সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম

১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্যাসিস্ট ইস্যু, বহিরাগতদের হুমকি, নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা কারণে আইনজীবীদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে সমিতির ১৩২ বছরের ইতিহাসে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন সম্পন্ন করার যে ঐক্য ছিল, তাতে সৃষ্ট ফাটল স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সমিতি বলছে, ৪ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তাহীনতাসহ কিছু কারণ দেখিয়ে আচমকা নির্বাচন পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করে পদত্যাগ করেন নির্বাচন কমিশনের মুখ্য কর্মকর্তাসহ অন্য সদস্যরা। ফলে আইনজীবী সমিতির নির্বাচন স্থগিত হয়। সংগঠনটি বর্তমানে অ্যাডহক কমিটি গঠনের দিকে যাচ্ছে। এ কমিটি দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।
তবে সাধারণ আইনজীবীদের অনেকে মনে করেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় অ্যাডহক কমিটিও সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আইনজীবীদের ভাষ্য, আইনজীবী সমিতির ইতিহাসে এ পর্যন্ত ৩২টি নির্বাচন হয়েছে। অতীতে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ সব দলের আইনজীবীদের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সমিতির দুটি গুরুত্বপূর্ণ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ সর্বোচ্চ পদে বিজয়ী হন বিএনপি প্যানেলের আইনজীবীরা। কিন্তু এবার বিভিন্ন কারণে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় নির্বাচন পণ্ড হয়েছে, যা নজিরবিহীন ঘটনা।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি সমিতির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে ২১টি পদে ৪০ জন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। প্রার্থীদের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছিল।
বিএনপিসমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও জামায়াতে ইসলামীসমর্থিত ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত সমন্বয় পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থী দিয়েছিল। প্রার্থীরা প্রচারণাও চালিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিরোধিতা করে আসছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। গত ২৬ জানুয়ারি আদালত এলাকায় বিক্ষোভও করেন তাঁরা। ওই কর্মসূচিতে চট্টগ্রামের অনেক সমন্বয়ক অংশ নিয়েছিলেন। আইনজীবীদের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে বহিরাগতদের এমন হস্তক্ষেপের ঘটনা এবারই প্রথম হয়েছে বলে জানান সাধারণ আইনজীবীরা।
আওয়ামী লীগপন্থী ‘রশিদ-জাবেদ-মাহতাব পরিষদ’ থেকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন জাবেদ বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের সরাসরি কাউকে এখনো পর্যন্ত হুমকি দেওয়া হয়নি। তবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাঁদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য নিরাপত্তা চেয়ে শুধু ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী নামানোর আবেদন করি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন জাবেদ বলেন, ‘আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অনেক নেতা আদালতে নিয়মিত আসছেন না। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে না। তাই পরিষদ থেকে প্রার্থী না দিয়ে “রশিদ-জাবেদ-মাহতাব পরিষদ” নামে একটি প্যানেল করে প্রার্থী দিয়েছি। কিন্তু প্রতিপক্ষরা এই প্যানেলকে আওয়ামী লীগের দোসর বলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে।’
এদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী হওয়া আবদুস সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো ভয়ভীতি কিংবা হুমকি দেওয়া হয়নি। তাদের (আওয়ামীপন্থীদের) প্রচারণায় কোনো বাধা দিইনি। আমরা বাধা দিলে তো তারা নমিনেশনও দাখিল করতে পারত না।’
জানতে চাইলে আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে পত্র দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি। তাদের যদি এ বিষয়ে কোনো মতামত না থাকে তাহলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হবে। ৯ ফেব্রুয়ারি সাধারণ সভায় এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হবে।’ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এবারই প্রথম অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়, প্রার্থীদের উভয় পক্ষের পারস্পরিক অবস্থান প্রতিকূলে থাকায় এবং নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে বিভিন্নভাবে হেনস্তা, ভয়ভীতি ও হুমকির সম্মুখীন হওয়ায় ১০ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্নের কোনো সুযোগ বা পরিবেশ নেই। বিধায় নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতভাবে ওই নির্বাচন পরিচালনা করতে অপারগতা প্রকাশ করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়।

১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্যাসিস্ট ইস্যু, বহিরাগতদের হুমকি, নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা কারণে আইনজীবীদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে সমিতির ১৩২ বছরের ইতিহাসে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন সম্পন্ন করার যে ঐক্য ছিল, তাতে সৃষ্ট ফাটল স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সমিতি বলছে, ৪ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তাহীনতাসহ কিছু কারণ দেখিয়ে আচমকা নির্বাচন পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করে পদত্যাগ করেন নির্বাচন কমিশনের মুখ্য কর্মকর্তাসহ অন্য সদস্যরা। ফলে আইনজীবী সমিতির নির্বাচন স্থগিত হয়। সংগঠনটি বর্তমানে অ্যাডহক কমিটি গঠনের দিকে যাচ্ছে। এ কমিটি দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।
তবে সাধারণ আইনজীবীদের অনেকে মনে করেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় অ্যাডহক কমিটিও সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আইনজীবীদের ভাষ্য, আইনজীবী সমিতির ইতিহাসে এ পর্যন্ত ৩২টি নির্বাচন হয়েছে। অতীতে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ সব দলের আইনজীবীদের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সমিতির দুটি গুরুত্বপূর্ণ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ সর্বোচ্চ পদে বিজয়ী হন বিএনপি প্যানেলের আইনজীবীরা। কিন্তু এবার বিভিন্ন কারণে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় নির্বাচন পণ্ড হয়েছে, যা নজিরবিহীন ঘটনা।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি সমিতির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে ২১টি পদে ৪০ জন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। প্রার্থীদের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছিল।
বিএনপিসমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও জামায়াতে ইসলামীসমর্থিত ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত সমন্বয় পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থী দিয়েছিল। প্রার্থীরা প্রচারণাও চালিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিরোধিতা করে আসছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। গত ২৬ জানুয়ারি আদালত এলাকায় বিক্ষোভও করেন তাঁরা। ওই কর্মসূচিতে চট্টগ্রামের অনেক সমন্বয়ক অংশ নিয়েছিলেন। আইনজীবীদের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে বহিরাগতদের এমন হস্তক্ষেপের ঘটনা এবারই প্রথম হয়েছে বলে জানান সাধারণ আইনজীবীরা।
আওয়ামী লীগপন্থী ‘রশিদ-জাবেদ-মাহতাব পরিষদ’ থেকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন জাবেদ বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের সরাসরি কাউকে এখনো পর্যন্ত হুমকি দেওয়া হয়নি। তবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাঁদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য নিরাপত্তা চেয়ে শুধু ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী নামানোর আবেদন করি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন জাবেদ বলেন, ‘আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অনেক নেতা আদালতে নিয়মিত আসছেন না। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে না। তাই পরিষদ থেকে প্রার্থী না দিয়ে “রশিদ-জাবেদ-মাহতাব পরিষদ” নামে একটি প্যানেল করে প্রার্থী দিয়েছি। কিন্তু প্রতিপক্ষরা এই প্যানেলকে আওয়ামী লীগের দোসর বলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে।’
এদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী হওয়া আবদুস সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো ভয়ভীতি কিংবা হুমকি দেওয়া হয়নি। তাদের (আওয়ামীপন্থীদের) প্রচারণায় কোনো বাধা দিইনি। আমরা বাধা দিলে তো তারা নমিনেশনও দাখিল করতে পারত না।’
জানতে চাইলে আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে পত্র দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি। তাদের যদি এ বিষয়ে কোনো মতামত না থাকে তাহলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হবে। ৯ ফেব্রুয়ারি সাধারণ সভায় এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হবে।’ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এবারই প্রথম অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়, প্রার্থীদের উভয় পক্ষের পারস্পরিক অবস্থান প্রতিকূলে থাকায় এবং নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে বিভিন্নভাবে হেনস্তা, ভয়ভীতি ও হুমকির সম্মুখীন হওয়ায় ১০ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্নের কোনো সুযোগ বা পরিবেশ নেই। বিধায় নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতভাবে ওই নির্বাচন পরিচালনা করতে অপারগতা প্রকাশ করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়।
সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম

১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্যাসিস্ট ইস্যু, বহিরাগতদের হুমকি, নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা কারণে আইনজীবীদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে সমিতির ১৩২ বছরের ইতিহাসে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন সম্পন্ন করার যে ঐক্য ছিল, তাতে সৃষ্ট ফাটল স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সমিতি বলছে, ৪ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তাহীনতাসহ কিছু কারণ দেখিয়ে আচমকা নির্বাচন পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করে পদত্যাগ করেন নির্বাচন কমিশনের মুখ্য কর্মকর্তাসহ অন্য সদস্যরা। ফলে আইনজীবী সমিতির নির্বাচন স্থগিত হয়। সংগঠনটি বর্তমানে অ্যাডহক কমিটি গঠনের দিকে যাচ্ছে। এ কমিটি দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।
তবে সাধারণ আইনজীবীদের অনেকে মনে করেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় অ্যাডহক কমিটিও সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আইনজীবীদের ভাষ্য, আইনজীবী সমিতির ইতিহাসে এ পর্যন্ত ৩২টি নির্বাচন হয়েছে। অতীতে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ সব দলের আইনজীবীদের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সমিতির দুটি গুরুত্বপূর্ণ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ সর্বোচ্চ পদে বিজয়ী হন বিএনপি প্যানেলের আইনজীবীরা। কিন্তু এবার বিভিন্ন কারণে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় নির্বাচন পণ্ড হয়েছে, যা নজিরবিহীন ঘটনা।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি সমিতির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে ২১টি পদে ৪০ জন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। প্রার্থীদের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছিল।
বিএনপিসমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও জামায়াতে ইসলামীসমর্থিত ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত সমন্বয় পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থী দিয়েছিল। প্রার্থীরা প্রচারণাও চালিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিরোধিতা করে আসছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। গত ২৬ জানুয়ারি আদালত এলাকায় বিক্ষোভও করেন তাঁরা। ওই কর্মসূচিতে চট্টগ্রামের অনেক সমন্বয়ক অংশ নিয়েছিলেন। আইনজীবীদের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে বহিরাগতদের এমন হস্তক্ষেপের ঘটনা এবারই প্রথম হয়েছে বলে জানান সাধারণ আইনজীবীরা।
আওয়ামী লীগপন্থী ‘রশিদ-জাবেদ-মাহতাব পরিষদ’ থেকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন জাবেদ বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের সরাসরি কাউকে এখনো পর্যন্ত হুমকি দেওয়া হয়নি। তবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাঁদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য নিরাপত্তা চেয়ে শুধু ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী নামানোর আবেদন করি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন জাবেদ বলেন, ‘আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অনেক নেতা আদালতে নিয়মিত আসছেন না। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে না। তাই পরিষদ থেকে প্রার্থী না দিয়ে “রশিদ-জাবেদ-মাহতাব পরিষদ” নামে একটি প্যানেল করে প্রার্থী দিয়েছি। কিন্তু প্রতিপক্ষরা এই প্যানেলকে আওয়ামী লীগের দোসর বলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে।’
এদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী হওয়া আবদুস সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো ভয়ভীতি কিংবা হুমকি দেওয়া হয়নি। তাদের (আওয়ামীপন্থীদের) প্রচারণায় কোনো বাধা দিইনি। আমরা বাধা দিলে তো তারা নমিনেশনও দাখিল করতে পারত না।’
জানতে চাইলে আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে পত্র দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি। তাদের যদি এ বিষয়ে কোনো মতামত না থাকে তাহলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হবে। ৯ ফেব্রুয়ারি সাধারণ সভায় এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হবে।’ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এবারই প্রথম অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়, প্রার্থীদের উভয় পক্ষের পারস্পরিক অবস্থান প্রতিকূলে থাকায় এবং নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে বিভিন্নভাবে হেনস্তা, ভয়ভীতি ও হুমকির সম্মুখীন হওয়ায় ১০ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্নের কোনো সুযোগ বা পরিবেশ নেই। বিধায় নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতভাবে ওই নির্বাচন পরিচালনা করতে অপারগতা প্রকাশ করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়।

১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্যাসিস্ট ইস্যু, বহিরাগতদের হুমকি, নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা কারণে আইনজীবীদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে সমিতির ১৩২ বছরের ইতিহাসে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন সম্পন্ন করার যে ঐক্য ছিল, তাতে সৃষ্ট ফাটল স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সমিতি বলছে, ৪ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তাহীনতাসহ কিছু কারণ দেখিয়ে আচমকা নির্বাচন পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করে পদত্যাগ করেন নির্বাচন কমিশনের মুখ্য কর্মকর্তাসহ অন্য সদস্যরা। ফলে আইনজীবী সমিতির নির্বাচন স্থগিত হয়। সংগঠনটি বর্তমানে অ্যাডহক কমিটি গঠনের দিকে যাচ্ছে। এ কমিটি দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।
তবে সাধারণ আইনজীবীদের অনেকে মনে করেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় অ্যাডহক কমিটিও সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আইনজীবীদের ভাষ্য, আইনজীবী সমিতির ইতিহাসে এ পর্যন্ত ৩২টি নির্বাচন হয়েছে। অতীতে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ সব দলের আইনজীবীদের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সমিতির দুটি গুরুত্বপূর্ণ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ সর্বোচ্চ পদে বিজয়ী হন বিএনপি প্যানেলের আইনজীবীরা। কিন্তু এবার বিভিন্ন কারণে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় নির্বাচন পণ্ড হয়েছে, যা নজিরবিহীন ঘটনা।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি সমিতির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে ২১টি পদে ৪০ জন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। প্রার্থীদের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছিল।
বিএনপিসমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও জামায়াতে ইসলামীসমর্থিত ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত সমন্বয় পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থী দিয়েছিল। প্রার্থীরা প্রচারণাও চালিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিরোধিতা করে আসছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। গত ২৬ জানুয়ারি আদালত এলাকায় বিক্ষোভও করেন তাঁরা। ওই কর্মসূচিতে চট্টগ্রামের অনেক সমন্বয়ক অংশ নিয়েছিলেন। আইনজীবীদের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে বহিরাগতদের এমন হস্তক্ষেপের ঘটনা এবারই প্রথম হয়েছে বলে জানান সাধারণ আইনজীবীরা।
আওয়ামী লীগপন্থী ‘রশিদ-জাবেদ-মাহতাব পরিষদ’ থেকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন জাবেদ বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের সরাসরি কাউকে এখনো পর্যন্ত হুমকি দেওয়া হয়নি। তবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাঁদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য নিরাপত্তা চেয়ে শুধু ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী নামানোর আবেদন করি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন জাবেদ বলেন, ‘আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অনেক নেতা আদালতে নিয়মিত আসছেন না। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে না। তাই পরিষদ থেকে প্রার্থী না দিয়ে “রশিদ-জাবেদ-মাহতাব পরিষদ” নামে একটি প্যানেল করে প্রার্থী দিয়েছি। কিন্তু প্রতিপক্ষরা এই প্যানেলকে আওয়ামী লীগের দোসর বলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে।’
এদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী হওয়া আবদুস সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো ভয়ভীতি কিংবা হুমকি দেওয়া হয়নি। তাদের (আওয়ামীপন্থীদের) প্রচারণায় কোনো বাধা দিইনি। আমরা বাধা দিলে তো তারা নমিনেশনও দাখিল করতে পারত না।’
জানতে চাইলে আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে পত্র দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি। তাদের যদি এ বিষয়ে কোনো মতামত না থাকে তাহলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হবে। ৯ ফেব্রুয়ারি সাধারণ সভায় এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হবে।’ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এবারই প্রথম অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়, প্রার্থীদের উভয় পক্ষের পারস্পরিক অবস্থান প্রতিকূলে থাকায় এবং নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে বিভিন্নভাবে হেনস্তা, ভয়ভীতি ও হুমকির সম্মুখীন হওয়ায় ১০ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্নের কোনো সুযোগ বা পরিবেশ নেই। বিধায় নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতভাবে ওই নির্বাচন পরিচালনা করতে অপারগতা প্রকাশ করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়।

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
৩২ মিনিট আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
১ ঘণ্টা আগে
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মঞ্জুর কাদের। পরে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর পল্টনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আফতাব উদ্দিন রিগান নামে ওই কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হিসেবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ফোর্সে কর্মরত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেআগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
হাঁসটির মালিক ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. মুরাদ হোসেনের স্ত্রী হাফিজা খানম। অভিযোগ উঠেছে, কিস্তির টাকা না পেয়ে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) নামের একটি এনজিওর কর্মীরা তাঁর বাড়ি থেকে হাঁসটি নিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফিজা টিএমএসএসের সদস্য। ওই এনজিও থেকে চলতি বছরের শুরুর দিকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ২৫০ টাকা করে নিয়মিত কিস্তি দিয়ে আসছিলেন তিনি। গতকাল বিকেলে কিস্তির টাকা তুলতে হাফিজার বাড়িতে যান ওই এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খানসহ দুজন। হাফিজা আগামী সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে দেবেন বলে তাঁদের চলে যেতে অনুরোধ জানান। কিন্তু ফিরোজ খান কিস্তির টাকা না নিয়ে হাফিজার বাড়ি থেকে যাবেন না বলে অনড় থাকেন। এ সময় ফিরোজ খান হাফিজার উঠানে থাকা হাঁস-মুরগি দেখে টাকার পরিবর্তে হাঁস দাবি করেন। হাফিজা তাতে অসম্মতি জানিয়ে পাশের বাড়িতে চলে যান। এই ফাঁকে এনজিওর কর্মীরা হাফিজার বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে হাফিজা খানম বলেন, ‘সর্বশেষ একটি কিস্তির টাকা আগামী সপ্তাহে পরিশোধ করার কথা বলছি। কিন্তু এনজিওর মাঠকর্মীরা আমার বাড়ির উঠান থেকে ধাওয়া করে বড় একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যায়। তখন আমি বাড়ি ছিলাম না। ওই হাঁসটির দাম পনেরো শ-ষোলো শ টাকার মতো হবে। আমার মেয়ের পালা শখের হাঁসটি ফেরত চাই।’
উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল দাসগুপ্ত বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ঋণগ্রহীতার বাড়ি থেকে কোনো জিনিস আনার বৈধতা নেই। সদস্যের বাড়ি থেকে হাঁস আনার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। টিএমএসএস এনজিও আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের আওতাভুক্ত নয়।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস বলেন, ‘এই এনজিওটি আমার উপজেলার আওতাভুক্ত নয়। তারা কীভাবে এই উপজেলায় কাজ করে আমার জানা নেই। কিস্তির টাকার পরিবর্তে হাঁস আনার বিষয়টি অবৈধ।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে টিএমএসএস এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খান হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে হাঁস ধরে আনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা দাম ধরে হাঁস আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টিএমএসএস এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানম হাঁস বিক্রি করে পরে টাকা দেবে। আমার এনজিওর মাঠকর্মী দাম ধরে কিনে আনলে অপরাধের কিছু নয়।’

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
হাঁসটির মালিক ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. মুরাদ হোসেনের স্ত্রী হাফিজা খানম। অভিযোগ উঠেছে, কিস্তির টাকা না পেয়ে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) নামের একটি এনজিওর কর্মীরা তাঁর বাড়ি থেকে হাঁসটি নিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফিজা টিএমএসএসের সদস্য। ওই এনজিও থেকে চলতি বছরের শুরুর দিকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ২৫০ টাকা করে নিয়মিত কিস্তি দিয়ে আসছিলেন তিনি। গতকাল বিকেলে কিস্তির টাকা তুলতে হাফিজার বাড়িতে যান ওই এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খানসহ দুজন। হাফিজা আগামী সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে দেবেন বলে তাঁদের চলে যেতে অনুরোধ জানান। কিন্তু ফিরোজ খান কিস্তির টাকা না নিয়ে হাফিজার বাড়ি থেকে যাবেন না বলে অনড় থাকেন। এ সময় ফিরোজ খান হাফিজার উঠানে থাকা হাঁস-মুরগি দেখে টাকার পরিবর্তে হাঁস দাবি করেন। হাফিজা তাতে অসম্মতি জানিয়ে পাশের বাড়িতে চলে যান। এই ফাঁকে এনজিওর কর্মীরা হাফিজার বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে হাফিজা খানম বলেন, ‘সর্বশেষ একটি কিস্তির টাকা আগামী সপ্তাহে পরিশোধ করার কথা বলছি। কিন্তু এনজিওর মাঠকর্মীরা আমার বাড়ির উঠান থেকে ধাওয়া করে বড় একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যায়। তখন আমি বাড়ি ছিলাম না। ওই হাঁসটির দাম পনেরো শ-ষোলো শ টাকার মতো হবে। আমার মেয়ের পালা শখের হাঁসটি ফেরত চাই।’
উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল দাসগুপ্ত বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ঋণগ্রহীতার বাড়ি থেকে কোনো জিনিস আনার বৈধতা নেই। সদস্যের বাড়ি থেকে হাঁস আনার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। টিএমএসএস এনজিও আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের আওতাভুক্ত নয়।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস বলেন, ‘এই এনজিওটি আমার উপজেলার আওতাভুক্ত নয়। তারা কীভাবে এই উপজেলায় কাজ করে আমার জানা নেই। কিস্তির টাকার পরিবর্তে হাঁস আনার বিষয়টি অবৈধ।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে টিএমএসএস এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খান হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে হাঁস ধরে আনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা দাম ধরে হাঁস আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টিএমএসএস এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানম হাঁস বিক্রি করে পরে টাকা দেবে। আমার এনজিওর মাঠকর্মী দাম ধরে কিনে আনলে অপরাধের কিছু নয়।’

১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্যাসিস্ট ইস্যু, বহিরাগতদের হুমকি, নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা কারণে আইনজীবীদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে সমিতির ১৩২ বছরের ইতিহাসে...
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
১ ঘণ্টা আগে
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মঞ্জুর কাদের। পরে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর পল্টনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আফতাব উদ্দিন রিগান নামে ওই কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হিসেবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ফোর্সে কর্মরত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেনাটোর প্রতিনিধি

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আসন্ন হজ মৌসুমে কোনো সিন্ডিকেটকে পাত্তা দেওয়া হবে না।’
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নাটোর জেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন খালিদ হোসেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সৌদি সরকারের অনুরোধে গত বছরের তুলনায় এবার হজে গমন-ইচ্ছুকদের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যারা ১০-১২টি রোগে আক্রান্ত তাঁদের হজে পাঠানো হবে না। আমরা চাচ্ছি, স্বচ্ছ এবং ট্রান্সপারেন্ট ব্যক্তিদের হজে পাঠাতে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ।
পরে উপদেষ্টা নাটোর সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। প্রতিটি মডেল মসজিদ নির্মাণে জেলা পর্যায়ে ১৮ কোটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৪ কোটি টাকা খরচ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আসন্ন হজ মৌসুমে কোনো সিন্ডিকেটকে পাত্তা দেওয়া হবে না।’
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নাটোর জেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন খালিদ হোসেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সৌদি সরকারের অনুরোধে গত বছরের তুলনায় এবার হজে গমন-ইচ্ছুকদের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যারা ১০-১২টি রোগে আক্রান্ত তাঁদের হজে পাঠানো হবে না। আমরা চাচ্ছি, স্বচ্ছ এবং ট্রান্সপারেন্ট ব্যক্তিদের হজে পাঠাতে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ।
পরে উপদেষ্টা নাটোর সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। প্রতিটি মডেল মসজিদ নির্মাণে জেলা পর্যায়ে ১৮ কোটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৪ কোটি টাকা খরচ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্যাসিস্ট ইস্যু, বহিরাগতদের হুমকি, নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা কারণে আইনজীবীদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে সমিতির ১৩২ বছরের ইতিহাসে...
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
৩২ মিনিট আগে
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মঞ্জুর কাদের। পরে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর পল্টনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আফতাব উদ্দিন রিগান নামে ওই কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হিসেবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ফোর্সে কর্মরত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেবেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে এনসিপি থেকে মনোনয়ন পেলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রথম ধাপে এনসিপির ঘোষিত ১২৫ প্রার্থীর মধ্যে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে এনসিপি। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এসব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মঞ্জুর কাদের। পরে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি।
এনসিপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে এনসিপি থেকে শাপলা কলি প্রতীকে এবার নির্বাচন করব। আমি যদি এমপি নির্বাচিত হতে পারি, বেলকুচি চৌহালীকে নদীভাঙন থেকে রক্ষায় কাজ করব। তা ছাড়া এই এলাকার মানুষ তাঁতশিল্পের ওপর নির্ভরশীল। তাঁতশিল্পের উন্নয়নেও কাজ করার ইচ্ছা আছে। এনায়েতপুর একটি বৃহৎ হাট। হাটের উন্নয়নেও কাজ করব। এর বাইরেও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করব।’
আপনি কি বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে এনসিপি থেকে মনোনয়ন নিলেন—এই প্রশ্নের জবাবে মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘আমি বিএনপি থেকে এবার মনোনয়ন চাইনি।’

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে এনসিপি থেকে মনোনয়ন পেলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রথম ধাপে এনসিপির ঘোষিত ১২৫ প্রার্থীর মধ্যে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে এনসিপি। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এসব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মঞ্জুর কাদের। পরে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি।
এনসিপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে এনসিপি থেকে শাপলা কলি প্রতীকে এবার নির্বাচন করব। আমি যদি এমপি নির্বাচিত হতে পারি, বেলকুচি চৌহালীকে নদীভাঙন থেকে রক্ষায় কাজ করব। তা ছাড়া এই এলাকার মানুষ তাঁতশিল্পের ওপর নির্ভরশীল। তাঁতশিল্পের উন্নয়নেও কাজ করার ইচ্ছা আছে। এনায়েতপুর একটি বৃহৎ হাট। হাটের উন্নয়নেও কাজ করব। এর বাইরেও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করব।’
আপনি কি বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে এনসিপি থেকে মনোনয়ন নিলেন—এই প্রশ্নের জবাবে মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘আমি বিএনপি থেকে এবার মনোনয়ন চাইনি।’

১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্যাসিস্ট ইস্যু, বহিরাগতদের হুমকি, নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা কারণে আইনজীবীদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে সমিতির ১৩২ বছরের ইতিহাসে...
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
৩২ মিনিট আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর পল্টনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আফতাব উদ্দিন রিগান নামে ওই কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হিসেবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ফোর্সে কর্মরত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর পল্টনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আফতাব উদ্দিন রিগান নামে ওই কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হিসেবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ফোর্সে কর্মরত ছিলেন।
আজ বুধবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পল্টন থানা পুলিশ।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল খান।
ওসি বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে সিআইডি পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে একজন পুলিশের উপপরিদর্শকের মৃত্যুর খবর পাই। পরে পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি মোস্তফা আরও জানান, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে কারণ জানার চেষ্টা চলছে।

রাজধানীর পল্টনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আফতাব উদ্দিন রিগান নামে ওই কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হিসেবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ফোর্সে কর্মরত ছিলেন।
আজ বুধবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পল্টন থানা পুলিশ।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল খান।
ওসি বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে সিআইডি পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে একজন পুলিশের উপপরিদর্শকের মৃত্যুর খবর পাই। পরে পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি মোস্তফা আরও জানান, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে কারণ জানার চেষ্টা চলছে।

১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্যাসিস্ট ইস্যু, বহিরাগতদের হুমকি, নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা কারণে আইনজীবীদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে সমিতির ১৩২ বছরের ইতিহাসে...
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
৩২ মিনিট আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
১ ঘণ্টা আগে
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মঞ্জুর কাদের। পরে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে