Ajker Patrika

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের ভিডিও করায় সাংবাদিকের ওপর হামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ শহীদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ শহীদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ শহীদ মিনারে হামলার শিকার হয়েছেন। এনটিভি ও দৈনিক কালবেলার নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি মাহমুদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন তুহিন ও তাঁর অনুসারীদের মাধ্যমে তিনি এ হামলার শিকার হন বলে জানা গেছে।

হামলার শিকার সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ অভিযোগ করেন, শ্রদ্ধা জানাতে ও পেশাগত দায়িত্ব পালনে একুশের প্রথম প্রহরে প্রেসক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে শহীদ মিনারে যান তিনি। সেখানে জাতীয় নাগরিক কমিটির দুজনকে ছাত্রলীগ বলে পেটানো হচ্ছিল। তখন ঘটনার ফুটেজ নেওয়ার সময় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন তুহিন দৌড়ে এসে মোবাইল কেড়ে নেন। একপর্যায়ে তিনি ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন মারধরের পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। উপস্থিত লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

তবে পুলিশ বলছে, নাগরিক কমিটির একাংশের নেতা-কর্মীরা ফুল দিতে শহীদ মিনারে আসেন। তাঁদের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মী সোহেলও ছিলেন। তাঁকে দেখে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা হট্টগোল শুরু করেন। এ ঘটনার ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিক মাহমুদকে মারধর করা হয়।

নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবুল বাশার জানান, মাহমুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে আনার পর তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য জানতে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন তুহিনকে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনাটি শুনেছি। তবে আমি শহীদ মিনারে ছিলাম আর ঘটনা ঘটেছে বাইরে। এ বিষয়ে বশিরই ভালো বলতে পারবে।’

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম বলেন, নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সম্মিলিতভাবে ফুল দিয়ে শহীদ মিনার থেকে চলে যাওয়ার পর নাগরিক কমিটির একাংশের নেতা-কর্মীরা ফুল দিতে আসে। তাঁদের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মী সোহেলও ছিল। তাকে দেখে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা হট্টগোল শুরু করে। সোহেল যে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত তার প্রমাণও পুলিশ পেয়েছে।

ওসি আরও বলেন, পুলিশ সোহেলকে হেফাজতে নেওয়ার সময় তাঁকে মারধর করতে থাকেন বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনার ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিক মাহমুদকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত