কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে নিজের নাম বাদ দিতে বাদীর স্বাক্ষর ও নথি জালিয়াতি করেন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন। এই কাজে তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার তাঁকে সহায়তা করেন বলে প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। গত সোমবার কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে এই দুই কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
একইসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, হুলিয়া ও ক্রোক-পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। বিশেষ জজ আদালতের নাজির মো. বেদারুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জমি অধিগ্রহণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী নামে মাতারবাড়ী এক বাসিন্দা কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত দুদককে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার হওয়ার পর ১ নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নথিপত্র পাঠান তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার।
দুদকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, আদালতের রেজিস্টারে লিপিবদ্ধের সময় দরখাস্তে জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনসহ ২৮ জন আসামি ছিলেন। পরে তিনটি পৃষ্ঠা পরিবর্তন করে ১ নম্বর আসামি রুহুল আমিনকে বাদ দিয়ে ২ নম্বর আসামি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জাফর আলমকে ১ নম্বর আসামি করা হয়। আসামি ২৮ জনের জায়গায় ২৭ জন করা হয়। এসব করার সময় বাদীর জাল স্বাক্ষর দেওয়া হয়। পুরো নথিতে কাটাছেঁড়া ও লেখায় ঘষামাজা করে দুদকে পাঠানো হয়।
দুদক কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুর রহিম জানান, জালিয়াতি করে জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের নাম বাদ দেওয়ার ঘটনা জানতে পেরে কয়েক দিন পর একই আদালতে বাদী কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক গত সোমবার আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। মামলার নথি জালিয়াতিতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করায় সাবেক জেলা প্রশাসক ও জেলা জজ ছাড়াও বাদীপক্ষের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. জাফর আহমদকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা দুজন হলেন দুদকের কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রহিম ও কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম শাহ হাবিবুর রহমান।
দুদক ও আদালত সূত্র জানায়, মাতারবাড়ীতে তাপভিত্তিক কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে চিংড়ি, ঘরবাড়িসহ অবকাঠামোর বিপরীতে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে চিংড়ি চাষে ক্ষতিপূরণের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৪৬ কোটি টাকা। এই বরাদ্দ থেকেই ২৫টি চিংড়িঘের দেখিয়ে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।
এ ছাড়া ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়।
২০১৭ সালের ২২ মে দুর্নীতির মামলায় জামিনের আবেদন করে বরখাস্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে একই মামলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাফর আলম, জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার (এলও) সাবেক উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার, সাবেক সার্ভেয়ার ফখরুল ইসলাম ও কক্সবাজার আদালতের আইনজীবী নুর মোহাম্মদ সিকদারকে গ্রেপ্তার করে দুদক। মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে নিজের নাম বাদ দিতে বাদীর স্বাক্ষর ও নথি জালিয়াতি করেন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন। এই কাজে তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার তাঁকে সহায়তা করেন বলে প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। গত সোমবার কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে এই দুই কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
একইসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, হুলিয়া ও ক্রোক-পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। বিশেষ জজ আদালতের নাজির মো. বেদারুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জমি অধিগ্রহণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী নামে মাতারবাড়ী এক বাসিন্দা কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত দুদককে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার হওয়ার পর ১ নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নথিপত্র পাঠান তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার।
দুদকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, আদালতের রেজিস্টারে লিপিবদ্ধের সময় দরখাস্তে জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনসহ ২৮ জন আসামি ছিলেন। পরে তিনটি পৃষ্ঠা পরিবর্তন করে ১ নম্বর আসামি রুহুল আমিনকে বাদ দিয়ে ২ নম্বর আসামি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জাফর আলমকে ১ নম্বর আসামি করা হয়। আসামি ২৮ জনের জায়গায় ২৭ জন করা হয়। এসব করার সময় বাদীর জাল স্বাক্ষর দেওয়া হয়। পুরো নথিতে কাটাছেঁড়া ও লেখায় ঘষামাজা করে দুদকে পাঠানো হয়।
দুদক কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুর রহিম জানান, জালিয়াতি করে জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের নাম বাদ দেওয়ার ঘটনা জানতে পেরে কয়েক দিন পর একই আদালতে বাদী কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক গত সোমবার আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। মামলার নথি জালিয়াতিতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করায় সাবেক জেলা প্রশাসক ও জেলা জজ ছাড়াও বাদীপক্ষের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. জাফর আহমদকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা দুজন হলেন দুদকের কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রহিম ও কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম শাহ হাবিবুর রহমান।
দুদক ও আদালত সূত্র জানায়, মাতারবাড়ীতে তাপভিত্তিক কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে চিংড়ি, ঘরবাড়িসহ অবকাঠামোর বিপরীতে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে চিংড়ি চাষে ক্ষতিপূরণের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৪৬ কোটি টাকা। এই বরাদ্দ থেকেই ২৫টি চিংড়িঘের দেখিয়ে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।
এ ছাড়া ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়।
২০১৭ সালের ২২ মে দুর্নীতির মামলায় জামিনের আবেদন করে বরখাস্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে একই মামলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাফর আলম, জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার (এলও) সাবেক উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার, সাবেক সার্ভেয়ার ফখরুল ইসলাম ও কক্সবাজার আদালতের আইনজীবী নুর মোহাম্মদ সিকদারকে গ্রেপ্তার করে দুদক। মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
গ্রামীণ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। সেই খামারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, মুরগির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে গ্রামের খালে। এতে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে জলাধারের পরিবেশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও থামছে না পরিবেশদূষণ।
৩ মিনিট আগেরংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কে সংস্কারকাজে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ লুটপাটের ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। ২৭ কোটি টাকার ১০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নের এই প্রকল্পে অন্তত ৩৬৫ টন পাথর গায়েব করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডন এন্টারপ্রাইজ। সেনাবাহিনীর অভিযানে অনিয়ম ধরা পড়লেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সড়ক বিভাগ।
৭ মিনিট আগেবিমান বাহিনী পরিচালিত সকল স্কুলসমূহে গত সোমবার (২১-৭-২০২৫) মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হতাহতের জন্য বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় যাত্রীবরণ ও বিদায় জানাতে আগত ব্যক্তিদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী রোববার (২৭ জুলাই) থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
২ ঘণ্টা আগে