Ajker Patrika

চাঁদপুরে নৌযানশ্রমিক ধর্মঘটে দুর্ভোগে লঞ্চযাত্রীরা

চাঁদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২২, ১৫: ৪৬
চাঁদপুরে নৌযানশ্রমিক ধর্মঘটে দুর্ভোগে লঞ্চযাত্রীরা

নৌযানশ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ১০ দফা দাবিতে হঠাৎ ডাকা ধর্মঘটে দুর্ভোগে পড়েছে চাঁদপুরের লঞ্চযাত্রীরা। স্থানীয়ভাবে কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা না দেওয়া কিংবা সংগঠনের পক্ষ থেকে মাইকিং না করায় যাত্রীরা ঘাটে এসে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। 

আজ রোববার সকাল থেকে চাঁদপুর-ঢাকাসহ সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুরের বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন। 

শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুর থেকে শিডিউলের সব লঞ্চ ছেড়ে গেছে। আজ (রোববার) সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। লঞ্চমালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে। তাঁদের মধ্যে সুরাহা হলে আবার লঞ্চ চলাচল শুরু হবে।’ 

দুপুর দেড়টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, চাঁদপুর লঞ্চঘাটে কোনো লঞ্চ নেই। পুরো ঘাট ফাঁকা। শুধু কিছু অটোরিকশা ঘাটে যাত্রী নিয়ে আসছে, আবার নিয়ে ফিরেও যাচ্ছে। যেসব যাত্রী শ্রমিক ধর্মঘটের বিষয়ে জানে না, তারা এসে ঘাটে উপস্থিত হচ্ছে। 

ফরিদগঞ্জ থেকে দুই সন্তান নিয়ে আসা যাত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, ‘লঞ্চ ধর্মঘটের বিষয়ে জানি না। যে কারণে বাড়ি থেকে ৩০০ টাকা অটোরিকশা ভাড়া দিয়ে এসেছি। সড়কপথে এখন সন্তানদের নিয়ে যাওয়াও সম্ভব নয়। আমাদের এমন ভোগান্তিতে ফেলার কোনো মানে হয় না।’ 

চাঁদপুর-ঢাকাসহ সব রুটে লঞ্চ চলাচল হঠাৎ বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে যাত্রীরা। ছবি: আজকের পত্রিকাশহরের ট্রাক রোড এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম তাঁর ছেলেকে নিয়ে যাবেন ঢাকায়। দুপুরের লঞ্চে যাওয়ার উদ্দেশে ঘাটে এসে দেখেন কোনো লঞ্চ নেই। অপেক্ষা করে চলে যান। তিনি বলেন, ‘শহরে থেকেও লঞ্চ ধর্মঘটের কথা জানতে পারিনি।’ 

সদরের ইচলী থেকে আসা যাত্রী ইব্রাহীম বলেন, ‘বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বারবার লঞ্চের ভাড়া বাড়িয়েছে, তার দায়ভারও যাত্রীদের নিতে হয়েছে। এখন লঞ্চশ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে বিরোধ চলছে। এর দায়ভার কি আমাদের নিতে হবে? আমরা দূর-দূরান্ত থেকে লঞ্চঘাটে এসেছি, এসে দেখি লঞ্চ চলাচল বন্ধ। আমরা যে দুর্ভোগে পড়েছি, তার দায়ভার নেবে কে? আশা করি সরকারের হস্তক্ষেপে মালিকপক্ষ দাবিদাওয়া পূরণ করে দ্রুত লঞ্চ চলাচল শুরু করবে।’ 

লঞ্চশ্রমিক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের যে দাবিদাওয়া ছিল, ২০২২ সাল চলে যাচ্ছে, কিন্তু মালিকপক্ষ ও শ্রম মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত