Ajker Patrika

৫ শিশুকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ চাচির বিরুদ্ধে

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩: ০৫
Thumbnail image

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে পাঁচ শিশুকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংরক্ষিত এক নারী সদস্যের বিরুদ্ধে। আহত শিশুরা বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্ত ওই নারী আহত পাঁচ শিশুর চাচি।

গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ২ নম্বর চরবাটা ইউনিয়নের সালাহ উদ্দিন কেরানির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মমতা বেগম রুপা (৪০) উপজেলার ২ নম্বর চরবাটা ইউনিয়নের সাবেক সংরক্ষিত নারী সদস্য। তিনি পশ্চিম চরবাটা গ্রামের সালাহ উদ্দিন কেরানিবাড়ির নজরুল ইসলাম রিপনের স্ত্রী।

আহত শিশুরা হলো ২ নম্বর চরবাটা ইউনিয়নের পশ্চিম চরবাটা গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে সাঈদ বিন আশরাফ (১০), সাদ বিন আশরাফ (৫), ফজলে এলাহী রনির মেয়ে লুবাবা খানম জেমি (৭), জহিরুল ইসলামের মেয়ে জেবিন (৯) জাহিন (৫)। তারা সবাই সম্পর্কে চাচাতো ভাইবোন।

আহত শিশুদের চাচা ফজলে এলাহী রনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা ১০ ভাই, কোনো বোন নেই। রুপা আমার মেজো ভাই রিপনের স্ত্রী। আমার বাবা হজে যাওয়ার জন্য বাড়ি বিক্রি করে দেন। বিক্রি করার পর আমার বাবা রুপাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। কিন্তু রুপা জোরপূর্বক বসবাস করে আসছে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ ও ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে। কিছুদিন আগে রুপা দাবি করেন, তিনি আমার বাবার কাছ থেকে জমি কিনেছেন। এ নিয়ে একাধিকবার ঝগড়া হয়। সে বহুদিন আমাদের গুম, খুন করার হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।’

রনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে শিশুরা খেলাধুলা করার সময় মেজো ভাবি রুপা তাদের কৌশলে চকলেট খাওয়ার লোভ দেখিয়ে তাঁর ঘরে ডেকে নেয়। তারপর দরজা বন্ধ করে ধারালো চুরি দিয়ে পাঁচ শিশুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে আহত শিশুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।’ 

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে মমতা বেগম রুপাকে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তার স্বামী নজরুল ইসলাম রিপন কল রিসিভ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বাড়িতে গিয়ে দেখি সবাই আহত, রুপাও আহত। জায়গা-সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।’

এ ঘটনায় চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পারিবারিক সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি। ওই সময় অভিযুক্ত নারী নিজেও তার ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত