনি পৌরসভা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ সরদার ওরফে লিখনকে (৩০) শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা বলেন, ‘লিখনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার একটি মামলায়ও সে এজাহারনামীয় আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে কালকিনি পৌর এলাকার গোপালপুর বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে ধানখেতে পোকার আক্রমণ, দুশ্চিন্তায় কৃষক

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ধানখেত।  ছবি: আজকের পত্রিকা
ধানখেত। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহে ফসলের মাঠে কিছুদিন পরই শুরু হওয়ার কথা আমন ধান কাটা। কিন্তু এরই মধ্যে ধানে আক্রমণ করতে শুরু করেছে মাজরা ও কারেন্ট পোকা। এতে মরে যাচ্ছে ফলন্ত ধানগাছ। ধারদেনা করে আমন লাগিয়ে এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা কৃষক। এই অবস্থায় কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তাঁদের।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চারদিকে আমন ধানের খেতে সবুজের সমারোহ। ভালো ফলন পাবেন—এই স্বপ্ন বুনছেন ময়মনসিংহের আমনচাষিরা। কিন্তু এরই মধ্যে কারেন্ট ও মাজরা পোকা বাধ সেধেছে। পোকার আক্রমণে ধানগাছ মরে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা।

এমনই একজন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার গোপালনগর গ্রামের আমনচাষি সাইফুল ইসলাম। তিনি চলতি মৌসুমে ২২ শতক জমিতে হাইব্রিড স্বর্ণা জাতের আমন ধানের আবাদ করেছেন। খেতে কচি ধানের শিষ বের হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে কারেন্ট ও মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।

কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, আমনের আবাদ গেল ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে এবার ভালো হয়েছে। এখন ধানের কচি বের হতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পোকার আক্রমণে কচি শিষ খেয়ে ফেলায় কয়েক দিন পর থেকে ধানগাছ মরে গিয়ে খড়ে পরিণত হচ্ছে। প্রতিদিনই আক্রমণ বেড়েই চলেছে। ধানখেতে চারবার কীটনাশক ছিটিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। পোকার আক্রমণ কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, ‘ভাবছিলাম এবার ফলন ভালো হবে। সারা বছরের ঘরের খাবারের ধান রেখে বাকিগুলো বিক্রি করে লাভবান হব। কিন্তু যে অবস্থা দেখা দিয়েছে, এতে করে ধান ঘরে তোলায় কঠিন হয়ে যাবে।’

সাইফুল ইসলামের মতো জেলার শত শত কৃষক পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে জেলায় ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৮৬ হাজার ২৬০ টন। পোকার আক্রমণের কথা স্বীকার করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. এমদাদুল হক জানান, পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে স্কোয়াড টিম গঠন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত